কোন বনাঞ্চল প্রতিনিয়ত লবণাক্ত পানি দ্বারা প্লাবিত হয়?
A
পার্বত্য বন
B
শালবন
C
মধুপুর বন
D
ম্যানগ্রোভ বন
উত্তরের বিবরণ
ম্যানগ্রোভ বলতে মূলত জোয়ার-ভাটার প্রভাবে প্লাবিত বিস্তীর্ণ উপকূলীয় জলাভূমিকে বোঝায়। এ বন দিনে দু’বার লোনা পানির সংস্পর্শে আসে বলে একে ম্যানগ্রোভ বন বলা হয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটেছে, যা সুন্দরবন নামে সর্বাধিক পরিচিত এবং পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে খ্যাত।
-
ম্যানগ্রোভ বন উপকূলীয় বন।
-
সুন্দরবনের ৬২ শতাংশ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় এবং অবশিষ্ট অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলায় বিস্তৃত।
-
এ বনাঞ্চলের আয়তন প্রায় ৬১১৭ বর্গমাইল, যা বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৪.০৭ শতাংশ।
-
এখানে জন্মানো বৃক্ষসমূহ লোনা পানি সহনশীল এবং এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম।
-
সুন্দরবনের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৬৫১ থেকে ১৭৭৮ মি.মি.।
-
মাটিতে অতিরিক্ত লবণ ও পচা জৈব পদার্থ থাকায় অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে গাছপালা শ্বাসমূল (pneumatophores) তৈরি করে।
-
বৃক্ষসমূহ চিরহরিৎ প্রকৃতির।
-
ম্যানগ্রোভ বনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী, ধুন্দুল, গরান, বাইন, কেওড়া, পশুর, গোলপাতা ও হেন্তাল।
-
উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ ও বানর।

0
Updated: 12 hours ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-৩০' হচ্ছে একটি-
Created: 1 week ago
A
জাপানের উন্নয়ন কৌশল
B
সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
C
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
D
ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক (Sendai Framework)
-
১৪–১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে জাপানের সেন্দাই শহরে জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের শেষ দিনে "সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫–২০৩০" গৃহীত হয়।
-
এই ফ্রেমওয়ার্কে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ৪টি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল— টেকসই ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাতটি লক্ষ্য (Goals of Sendai Framework)
১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩. ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি জিডিপির তুলনায় হ্রাস করা।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা।
৫. ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের হার বাড়ানো।
৬. ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা।
৭. ২০৩০ সালের মধ্যে বহু-বিপদ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সবার জন্য সহজলভ্য করা।
উৎস: UNDRR ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
'জুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের কোন জেলাসমূহে দেখা যায়?
Created: 3 weeks ago
A
সাতক্ষীরা, যশোহর, কুষ্টিয়া
B
নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
C
বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
D
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
জুমচাষ (Jhum) পদ্ধতি
-
জুমচাষ বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
জুমচাষ মানে হলো স্থানের পরিবর্তন করে চাষ করা। এর মাধ্যমে কৃষকরা এক জায়গায় কয়েক বছর (প্রায় ১–৩ বছর) ফসল চাষ করেন, তারপর সেই জমিকে দীর্ঘ সময় (১০–৪০ বছর) বনায়ন ও মাটির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য ফেলে দেন।
-
চাষ করার পদ্ধতিতে বন কেটে বা পোড়ানো হয়, তাই এটিকে সাধারণভাবে ‘সুইডেন চাষাবাদ’ বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ’ বলা হয়।
-
জুমচাষ কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য পাহাড়ি দেশে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে এটি প্রধানত রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে হয়। এছাড়া সিলেটের কিছু পাহাড়ি এলাকায়ও জুমচাষ হয়।
-
পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জুমচাষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জুমচাষের নেতিবাচক প্রভাব:
-
মাটির উর্বরতা হ্রাস।
-
ভূমিক্ষয় ও পাহাড়ি ঢালে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
-
বন উজাড় ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট।
-
নদী, হ্রদ ও জলাশয় ভরাট হওয়া।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণি।

0
Updated: 3 weeks ago