নিম্নের কোন দুর্যোগ 'hydro-meteorological' দুর্যোগ হিসেবে পরিচিত?
A
বন্যা
B
খরা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
ভূমিধস (ব্যাখ্যা দেখুন)
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্নের সবগুলো অপশনই hydro-meteorological দুর্যোগ হওয়ায় এবং সঠিক উত্তর না থাকার কারণে এই প্রশ্নটি বাতিল করা হয়েছে। Hydro-meteorological
দুর্যোগ হলো এমন পরিস্থিতি যা মূলত জলবায়ু বা আবহাওয়া সম্পর্কিত প্রাকৃতিক ঘটনার কারণে সৃষ্টি হয় এবং সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে।
এই ধরনের দুর্যোগ মানুষ, সম্পদ ও পরিবেশের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে, এবং প্রায়শই স্থানীয় সম্পদ দিয়ে তা মোকাবেলা করা সম্ভব না হয়ে বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
দুর্যোগ হলো একটি মারাত্মক পরিস্থিতি যা প্রকৃতি বা মানবসৃষ্ট আপদের কারণে দেখা দেয়।
-
সব আপদই দুর্যোগ নয়; আপদ ও বিপদাপন্নতা একত্র হলে তা দুর্যোগ পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
দুর্যোগ পরিস্থিতি চলমান সমাজ জীবনকে গভীরভাবে ব্যাহত করে এবং বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
-
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও পরিস্থিতি নির্ধারণ করে সমাজের সামর্থ্য।
-
জলজ আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ (Hydrometeorological Disasters) হলো জলবায়ু বা আবহাওয়া সম্পর্কিত প্রাকৃতিক ঘটনার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ।
-
এই ধরনের দুর্যোগে সাধারণত জল এবং বায়ু সম্পর্কিত প্রাকৃতিক শক্তি কাজ করে।
-
জলজ আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ মানুষ এবং পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
-
উদাহরণ: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, ভারি বৃষ্টি, খরা, তুষারপাত।
0
Updated: 1 month ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-৩০' হচ্ছে একটি-
Created: 1 month ago
A
জাপানের উন্নয়ন কৌশল
B
সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
C
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
D
ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক (Sendai Framework)
-
১৪–১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে জাপানের সেন্দাই শহরে জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের শেষ দিনে "সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫–২০৩০" গৃহীত হয়।
-
এই ফ্রেমওয়ার্কে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ৪টি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল— টেকসই ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাতটি লক্ষ্য (Goals of Sendai Framework)
১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩. ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি জিডিপির তুলনায় হ্রাস করা।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা।
৫. ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের হার বাড়ানো।
৬. ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা।
৭. ২০৩০ সালের মধ্যে বহু-বিপদ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সবার জন্য সহজলভ্য করা।
উৎস: UNDRR ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
'পলল পাখা' জাতীয় ভূমিরূপ গড়ে উঠে -
Created: 1 month ago
A
পাহাড়ের পাদদেশে
B
নদীর নিম্ন অববাহিকায়
C
নদীর উৎপত্তিস্থলে
D
নদী মোহনায়
পলল পাখা ভূমিরূপ
-
পলল পাখা সাধারণত পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হয়।
-
যখন কোনো নদী হঠাৎ করে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে সমভূমিতে প্রবেশ করে, তখন সঙ্গে আনা শিলাখণ্ড, বালি ও পলিমাটি পাহাড়ের পাদদেশে জমা হয়।
-
এসব পলল মিলে একটি ত্রিভুজাকার ভূমি গঠন করে, যা হাতপাখার মতো দেখতে। এই বিশেষ পললভূমিকেই বলা হয় পলল পাখা বা পলল কোণ।
মাটির ধরনভেদে পার্থক্য
-
যদি অঞ্চলের মাটি বেশি পানি শোষণ করতে পারে, তবে শিলাচূর্ণ বেশি দূরে যেতে পারে না। ফলে পাহাড়ের পাদদেশেই পলল কোণ তৈরি হয়।
-
আর মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম হলে, পলল কিছুটা দূরে ছড়িয়ে গিয়ে পলল পাখা তৈরি করে।
উদাহরণ
হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার বিভিন্ন উপনদীর ধারে এ ধরনের পলল কোণ ও পলল পাখা ভূমিরূপ দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতম মাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জানুয়ারি
B
ফেব্রুয়ারি
C
ডিসেম্বর
D
মে
গোলার্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতে গেলে বলা যায় যে পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করার জন্য একটি কাল্পনিক রেখা ব্যবহার করা হয়, যাকে নিরক্ষরেখা বলা হয়। এই রেখা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে আলাদা করে এবং পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নিরক্ষরেখা হলো একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধকে বিভক্ত করে।
-
এই রেখাকে বিষুবরেখা বলা হয় এবং এর অক্ষাংশ 0°।
-
এটি পৃথিবীর মাঝখানে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রসারিত।
-
নিরক্ষরেখার উত্তরের স্থানগুলি উত্তর গোলার্ধে পড়ে।
-
নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত স্থানগুলি দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে।
-
উদাহরণস্বরূপ, আফ্রিকার কিছু অংশ, দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ অঞ্চল এবং পুরো অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত।
দক্ষিণ গোলার্ধ সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো:
-
এটি পৃথিবীর দক্ষিণ অংশ।
-
২২ ডিসেম্বর এখানে দীর্ঘতম দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত দেখা যায়।
-
২১ জুন দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘ রাত হয়।
-
উষ্ণতম মাস হলো জানুয়ারি এবং শীতলতম মাস জুলাই।
0
Updated: 1 month ago