‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
উত্তরের বিবরণ
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement

0
Updated: 11 hours ago
মূল্যবোধ হলো-
Created: 1 week ago
A
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
B
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
C
সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
D
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
মূল্যবোধ ও মূল্যবোধ শিক্ষা
-
মূল্যবোধ হলো সেই নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
অন্যভাবে বলা যায়, মূল্যবোধ হলো মানুষের কিছু নির্দিষ্ট মনোভাব ও বিশ্বাসের সংমিশ্রণ, যা সময়ের সাথে স্থায়ীভাবে গড়ে ওঠে।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজে প্রচলিত নিয়ম, প্রথা, রীতিনীতি ও আদর্শ সম্পর্কে শিক্ষিত হয় এবং তা তার আচরণে প্রতিফলিত হয়।
-
মূল্যবোধ শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তিও।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে এবং দেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম সূচক।
ফ্রাঙ্কেলের দৃষ্টিকোণ:
-
“মূল্যবোধ হলো আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের ধারণ।”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 2 weeks ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
'আমরা যে সমাজেই বসবাস করি না কেন, আমরা সকলেই ভালো নাগরিক হওয়ার প্রত্যাশা করি'। এটি -
Created: 1 week ago
A
নৈতিক অনুশাসন
B
রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
C
আইনের শাসন
D
আইনের অধ্যাদেশ
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values)
রাজনৈতিক মূল্যবোধ বলতে এমন চিন্তাভাবনা, উদ্দেশ্য ও সংকল্পকে বোঝায় যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ, সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে।
রাজনৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ:
-
রাজনৈতিক সততা বজায় রাখা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যপূর্ন আচরণ প্রদর্শন করা
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা প্রকাশ করা
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি অনুসরণ করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সহিষ্ণু থাকা
-
বিরোধী মতকে প্রকাশ ও প্রচারের সুযোগ দেওয়া
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দেওয়া
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়া
-
আইনসভাকে কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করা
সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values)
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।
সামাজিক মূল্যবোধের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক শিষ্টাচার ও সততা
-
সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচার
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা
-
শ্রমের মর্যাদা মানা
-
শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
-
দানশীলতা ও উদারতা
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের সদস্যদের সম্মিলিত বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা তারা ভালো বলে গ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ দু’ই মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত করে।
-
এই মূল্যবোধগুলো মানুষকে ভালো নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago