বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের উপাদান কয়টি?
A
৩টি
B
৫টি
C
৪টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক সুশাসনের ধারণা প্রবর্তন করেছে এবং এটি আধুনিক গভর্নেন্স তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে একটি রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়। ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স’।
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায়, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের মতে, সুশাসনের মূল উপাদান ৬টি।
সুশাসনের উপাদান বিভিন্ন সংস্থা ও তত্ত্ববিদদের মতে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে:
-
Asian Development Bank (এডিবি) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৪টি।
-
United Nations Development Programme (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৯টি।
-
জাতিসংঘ অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৮টি।
-
United Nations Human Rights Commission (UNHCR) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৫টি।
-
African Development Bank (AFDB) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৫টি।
-
International Development Agency (IDА) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৪টি।
-
প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্য অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৪টি।

0
Updated: 11 hours ago
কোন নৈতিক মানদণ্ডটি সর্বোচ্চ সুখের উপর গুরুত্ব প্রদান করে?
Created: 11 hours ago
A
আত্মস্বার্থবাদ
B
পরার্থবাদ
C
পূর্ণতাবাদ
D
উপযােগবাদ
উপযোগবাদ একটি দার্শনিক মতবাদ যা নৈতিকতার মান হিসেবে সুখকে কেন্দ্র করে। এই দর্শনের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে একটি কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে তা কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করতে সক্ষম তার উপর।
জন স্টুয়ার্ট মিলের ভাষায় উপযোগবাদ হলো "একটি বিশ্বাস যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে উপযোগিতা বা সর্বোচ্চ আনন্দের নীতিকে গ্রহণ করে এবং মনে করে যে কার্যাবলী যথার্থ হয় আনন্দকে উৎসাহিত করার প্রবণতার অনুপাতে।"
উপযোগবাদীরা নিজেদেরকে প্রায়শই সুখবাদী বা উপযোগবাদী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন, কারণ তারা বিশ্বাস করতেন যে নৈতিকতা এবং কাজের মান নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো মানুষের সুখ।
-
উপযোগবাদের মূল নীতি: আমাদের কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রথম প্রবক্তা: উপযোগবাদের প্রাথমিক ধারণা দেন হাচিসন, তবে এর প্রকৃত প্রবক্তা হলেন জেরেমি বেন্থাম এবং জে এস মিল।
-
বেন্থামের অবদান: তিনি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সুখের ধারণা দেন এবং এই সুখকে পরিমাণগতভাবে নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন।
-
মিলের ব্যাখ্যা: নৈতিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপযোগিতা বা আনন্দকে কেন্দ্র করে কাজের যথার্থতা বিচার করা হয়।
-
মূল বক্তব্য: উপযোগবাদ অনুসারে নৈতিকতার ভিত্তি হলো সুখ, এবং সুখের মাধ্যমে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য নিরূপিত হয়।
-
লক্ষ্য: সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ সুখ নিশ্চিত করা।

0
Updated: 11 hours ago
ব্যক্তি সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করে -
Created: 1 week ago
A
সুশাসনের শিক্ষা থেকে
B
আইনের শিক্ষা থেকে
C
মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে
D
কর্তব্যবোধ থেকে
সহনশীলতা
সহনশীলতা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের অন্যতম প্রধান গুণ। এটি শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো সহনশীলতা, কারণ গণতন্ত্র টিকে থাকতে হলে ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতা থাকতে হয়।
অন্যের মতামত বা আচরণ আমাদের সাথে না মিললেও সেটিকে সম্মান করার মধ্যেই প্রকৃত সহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়। সহনশীলতা থাকলে সমাজে অশান্তি ও উত্তেজনা কমে যায় এবং সুখী ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে।
ব্যক্তির নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা থেকেই সহনশীলতার মানস গড়ে ওঠে। তাই ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন—সব ক্ষেত্রেই সহনশীলতা অপরিহার্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
'আমরা যে সমাজেই বসবাস করি না কেন, আমরা সকলেই ভালো নাগরিক হওয়ার প্রত্যাশা করি'। এটি -
Created: 1 week ago
A
নৈতিক অনুশাসন
B
রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
C
আইনের শাসন
D
আইনের অধ্যাদেশ
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values)
রাজনৈতিক মূল্যবোধ বলতে এমন চিন্তাভাবনা, উদ্দেশ্য ও সংকল্পকে বোঝায় যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ, সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে।
রাজনৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ:
-
রাজনৈতিক সততা বজায় রাখা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যপূর্ন আচরণ প্রদর্শন করা
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা প্রকাশ করা
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি অনুসরণ করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সহিষ্ণু থাকা
-
বিরোধী মতকে প্রকাশ ও প্রচারের সুযোগ দেওয়া
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দেওয়া
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়া
-
আইনসভাকে কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করা
সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values)
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।
সামাজিক মূল্যবোধের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক শিষ্টাচার ও সততা
-
সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচার
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা
-
শ্রমের মর্যাদা মানা
-
শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
-
দানশীলতা ও উদারতা
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের সদস্যদের সম্মিলিত বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা তারা ভালো বলে গ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ দু’ই মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত করে।
-
এই মূল্যবোধগুলো মানুষকে ভালো নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago