'On Liberty' গ্রন্থের লেখক কে?
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
টমাস হবস্
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
জেরেমি বেন্থাম
উত্তরের বিবরণ
জন স্টুয়ার্ট মিল একজন বিশিষ্ট ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং উপযোগবাদের প্রবক্তা, যিনি দার্শনিক চিন্তাভাবনা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার চিন্তাধারা বিশেষ করে স্বাধীনতা, নীতি, ও সামাজিক ন্যায় নিয়ে কেন্দ্রিত।
তাদের রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে:
-
A System of Logic
-
Autobiography
-
Considerations on Representative Government
-
Essays on Some Unsettled Questions of Political Economy
-
Examination of Sir William Hamilton’s Philosophy
-
On Liberty
-
Principles of Political Economy
-
The Subjection of Women
-
Utilitarianism
উল্লেখযোগ্য বিষয়, জন স্টুয়ার্ট মিল তার বিখ্যাত গ্রন্থ On Liberty-তে উল্লেখ করেন যে, “মানুষের মৌলিক শক্তির বলিষ্ঠ, অব্যাহত ও বিভিন্নমুখী প্রকাশই স্বাধীনতা।”

0
Updated: 11 hours ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 3 weeks ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.

0
Updated: 3 weeks ago
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 11 hours ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement

0
Updated: 11 hours ago
UNDP সুশাসন নিশ্চিতকরণে কয়টি উপাদান উল্লেখ করেছে?
Created: 2 weeks ago
A
৬টি
B
৭টি
C
৮টি
D
৯টি
UNDP এবং সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শাসনের মান উন্নয়নের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে সুশাসনের একটি সংজ্ঞা প্রদান করে। UNDP-এর মতে:
“সুশাসন হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার ব্যবহার, যা দেশের সমস্ত স্তরে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োগ করা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country's affairs at all levels)
UNDP অনুযায়ী সুশাসনের মূল উপাদানসমূহ (৯টি):
-
স্বচ্ছতা (Transparency): প্রশাসনিক কার্যক্রম স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হওয়া।
-
আইনের শাসন (Rule of Law): সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া।
-
সবার অংশগ্রহণ (Participation): নাগরিকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা থাকা।
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness): জনগণের চাহিদা ও সমস্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের তৎপরতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Majority Rule with Minority Rights): সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে চলা, কিন্তু সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা।
-
সমতা (Equity): সকলের জন্য ন্যায্য সুযোগ এবং সেবা।
-
ন্যায্যতা (Fairness): সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রক্রিয়ায় ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখা।
-
জবাবদিহিতা (Accountability): প্রশাসন ও শাসকরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
-
কৌশলগত লক্ষ্য (Strategic Vision): দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন এবং লক্ষ্য অর্জনের দিক নির্দেশনা থাকা।
উৎস: UNDP ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 weeks ago