বাংলাদেশের কোথায় প্লাইস্টোসিন কালের সোপান দেখা যায়?
A
বান্দরবান
B
কুষ্টিয়া
C
কুমিল্লা
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত, যা গঠনের সময়কাল ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে। এই বিভাজনের মধ্যে অন্যতম হলো প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ, যা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌম বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত।
-
ভূপ্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
-
প্লাইস্টোসিনকাল বলতে আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কালকে বোঝানো হয়।
-
এই অঞ্চলের মাটি সাধারণত লাল ও ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
-
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই সমস্ত উচ্চভূমি প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল।

0
Updated: 12 hours ago
দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতম মাস কোনটি?
Created: 4 days ago
A
জানুয়ারি
B
ফেব্রুয়ারি
C
ডিসেম্বর
D
মে
গোলার্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতে গেলে বলা যায় যে পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করার জন্য একটি কাল্পনিক রেখা ব্যবহার করা হয়, যাকে নিরক্ষরেখা বলা হয়। এই রেখা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে আলাদা করে এবং পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
নিরক্ষরেখা হলো একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধকে বিভক্ত করে।
-
এই রেখাকে বিষুবরেখা বলা হয় এবং এর অক্ষাংশ 0°।
-
এটি পৃথিবীর মাঝখানে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রসারিত।
-
নিরক্ষরেখার উত্তরের স্থানগুলি উত্তর গোলার্ধে পড়ে।
-
নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত স্থানগুলি দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে।
-
উদাহরণস্বরূপ, আফ্রিকার কিছু অংশ, দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ অঞ্চল এবং পুরো অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত।
দক্ষিণ গোলার্ধ সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো:
-
এটি পৃথিবীর দক্ষিণ অংশ।
-
২২ ডিসেম্বর এখানে দীর্ঘতম দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত দেখা যায়।
-
২১ জুন দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘ রাত হয়।
-
উষ্ণতম মাস হলো জানুয়ারি এবং শীতলতম মাস জুলাই।

0
Updated: 4 days ago
আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
Created: 1 week ago
A
সাভানা
B
তুন্দ্রা
C
প্রেইরি
D
সাহেল
সাহেল (Sahel)
-
সাহেল হলো আফ্রিকার পশ্চিমাংশে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত একটি অঞ্চল।
-
এখানে মৌরিতানিয়া, মালি, নাইজারসহ একাধিক দেশ রয়েছে।
-
এ অঞ্চলের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো সাভানা ধরনের বনভূমি।
প্রেইরি (Prairie)
-
প্রেইরি হলো উত্তর আমেরিকার বিশাল উর্বর তৃণভূমি।
তুন্দ্রা (Tundra):
-
তুন্দ্রা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তর প্রান্তের স্থলজ জীবমণ্ডল বা বায়োম, যেখানে গাছপালা প্রায় জন্মায় না।
উৎস: Encyclopedia Britannica

0
Updated: 1 week ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই?
Created: 3 weeks ago
A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 3 weeks ago