সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোন দুর্যোগটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে?
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
টর্নেডাে
D
খরা
উত্তরের বিবরণ
ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা হঠাৎ সংঘটিত হয় এবং পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূ-কম্পনের কারণে ঘটে এবং এর প্রভাব কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
-
ভূ-আলোড়ন বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠাকে ভূমিকম্প বলা হয়।
-
ভূ-গর্ভে যেখানে এই কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Centre বা Focus) বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্র বরাবর ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত বিন্দুটি হলো উপকেন্দ্র (Epicentre)।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প ঢেউয়ের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
ভূমিকম্প সাধারণত পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (BNBC) ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সমগ্র দেশকে চারটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. খুবই গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চল)।
২. গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উচ্চ মধ্য, উত্তর-পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রংপুর ইত্যাদি জেলা)।
৩. মাঝারি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: নিম্ন মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম অংশ (ঢাকা, কুমিল্লা, নাটোর, নোয়াখালী, পাবনা, সুন্দরবন ইত্যাদি)।
৪. কম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ইত্যাদি)।
অতিরিক্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্পের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই অঞ্চলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বৃহৎ স্কেল মানচিত্র?
Created: 1 month ago
A
১ : ১০,০০০
B
১ : ১০০,০০০
C
১ : ১০০০,০০০
D
১ : ২৫০০,০০০
মানচিত্রকে এর স্কেলের ওপর ভিত্তি করে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—
ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র
-
যখন বড় এলাকা যেমন একটি দেশ, মহাদেশ বা পুরো পৃথিবীকে ছোট কাগজে প্রদর্শন করা হয়, তখন তাকে ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র বলা হয়।
-
এ ধরনের মানচিত্রে স্থানগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট দেখানো হয়।
-
উদাহরণ: ভূ-চিত্রাবলি, দেওয়াল মানচিত্র।
-
স্কেল উদাহরণ: ১:১০,০০০।
বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র
-
যখন ছোট এলাকা, যেমন একটি মৌজা বা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানচিত্রকে বড় আকারে দেখানো হয়, তখন তাকে বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র বলা হয়।
-
এই মানচিত্রে বিস্তারিত তথ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
উদাহরণ: মৌজা মানচিত্র, ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র, ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র।
-
স্কেল উদাহরণ: ১"=১৬ মাইল; ১৬"=১ মাইল; ১:১০,০০০।
প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Map)
-
এই ধরনের মানচিত্রে কোনো দেশ বা অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভূমিরূপ যেমন: পর্বত, মালভূমি, নদী, হ্রদ ইত্যাদি দেখানো হয়।
-
সাধারণত এটি বৃহৎ স্কেলে অঙ্কিত হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ভৌগোলিক এলাকাটি 'রামসার সাইট' হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
রামসাগর
B
বগা লেইক (Lake)
C
টাঙ্গুয়ার হাওর
D
কাপ্তাই হ্রদ
রামসার কনভেনশন
-
রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগ।
-
এটিই পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে গৃহীত প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ একত্র হয়ে Convention on Wetlands নামে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে।
-
বর্তমানে এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১৭২টি।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
-
বাংলাদেশ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনের সদস্য হয়।
-
দেশে মোট ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত:
১. সুন্দরবন
২. টাঙ্গুয়ার হাওর
উৎস:
0
Updated: 1 month ago