নিম্নের কোন উপজেলাটি সবচেয়ে নদীভাঙ্গন-প্রবণ?
A
বােয়ালমারী
B
নড়িয়া
C
আলমডাঙ্গা
D
নিকলি
উত্তরের বিবরণ
নদীভাঙ্গন হলো একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেখানে নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে তীরবর্তী এলাকার জমি ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ভূগোল প্রধানত নদীমাতৃক হওয়ায় দেশজুড়ে নদ-নদী ছড়িয়ে রয়েছে, ফলে নদীভাঙ্গন সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান।
নদীভাঙ্গনের কারণে নদীর তীরবর্তী পাকা ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
-
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীভাঙ্গন একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।
-
নদীভাঙ্গনের ফলে পাকা ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংস হয়।
-
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা বর্তমানে সবচেয়ে ভাঙ্গন প্রবণ।
-
পদ্মার ভাঙনের ফলে পদ্মাতীরবর্তী উপজেলা থেকে বসতবাড়ি, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
-
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) অনুযায়ী, নড়িয়া উপজেলার প্রায় ১৩.২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে তলিয়ে গেছে।
-
২০১১-১২ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত প্রতিবছর নড়িয়াতে গড়ে অর্ধ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা ভাঙনের শিকার হয়।
-
২০১৫-১৬ সময়ে ১.৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়।
-
২০১৭ সালের জুলাই থেকে প্রায় ২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে।
অন্য ভাঙ্গন প্রবণ উপজেলা:
-
বোয়ালমারি, ফরিদপুর জেলা
-
আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা জেলা
-
নিকলি, কিশোরগঞ্জ জেলা

0
Updated: 11 hours ago
নিচের কোনটি বৃহৎ স্কেল মানচিত্র?
Created: 1 week ago
A
১ : ১০,০০০
B
১ : ১০০,০০০
C
১ : ১০০০,০০০
D
১ : ২৫০০,০০০
মানচিত্রকে এর স্কেলের ওপর ভিত্তি করে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—
ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র
-
যখন বড় এলাকা যেমন একটি দেশ, মহাদেশ বা পুরো পৃথিবীকে ছোট কাগজে প্রদর্শন করা হয়, তখন তাকে ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র বলা হয়।
-
এ ধরনের মানচিত্রে স্থানগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট দেখানো হয়।
-
উদাহরণ: ভূ-চিত্রাবলি, দেওয়াল মানচিত্র।
-
স্কেল উদাহরণ: ১:১০,০০০।
বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র
-
যখন ছোট এলাকা, যেমন একটি মৌজা বা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানচিত্রকে বড় আকারে দেখানো হয়, তখন তাকে বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র বলা হয়।
-
এই মানচিত্রে বিস্তারিত তথ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
উদাহরণ: মৌজা মানচিত্র, ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র, ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র।
-
স্কেল উদাহরণ: ১"=১৬ মাইল; ১৬"=১ মাইল; ১:১০,০০০।
প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Map)
-
এই ধরনের মানচিত্রে কোনো দেশ বা অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভূমিরূপ যেমন: পর্বত, মালভূমি, নদী, হ্রদ ইত্যাদি দেখানো হয়।
-
সাধারণত এটি বৃহৎ স্কেলে অঙ্কিত হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago