কোন নৈতিক মানদণ্ডটি সর্বোচ্চ সুখের উপর গুরুত্ব প্রদান করে?
A
আত্মস্বার্থবাদ
B
পরার্থবাদ
C
পূর্ণতাবাদ
D
উপযােগবাদ
উত্তরের বিবরণ
উপযোগবাদ একটি দার্শনিক মতবাদ যা নৈতিকতার মান হিসেবে সুখকে কেন্দ্র করে। এই দর্শনের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে একটি কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে তা কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করতে সক্ষম তার উপর।
জন স্টুয়ার্ট মিলের ভাষায় উপযোগবাদ হলো "একটি বিশ্বাস যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে উপযোগিতা বা সর্বোচ্চ আনন্দের নীতিকে গ্রহণ করে এবং মনে করে যে কার্যাবলী যথার্থ হয় আনন্দকে উৎসাহিত করার প্রবণতার অনুপাতে।"
উপযোগবাদীরা নিজেদেরকে প্রায়শই সুখবাদী বা উপযোগবাদী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন, কারণ তারা বিশ্বাস করতেন যে নৈতিকতা এবং কাজের মান নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো মানুষের সুখ।
-
উপযোগবাদের মূল নীতি: আমাদের কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রথম প্রবক্তা: উপযোগবাদের প্রাথমিক ধারণা দেন হাচিসন, তবে এর প্রকৃত প্রবক্তা হলেন জেরেমি বেন্থাম এবং জে এস মিল।
-
বেন্থামের অবদান: তিনি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সুখের ধারণা দেন এবং এই সুখকে পরিমাণগতভাবে নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন।
-
মিলের ব্যাখ্যা: নৈতিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপযোগিতা বা আনন্দকে কেন্দ্র করে কাজের যথার্থতা বিচার করা হয়।
-
মূল বক্তব্য: উপযোগবাদ অনুসারে নৈতিকতার ভিত্তি হলো সুখ, এবং সুখের মাধ্যমে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য নিরূপিত হয়।
-
লক্ষ্য: সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ সুখ নিশ্চিত করা।

0
Updated: 11 hours ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 2 weeks ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 11 hours ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement

0
Updated: 11 hours ago
“রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক।” কে এই উক্তি করেন?
Created: 4 days ago
A
এইচ. ডি, স্টেইন
B
জন স্মিথ
C
মিশেল ক্যামডেসাস
D
এম, ডব্লিউ, পামফ্রে
সুশাসন হলো একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও অধিকার সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যম। সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP-এর মতে, সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিকাশের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
তাত্ত্বিক মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন, 'রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক' (Good Governance is important for countries at all stages of development)।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন, 'যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র সে সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে'।

0
Updated: 4 days ago