’যুদ্ধবন্দীদের সাথে আচরণ’ সম্পর্কে বলা হয়েছে কততম জেনেভা কনভেনশনে?
A
প্রথম জেনেভা কনভেনশন
B
দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন
C
তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন
D
চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন
উত্তরের বিবরণ
জেনেভা কনভেনশন হলো আন্তর্জাতিক আইন, যা যুদ্ধকালীন মানবাধিকার ও মানবিক আচরণের মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে। এর মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধের সময় আহত, অসুস্থ ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
-
জেনেভা কনভেনশন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্বাক্ষরিত হয়।
-
এর আওতায় ৪টি চুক্তি এবং ৩টি প্রটোকল রয়েছে।
-
এই চুক্তিগুলোকে সাধারণভাবে চারটি রেডক্রস কনভেনশন বলা হয়।
প্রথম জেনেভা কনভেনশন:
-
আহত ও অসুস্থ সেনাদের সুরক্ষা এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন:
-
সমুদ্রে যুদ্ধরত সেনাদের সুরক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কিত।
-
এটি ১৯০৭ সালের 'হেগ চুক্তি' সংশোধন করে স্বাক্ষরিত হয়।
তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন:
-
যুদ্ধবন্দীদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করে।
চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন:
-
সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্র বা দখলদারিত্বের সময়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'অরেঞ্জ বিপ্লব' কত সালে সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
২০০০ সালে
B
২০০২ সালে
C
২০০৪ সালে
D
২০০৬ সালে
অরেঞ্জ বিপ্লব হলো ইউক্রেনে সংঘটিত এক ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক আন্দোলন, যা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা এবং নির্বাচন স্বচ্ছতার দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়।
-
স্থান ও বছর: ইউক্রেন, ২০০৪
-
কেন্দ্রবিন্দু: রাজধানী কিয়েভ
-
কারণ: ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি এবং ব্যাপক দুর্নীতি
-
প্রকৃতি: ধারাবাহিক প্রতিবাদ এবং রাজনৈতিক আন্দোলন
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মিয়ানমারের একটি গেরিলা সংগঠন?
Created: 2 months ago
A
হিজবুল্লাহ
B
গডস আর্মি
C
এলটিটিই
D
এমএনএলএফ
গডস আর্মি (God’s Army)
-
মিয়ানমারের একটি গেরিলা সংগঠন।
-
এটি কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (Karen National Union) একটি বিচ্ছিন্ন দল।
-
নেতৃত্ব দেয় যমজ ভাই জনি ও লুথার হটু।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৭, প্রতিষ্ঠাতা সাউ তুই তুই।
অন্য দেশের গেরিলা সংগঠন:
-
শ্রীলঙ্কা: LTTE
-
লেবানন: হিজবুল্লাহ
-
ফিলিপাইন: MNLF
উৎস: Federation of American Scientists
0
Updated: 2 months ago
ইতালিতে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূচনা কত সালে মুসোলিনির নেতৃত্বে ঘটে
Created: 1 month ago
A
১৯২০ সালে
B
১৯২২ সালে
C
১৯২৪ সালে
D
১৯২৬ সালে
• ফ্যাসিবাদ:
- ইতালিয় শব্দ 'ফ্যাসিমো' এসেছে 'ফ্যাসিও' থেকে, অন্যদিকে 'ফ্যাসিও' শব্দটি এসছে ল্যাটিন শব্দ 'ফ্যাসেস' থেকে।
- এর অর্থ হচ্ছে, লাঠি, কাঠ বা রডের আটি, যেটি একত্রে বেধে রাখা হয়।
- ‘ফ্যাসিজম’ হচ্ছে একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং গণআন্দোলন, যেটি ১৯১৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়েছিল।
- ‘ফ্যাসিজম’ বা ‘ফ্যাসিবাদ’ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উগ্র-ডানপন্থী জাতীয়তাবাদের আবির্ভাব ঘটে ইউরোপে।
- এই মতাদর্শে বিরোধীদের কোন জায়গা ছিল না।
- ফ্যাসিবাদের মূলমন্ত্র: ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ, ব্যক্তি স্বাধীনতার অবমূল্যায়ন, উগ্র জাতীয়তাবাদ।
- ১৯২২ সালে, মুসোলিনি ইতালিতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার শাসনব্যবস্থা দ্রুত অন্যান্য দেশে প্রভাব বিস্তার করে।
অন্যদিকে,
⇒ জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে ‘নাৎসিজম’ বা ‘নাৎসিবাদ’– এর উত্থান হয়। এটি ছিল ‘ফ্যাসিজম’ এর একটি রূপ।
- ‘ফ্যাসিবাদ’ উত্থানের মধ্য দিয়ে ইউরোপে হিটলার ও মুসোলিনির মতো বিতর্কিত নেতার উদ্ভব হয়।
- ফ্যাসিস্টরা মার্ক্সবাদীদের বিরোধী ছিল।
0
Updated: 1 month ago