নিম্নের কোন দেশটির সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে?
A
চীন
B
পাকিস্তান
C
থাইল্যান্ড
D
মায়ানমার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা দেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও কৌশলগত অবস্থানকে স্পষ্ট করে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো।
-
বাংলাদেশ ২০°৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°৩৮′ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮°০১′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
দেশের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩°৫′) অতিক্রম করেছে।
-
পূর্ব থেকে পশ্চিমে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৪৪০ কিলোমিটার এবং উত্তর-উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃতি ৭৬০ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূলভাগ ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, আর দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
-
ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে মোট ৩২টি জেলার।
-
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে।
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙামাটি জেলা ভারতের সাথেও এবং মিয়ানমারের সাথেও সীমান্তযুক্ত।

0
Updated: 12 hours ago
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
নয়াদিল্লি
B
কলম্বো
C
ঢাকা
D
কাঠমান্ডু
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (SAARC Disaster Management Centre)
SAARC
-
পূর্ণরূপ: South Asian Association for Regional Cooperation
-
এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
-
প্রতিষ্ঠিত: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৫, ঢাকায়।
-
বর্তমানে সদস্য দেশ সংখ্যা: ৮টি।
সার্কের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র: গান্ধীনগর, গুজরাট, ভারত
-
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র: কলম্বো, শ্রীলংকা
-
কৃষি ও আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র: ঢাকা, বাংলাদেশ
-
যক্ষ্মা ও এইচআইভি/এইডস কেন্দ্র: কাঠমান্ডু, নেপাল
-
শক্তি কেন্দ্র: পাকিস্তান
-
বন গবেষণা কেন্দ্র: থিম্পু, ভুটান
-
মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র: ইসলামাবাদ, পাকিস্তান
-
উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র: মালদ্বীপ
মূল তথ্য:
-
প্রথমে ২০০৬ সালে নয়াদিল্লিতে সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
২০১৬ সালে সার্ক আবহাওয়া কেন্দ্র, বন কেন্দ্র এবং উপকূলীয় কেন্দ্রকে একীভূত করে কেন্দ্রটি গুজরাটের গান্ধীনগরে স্থানান্তর করা হয়।
-
বর্তমানে এই কেন্দ্র গুজরাট, গান্ধীনগরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উৎস: SAARC ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোন দুর্যোগটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে?
Created: 12 hours ago
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
টর্নেডাে
D
খরা
ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা হঠাৎ সংঘটিত হয় এবং পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূ-কম্পনের কারণে ঘটে এবং এর প্রভাব কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
-
ভূ-আলোড়ন বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠাকে ভূমিকম্প বলা হয়।
-
ভূ-গর্ভে যেখানে এই কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Centre বা Focus) বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্র বরাবর ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত বিন্দুটি হলো উপকেন্দ্র (Epicentre)।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প ঢেউয়ের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
ভূমিকম্প সাধারণত পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (BNBC) ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সমগ্র দেশকে চারটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. খুবই গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চল)।
২. গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উচ্চ মধ্য, উত্তর-পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রংপুর ইত্যাদি জেলা)।
৩. মাঝারি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: নিম্ন মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম অংশ (ঢাকা, কুমিল্লা, নাটোর, নোয়াখালী, পাবনা, সুন্দরবন ইত্যাদি)।
৪. কম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ইত্যাদি)।
অতিরিক্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্পের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই অঞ্চলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

0
Updated: 12 hours ago
একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
Created: 4 days ago
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 4 days ago