উৎপত্তিগত অর্থে governance শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
A
ল্যাটিন
B
গ্রিক
C
হিব্রু
D
ফারসি
উত্তরের বিবরণ
Governance শব্দটি গ্রিক ভাষা থেকে উদ্ভূত এবং এর অর্থ হলো শাসন বা পরিচালনা প্রক্রিয়া/নিয়ন্ত্রণ। মূলত এটি গ্রিক শব্দ 'kubernan' থেকে এসেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র বইয়ে Governance শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন ভাষা থেকে বলা হয়েছে, যা সঠিক নয়; প্রকৃতপক্ষে ল্যাটিন ভাষা এই শব্দটি গ্রিক ভাষা থেকে গ্রহণ করেছে।
-
Governance হল একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র এবং প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা করা যায়।
-
এটি সাধারণত এমন একটি পদ্ধতিকে বোঝায় যেখানে একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো সংস্থা, সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্ধারণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নীতি প্রণয়ন করা হয়।
-
Good Governance বা সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল "Good Governance", যা কার্যকর শাসন বোঝায়।
-
সুশাসন বোঝার জন্য Governance বা শাসন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, দায়িত্বশীলতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ।
-
সুশাসন সেই শাসনব্যবস্থা যা জনগণ ও রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 11 hours ago
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ লালন করে -
Created: 2 weeks ago
A
সামাজিক মূল্যবোধকে
B
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে
C
ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে
D
স্বাধীনতার মূল্যবোধকে
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ
সামাজিক মূল্যবোধ
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের মূল ভিত্তি।
-
এটি হলো এমন বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা ব্যক্তিকে আচরণে পরিচালিত করে এবং অন্যের কাজের ভাল-মন্দ বিচার করার মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি, পরিবার, পেশা, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকল স্তরে প্রযোজ্য।
-
এটি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সমাজের সাধারণ মানুষের সম্মত বিশ্বাস ও নীতিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষকে তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
-
এটি হলো সমাজ ও ব্যক্তির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং সমাজের মানুষের আচরণ যাচাই করার মানদণ্ড।
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
-
আধুনিক বিশ্বে ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা ও স্ব-পরিচয়কে সমর্থন করে।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হলো ব্যক্তির নিজস্ব রুচি, বিশ্বাস, মনোভাব, ধারণা ও নীতি-নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত আচরণ নিয়ন্ত্রণের মান।
-
প্রতিটি শিশুই কিছু ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় এবং পরিবার থেকে সে এগুলো শিখতে থাকে।
-
ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন তার নিজস্ব মূল্যবোধের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
উৎস: সমাজকল্যাণ ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 2 weeks ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
‘শাসক যদি মহৎগুণসম্পন্ন হয় তাহলে আইন নিষ্প্রয়ােজন, আর শাসক যদি মহৎগুণসম্পন্ন না হয় তাহলে আইন অকার্যকর’-এটি কে বলেছেন?
Created: 11 hours ago
A
সক্রেটিস
B
প্লেটো
C
অ্যারিস্টটল
D
বেনথাম
নীতিশাস্ত্র মূলত মানুষের আচার-আচরণ এবং ভালো-মন্দের বিচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি সমাজে নৈতিকতা ও আইনকে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করে। নৈতিকতা এবং আইন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো:
-
মানুষের আচার-আচরণের মূল্যায়ন, যা ভালো এবং মন্দ নির্ধারণ করে, তা নীতিশাস্ত্রের মূল বিষয়।
-
সমাজে সর্বজন স্বীকৃত নৈতিক আদর্শই পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
যদি কোনো দেশের প্রচলিত আইন নৈতিকতার বিরোধী হয়, তবে সেই আইন কার্যকর হয় না।
-
কারণ, কোনো রাষ্ট্রীয় আইন যদি জনগণের নৈতিক মানদণ্ডের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হয়, তখন তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সম্ভাবনা থাকে।
প্লেটো তাঁর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “যদি শাসক ন্যায়বান হন, তাহলে আইন প্রয়োজন হয় না; আর যদি শাসক দুর্নীতিপরায়ণ হন, তাহলে আইনও কার্যকর হয় না।”

0
Updated: 11 hours ago