বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
A
২০১০
B
২০১১
C
২০১২
D
২০১৩
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি কাঠামোবদ্ধ পরিকল্পনা, যা নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
এই কৌশল নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীদারের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এবং শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
-
স্লোগান: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
-
প্রণয়ন: বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে এই কৌশল গ্রহণ করেছে
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা
-
ভূমিকা: রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীদারদের দায়িত্ব নির্ধারণ
-
গ্রহণকারী: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
-
শুদ্ধাচারের সংজ্ঞা: নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা
শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সমাজে অনাচার হ্রাস পায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এটি কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং চরিত্রনিষ্ঠার প্রকাশ। নাগরিকরা রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
শুদ্ধাচারের প্রচলন হলে দুর্নীতি হ্রাস পায়, জনগণ অন্যায় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার কমে।

0
Updated: 11 hours ago
নিচের কোনটি সুশাসনের উপাদান নয়?
Created: 1 week ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
নৈতিক শাসন
D
জবাবদিহিতা
সুশাসনের উপাদান
সাধারণভাবে সুশাসন বলতে এমন এক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যা একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। একই সঙ্গে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশাসনের ভিত্তি হলো নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
সুশাসনের প্রধান উপাদানগুলো হলো
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন গণমাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজের ভূমিকা
-
দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি – মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি কী?
Created: 11 hours ago
A
মূল্যবােধ
B
আইনের শাসন
C
গণতন্ত্র
D
আমলাতন্ত্র
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথ ও কার্যকর শাসন যা সমাজে সুব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি সামাজিক ধারণা এবং এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
আইনের শাসন ছাড়া কোনো সমাজে স্থায়ীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা যা সমাজে নিয়ম ও ন্যায় নিশ্চিত করে।
-
এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যক।
আইনের শাসন বলতে বোঝায় এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান, অর্থাৎ আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়। এটি সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করে। আইনের শাসন না থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ও নৈতিক হ্রাস দেখা দেয়।
নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার কেবল আইনের শাসনের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়। সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করে নাগরিকদের সমতা।
-
সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার আইনের শাসনের মাধ্যমে বলবৎ করা যায়।
-
আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী-দরিদ্র, শক্তিশালী-দুর্বল ব্যবধান প্রকট হয়।
-
সহমর্মিতা, ন্যায়, নীতি ও আদর্শের ক্ষয় ঘটে।
-
সভ্য সমাজের মূল মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।

0
Updated: 11 hours ago