জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কে?
A
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
B
পল-হেনরি স্পাক
C
ট্রিগভেলী
D
লেস্টার বি. পিয়ারসন
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (UN General Assembly)
-
প্রকৃতি: জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থা
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯৩টি দেশ
-
আইনগত ভিত্তি: জাতিসংঘ সনদের চতুর্থ অধ্যায় (ধারা ৯–২২)
-
অধিবেশন: বার্ষিক সাধারণ অধিবেশন, সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়
-
প্রথম অধিবেশন:
-
তারিখ: ১০ জানুয়ারি, ১৯৪৬
-
স্থান: লন্ডন
-
প্রতিনিধি: ৫১টি দেশ
-
সভাপতি: বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পল-হেনরি স্পাক
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৪র্থ সংশোধনী
B
৭ম সংশোধনী
C
৬ষ্ঠ সংশোধনী
D
৯ম সংশোধনী
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে গৃহীত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে নবম সংশোধনী (১৯৮৯) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
নবম সংশোধনী (১৯৮৯)
-
গৃহীত: ১৯৮৯ সালের ১১ জুলাই
-
প্রধান পরিবর্তনসমূহ:
-
উপ-রাষ্ট্রপতি পদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন।
-
রাষ্ট্রপতির পদে একই ব্যক্তির দায়িত্ব পরপর দুই মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা (প্রতি মেয়াদ ৫ বছর)।
-
শূন্যতা সৃষ্টি হলে উপ-রাষ্ট্রপতি নিয়োগের জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন।
-
অন্য সংশোধনীগুলি (সংক্ষিপ্ত বিবরণ)
| সংশোধনী | সাল | মূল বিষয় |
|---|---|---|
| ১ম | ১৯৭৩, জুলাই | সংবিধানের প্রথম সংশোধনী |
| ২য় | ১৯৭৩, ২২ সেপ্টেম্বর | বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিবর্তন |
| ৩য় | ১৯৭৪, ২৩ নভেম্বর | ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন |
| ৪র্থ | ১৯৭৫, ২৫ জানুয়ারি | শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন |
| ৫ম | ১৯৭৯, ৬ এপ্রিল | সংসদীয় আইন পরিবর্তন |
| ৬ষ্ঠ | ১৯৮১, ১০ জুলাই | অন্যান্য প্রশাসনিক পরিবর্তন |
| ৭ম | ১৯৮৬, ১১ নভেম্বর | জাতীয় সংসদে সংশোধনী |
| ৮ম | ১৯৮৮, ৯ জুন | সংবিধানে পরিবর্তন |
| ৯ম | ১৯৮৯, ১১ জুলাই | উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচন |
| ১০ম | ১৯৯০, ১২ জুন | সংশোধনী বিল পাস |
| ১১তম | ১৯৯১ | বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কিত |
| ১২তম | ১৯৯১, ৬ আগস্ট | রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় সরকার পুনঃপ্রবর্তন |
| ১৩তম | ১৯৯৬, ২৬ মার্চ | নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু |
| ১৪তম | ২০০৪, ১৬ মে | সংবিধানে পরিবর্তন |
| ১৫তম | ২০১১, ৩০ জুন | উচ্চ আদালতের বিচারপতি সম্পর্কিত ক্ষমতা |
| ১৬তম | ২০১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর | বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা আইনপ্রণেতাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া |
| ১৭তম | ২০১৮, ২৯ জানুয়ারি | সর্বশেষ সংশোধনী |
উপসংহার:
নবম সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়, যা বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বর্ণিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৬৫ নং অনুচ্ছেদ
B
৬৬ নং অনুচ্ছেদ
C
৬৭ নং অনুচ্ছেদ
D
৬৮ নং অনুচ্ছেদ
জাতীয় সংসদ ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা (সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৬৫)
জাতীয় সংসদের গঠন ও কার্যক্ষমতা:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “জাতীয় সংসদ” নামে একটি একক সংসদ থাকবে।
-
এই সংসদের উপর প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত সকল ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে।
-
সংবিধানের পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা:
-
আইন প্রণয়নের একক এখতিয়ার জাতীয় সংসদের হাতে রয়েছে।
-
সংসদের আইন দ্বারা যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা আইনগত কার্যকরতার চুক্তিপত্র প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হলেও, সংসদ নিজে এই ক্ষমতা থেকে মুক্ত নয়।
-
আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সংসদ সংবিধান সংশোধন, নতুন আইন প্রণয়ন এবং পুরাতন আইন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
জাতীয় সংসদ দেশের প্রধান আইনসভা, যা সংবিধানের বিধান অনুযায়ী দেশের আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।
-
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংসদ সংবিধানের মৌলিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে।
-
প্রয়োজনে সংসদ সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
উপসংহার:
সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের আইন প্রণয়নের একমাত্র সংবিধিবদ্ধ ক্ষমতাধারী প্রতিষ্ঠান, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা, শাসন ও প্রশাসন কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ড. কামাল হোসেন
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
আবু সাঈদ চৌধুরী
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যের কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন, যিনি তখন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
-
হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ।
-
সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন; বাংলা ও ইংরেজী লিপিতে স্বাক্ষর করা হয় ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
0
Updated: 1 month ago