নিম্নের কোন দেশটির সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে?
A
চীন
B
পাকিস্তান
C
থাইল্যান্ড
D
মায়ানমার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা দেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও কৌশলগত অবস্থানকে স্পষ্ট করে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো।
-
বাংলাদেশ ২০°৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°৩৮′ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮°০১′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
দেশের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩°৫′) অতিক্রম করেছে।
-
পূর্ব থেকে পশ্চিমে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৪৪০ কিলোমিটার এবং উত্তর-উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃতি ৭৬০ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূলভাগ ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, আর দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
-
ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে মোট ৩২টি জেলার।
-
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে।
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙামাটি জেলা ভারতের সাথেও এবং মিয়ানমারের সাথেও সীমান্তযুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?
Created: 2 months ago
A
কমিউনিটি পর্যায়ে
B
জাতীয় পর্যায়ে
C
উপজেলা পর্যায়ে
D
আঞ্চলিক পর্যায়ে
কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
-
কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ:
জাতীয়, উপজেলা বা আঞ্চলিক পর্যায়ের ব্যবস্থার তুলনায় কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ বেশি কার্যকর। কারণ এতে স্থানীয় জনগণ সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়।
এছাড়াও, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার চেয়ে দলগতভাবে মানুষকে সচেতন করা বেশি ফলপ্রসূ।
উপকূলীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের চিত্র
-
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
-
এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙন নিয়মিত ক্ষতি সৃষ্টি করে।
-
তাই দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল পদ্ধতি
১. সতর্কবার্তা প্রচার: আবহাওয়ার তথ্যভিত্তিক পূর্বাভাস এবং সতর্কবার্তা সময়মতো জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
২. ভূ-উপগ্রহ ও রাডার বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্পারসো সংস্থা উপগ্রহ চিত্র ও রাডার চিত্র ব্যবহার করে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ উন্নত করা।
৩. বন্যা পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বন্যার পূর্বাভাস কার্যক্রম উন্নয়ন করা।
৪. ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি: সরকারি সংস্থা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সতর্কীকরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৫. সামরিক সহযোগিতা: জরুরি সময়ে চিকিৎসা, উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সামরিক বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করে।
৬. মিডিয়ার ভূমিকা: বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দুর্যোগ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. বেসরকারি সংস্থার অবদান: অক্সফাম, ডিজাস্টার ফোরাম, কেয়ার বাংলাদেশ, কারিতাস, প্রশিকা, সিসিডিবি, বিডিপিসি এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সাহায্যের কত শতাংশ বাংলাদেশকে প্রদান করবে?
Created: 2 months ago
A
৩০%
B
৪০%
C
৫০%
D
৬০%
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং বিশ্ব সাহায্য
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার জন্য প্রদত্ত বৈশ্বিক সাহায্যের ৩০% বাংলাদেশ পাবে।
বাংলাদেশে ঝুঁকির কারণ:
-
বাংলাদেশের একটি বড় অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি হওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে আছে।
-
দেশের ৬০% ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
-
বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতি ৩–৫ বছরে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে।
-
এর ফলে অবকাঠামো, বাসস্থান, কৃষি ও জীবিকায় বড় ক্ষতি হয়।
-
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতেও থাকে।
-
IPCC-এর অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ১৭% ভূমি এবং ৩০% খাদ্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ:
২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক প্রণীত ‘Economics of Adaptation to Climate Change: Bangladesh’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে ৫,৫১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আবর্তক ব্যয় প্রয়োজন।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২
1
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের এফসিডিআই প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
Created: 1 month ago
A
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
B
পানি নিষ্কাশন
C
পানি সেচ
D
উপরের তিনটি (ক, খ ও গ)
এফসিডিআই (FCDIP) প্রকল্প
FCDIP-এর পূর্ণরূপ: Flood Control, Drainage and Irrigation Projects (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প)।
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় স্বাভাবিক বছরে দেশের প্রায় ২০% এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। আবার ১৯৯৮ সালের মতো ভয়াবহ বন্যায় এই হার প্রায় ৭০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এফসিডিআই প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে—
-
বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ,
-
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন এবং
-
সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়।
ফলস্বরূপ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং জমি ব্যবহার আরও উপযোগী হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (BWDB) গঠনের জন্য Bangladesh Water and Power Development Boards Order, 1972 (P.O. No. 59 of 1972) জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নকে আরও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য
এফসিডিআই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য তিনটি—
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
-
পানি নিষ্কাশন
-
সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণ
উৎস: বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর
0
Updated: 1 month ago