সুশাসনের মূল ভিত্তি কী?
A
মূল্যবােধ
B
আইনের শাসন
C
গণতন্ত্র
D
আমলাতন্ত্র
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথ ও কার্যকর শাসন যা সমাজে সুব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি সামাজিক ধারণা এবং এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
আইনের শাসন ছাড়া কোনো সমাজে স্থায়ীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা যা সমাজে নিয়ম ও ন্যায় নিশ্চিত করে।
-
এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যক।
আইনের শাসন বলতে বোঝায় এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান, অর্থাৎ আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়। এটি সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করে। আইনের শাসন না থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ও নৈতিক হ্রাস দেখা দেয়।
নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার কেবল আইনের শাসনের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়। সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করে নাগরিকদের সমতা।
-
সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার আইনের শাসনের মাধ্যমে বলবৎ করা যায়।
-
আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী-দরিদ্র, শক্তিশালী-দুর্বল ব্যবধান প্রকট হয়।
-
সহমর্মিতা, ন্যায়, নীতি ও আদর্শের ক্ষয় ঘটে।
-
সভ্য সমাজের মূল মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।

0
Updated: 11 hours ago
'আমরা যে সমাজেই বসবাস করি না কেন, আমরা সকলেই ভালো নাগরিক হওয়ার প্রত্যাশা করি'। এটি -
Created: 1 week ago
A
নৈতিক অনুশাসন
B
রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
C
আইনের শাসন
D
আইনের অধ্যাদেশ
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values)
রাজনৈতিক মূল্যবোধ বলতে এমন চিন্তাভাবনা, উদ্দেশ্য ও সংকল্পকে বোঝায় যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ, সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে।
রাজনৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ:
-
রাজনৈতিক সততা বজায় রাখা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যপূর্ন আচরণ প্রদর্শন করা
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা প্রকাশ করা
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি অনুসরণ করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সহিষ্ণু থাকা
-
বিরোধী মতকে প্রকাশ ও প্রচারের সুযোগ দেওয়া
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দেওয়া
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়া
-
আইনসভাকে কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করা
সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values)
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।
সামাজিক মূল্যবোধের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক শিষ্টাচার ও সততা
-
সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচার
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা
-
শ্রমের মর্যাদা মানা
-
শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
-
দানশীলতা ও উদারতা
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের সদস্যদের সম্মিলিত বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা তারা ভালো বলে গ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ দু’ই মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত করে।
-
এই মূল্যবোধগুলো মানুষকে ভালো নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
মূল্যবোধ দৃঢ় হয়-
Created: 4 days ago
A
শিক্ষার মাধ্যমে
B
সুশাসনের মাধ্যমে
C
ধর্মের মাধ্যমে
D
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবোধ মূলত মানুষের আচরণের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং শিক্ষার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা যায়। জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে, যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষার ধরণ ও প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ অর্জন, যা জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। মানুষের শিক্ষাজীবনকে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরণের মাধ্যমে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
পরিবার হলো মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক উৎস।
-
বিদ্যালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উৎস।
-
মানুষের জন্মকাল থেকে শুরু হওয়া মূল্যবোধ শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরন ও প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
-
শিক্ষাজীবন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 4 days ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 2 weeks ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago