বাংলাদেশের কোথায় প্লাইস্টোসিন কালের সোপান দেখা যায়?
A
বান্দরবান
B
কুষ্টিয়া
C
কুমিল্লা
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত, যা গঠনের সময়কাল ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে। এই বিভাজনের মধ্যে অন্যতম হলো প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ, যা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌম বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত।
-
ভূপ্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
-
প্লাইস্টোসিনকাল বলতে আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কালকে বোঝানো হয়।
-
এই অঞ্চলের মাটি সাধারণত লাল ও ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
-
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই সমস্ত উচ্চভূমি প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago
'সােয়াচ অব নাে গ্রাউন্ড' কী?
Created: 1 month ago
A
একটি দেশের নাম
B
ম্যানগ্রোভ বন
C
একটি দ্বীপ
D
সাবমেরিন ক্যানিয়ন
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড একটি বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক অববাহিকা, যা খাদ আকৃতির এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করছে এবং গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের প্রস্থ ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার, তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল এবং পার্শ্ব দেয়াল প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো। মহীসোপানের কিনারায় এর গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার। বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত তৈরি করে বেঙ্গল ফ্যানে পলল ফেলে।
অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন হয় এবং এগুলো হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিক থেকে আসে। বর্তমানে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত ও বালি মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
-
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground) খাদ আকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা।
-
বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।
-
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করছে।
-
গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত।
-
প্রস্থ ৫–৭ কিলোমিটার, তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল এবং পার্শ্ব দেয়াল প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো।
-
মহীসোপানের কিনারায় গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত তৈরি করে বেঙ্গল ফ্যানে পলল ফেলে।
-
অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন হয়।
-
পলল হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিক থেকে আসে।
-
বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত ও বালি মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫cm বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে climate refugee হবে?
Created: 2 months ago
A
৩ কোটি
B
৩.৫ কোটি
C
৪ কোটি
D
৪.৫ কোটি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফলাফল
মানুষের অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস (যেমন: কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড) নির্গমনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে, এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।
বাংলাদেশ এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। অন্যান্য দেশ এখনও বিপদের মুখোমুখি হয়নি, আমাদের দেশ ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব অনুভব করছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী:
-
আগামী ৫০ বছরে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট (প্রায় ৯১ সেন্টিমিটার) বৃদ্ধি পায়, তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় ১৭% জমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
আনুমানিক ৩–৩.৫ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারেন।
-
ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের পর নদীর জল প্রবাহ কমতে পারে, ফলে এশিয়ায় পানির ঘাটতি দেখা দেবে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বন্যা, ঝড়, অনাবৃষ্টি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আরও বাড়বে। এই প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অনুভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্রা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় ১০.৯% ভূমি প্লাবিত হবে।
-
এতে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
উৎস: World Bank ওয়েবসাইট
1
Updated: 2 months ago
নিম্নের কোন দুর্যোগটি বাংলাদেশের জনগণের জীবিকা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে?
Created: 2 months ago
A
ভূমিকম্প
B
সমুদ্রের জলস্তরের বৃদ্ধি (Sea level rise)
C
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস
D
খরা বা বন্যা
সমুদ্রের জলস্তরের বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের জীবিকার ওপর প্রভাব
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে।
এর ফলে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত আঘাত হানছে। এসব কারণে উপকূলের অসংখ্য নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
লবণাক্ততা বৃদ্ধি
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা দ্রুত বাড়ছে।
-
কৃষি জমি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায়। গত ৩০ বছরে খুলনায় লবণাক্ততা বেড়েছে প্রায় ২১%, আর বাগেরহাটে ১৫.৮৮%।
-
একসময় নড়াইল, যশোর ও গোপালগঞ্জে লবণাক্ততা প্রায় ছিল না, এখন সেখানেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
-
বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি লবণাক্ত মাটিতে পরিণত হয়েছে।
-
ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যদি আরও ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়ে তবে লবণাক্ততা আরও ভেতরের দিকে প্রবেশ করবে এবং কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
-
ঋতুভেদে লবণাক্ততার তারতম্য লক্ষ্য করা যায়—বর্ষায় প্রায় ১০%, আর শুষ্ক মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০% (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ২০২০)।
-
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ ১৯৭৩ সালে ছিল ৮৩.৩ মিলিয়ন হেক্টর, ২০০০ সালে ১০২ মিলিয়ন হেক্টর, ২০০৯ সালে ১০৫.৬ মিলিয়ন হেক্টর, এবং ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯.৮ মিলিয়ন হেক্টর (ইউএসবি ও আইপিএস রিপোর্ট, ২০২০)।
সমুদ্রপৃষ্ঠ ও জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি
-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন বেড়ে গেছে।
-
কুতুবদিয়া ও সন্দ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ইতোমধ্যেই সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
-
পূর্ব হিমালয় থেকে প্রবাহিত পানির প্রায় ৯০% এর বেশি বাংলাদেশের নদীপথ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মেশে।
-
ইউএনডিপি (২০১৯) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হাতিয়ার চরচঙ্গা স্টেশনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৫.৭৩ মিমি, আর সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে বেড়েছে ৩.৩৮ মিমি।
উৎসঃ বিবিএ বাংলা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago