বাংলাদেশের কোন জেলাটি কয়লা সমৃদ্ধ?
A
সিলেট
B
কুমিল্লা
C
রাজশাহী
D
দিনাজপুর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে মোট পাঁচটি কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, যার মধ্যে সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে ১৯৬২ সালে। তবে অতিরিক্ত গভীরতার কারণে এ খনি থেকে এখনও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়নি।
বর্তমানে দেশে একমাত্র দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া খনি থেকেই কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।
তথ্যগুলো হলো:
-
বাংলাদেশে মোট কয়লাক্ষেত্র: ৫টি
-
প্রথম আবিষ্কৃত কয়লাক্ষেত্র: জামালগঞ্জ, জয়পুরহাট, ১৯৬২ সালে
-
জামালগঞ্জ খনির অবস্থা: গভীরতা বেশি হওয়ায় এখনো উত্তোলন শুরু হয়নি
-
বর্তমানে কার্যকর খনি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাক্ষেত্র
দেশের কয়লাক্ষেত্রগুলোর তালিকা:
-
বড়পুকুরিয়া: দিনাজপুর, আবিষ্কারক জিএসবি, আবিষ্কারের সন ১৯৮৫
-
দীঘিপাড়া: দিনাজপুর, আবিষ্কারক জিএসবি, আবিষ্কারের সন ১৯৯৫
-
ফুলবাড়ী: দিনাজপুর, আবিষ্কারক জিএসবি, আবিষ্কারের সন ১৯৮৯
-
খালাসপীর: রংপুর, আবিষ্কারক বি.এইচ.পি মিনারেলস, আবিষ্কারের সন ১৯৯৭
-
জামালগঞ্জ: জয়পুরহাট, আবিষ্কারক জিএসবি, আবিষ্কারের সন ১৯৬২
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর মধ্যে কোন খাতে বেশি কর্মসংস্থান হয়?
Created: 1 month ago
A
নির্মাণ খাত
B
কৃষি খাত
C
সেবা খাত
D
শিল্প কারখানা খাত
খাতভিত্তিক কর্মসংস্থান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর অবদান ও কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিম্নরূপ:
কৃষি খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ১১.০২%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৩.২১%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৪৫%
শিল্প খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৩৭.৯৫%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৬.৬৬%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ১৭%
সেবা খাত
-
অর্থনৈতিক অবদান: ৫১.০৪%
-
প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮০%
-
নিয়োজিত জনশক্তি: ৩৮%
বিশ্লেষণ
-
কর্মসংস্থানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় খাত হলো কৃষি, কারণ এখানে জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নিয়োজিত।
-
অর্থনৈতিক অবদানে সবচেয়ে বড় খাত হলো সেবা খাত, যা দেশের মোট জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অংশ রাখে।
-
শিল্প খাত তুলনামূলকভাবে ছোট খাত হিসেবে জনশক্তি নিয়োগে হলেও, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
0
Updated: 1 month ago
একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
Created: 1 month ago
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের এফসিডিআই প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
Created: 1 month ago
A
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
B
পানি নিষ্কাশন
C
পানি সেচ
D
উপরের তিনটি (ক, খ ও গ)
এফসিডিআই (FCDIP) প্রকল্প
FCDIP-এর পূর্ণরূপ: Flood Control, Drainage and Irrigation Projects (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প)।
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় স্বাভাবিক বছরে দেশের প্রায় ২০% এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। আবার ১৯৯৮ সালের মতো ভয়াবহ বন্যায় এই হার প্রায় ৭০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এফসিডিআই প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে—
-
বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ,
-
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন এবং
-
সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়।
ফলস্বরূপ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং জমি ব্যবহার আরও উপযোগী হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (BWDB) গঠনের জন্য Bangladesh Water and Power Development Boards Order, 1972 (P.O. No. 59 of 1972) জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নকে আরও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য
এফসিডিআই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য তিনটি—
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
-
পানি নিষ্কাশন
-
সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণ
উৎস: বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর
0
Updated: 1 month ago