GATT চুক্তির কোন রাউন্ডের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্ম হয়?
A
উরুগুয়ে রাউন্ড
B
টোকিও রাউন্ড
C
কেনেডি রাউন্ড
D
জেনেভা রাউন্ড
উত্তরের বিবরণ
GATT চুক্তির রাউন্ড ১৯৪৭ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে মোট ৮টি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
GATT রাউন্ডসমূহ:
-
জেনেভা রাউন্ড (Geneva Round)
-
অ্যানেসি রাউন্ড (Annecy Round)
-
টরকুয়ে রাউন্ড (Torquay Round)
-
জেনেভা রাউন্ড II (Geneva II Round)
-
ডিলন রাউন্ড (Dillon Round)
-
কেনেডি রাউন্ড (Kennedy Round)
-
টোকিও রাউন্ড (Tokyo Round)
-
উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round)
উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round):
-
GATT রাউন্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ
-
সংলাপ চলেছিল ৮ বছর ধরে, শুরু: সেপ্টেম্বর ১৯৮৬
-
সমাপ্তি: ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৪, GATT চুক্তি সংশোধনের মাধ্যমে
-
ফলস্বরূপ, নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়
-
১৯৯৫ সালে এর ভিত্তিতে World Trade Organization (WTO) প্রতিষ্ঠিত হয়
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 1 month ago
A
বিভাগীয় প্রশাসন
B
জেলা প্রশাসন
C
উপজেলা প্রশাসন
D
উপজেলা পরিষদ
উপজেলা পরিষদকে স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয় না, কারণ এটি মূলত একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন বলতে বোঝানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত শাসন কাঠামো, যা স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর হয়।
-
স্থানীয় শাসন বলতে সাধারণত বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কাঠামোকে বোঝানো হয়।
-
প্রশাসনিক সুবিধার্থে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
-
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।
-
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় এবং সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য।
-
এই ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধি বা এজেন্ট হিসেবে বিবেচিত হন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে বিচারক নিয়োগ দেয়—
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
আইনমন্ত্রী
D
অ্যাটর্নি জেনারেল
সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) – বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত হলো সুপ্রিম কোর্ট।
১. বিভাগসমূহ
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ আছে:
-
আপিল বিভাগ
-
হাইকোর্ট বিভাগ
২. প্রধান বিচারপতি ও বিচারক
-
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিযুক্ত হন।
-
প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, তারা সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিয়োগ দেন।
-
বিচারকরা বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
৩. যোগ্যতা ও শর্তাবলী
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
-
বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
0
Updated: 1 month ago
স্বদেশী আন্দোলনের সূত্রপাত কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল?
Created: 1 month ago
A
গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলন
B
সিপাহী বিদ্রোহ
C
ভারত বিভক্তি
D
বঙ্গভঙ্গ
স্বদেশী আন্দোলন ছিল একটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, যা মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে শুরু হয়। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর কংগ্রেসের উগ্রপন্থী অংশের নেতৃত্বে এই আন্দোলন গড়ে ওঠে। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল বিলেতি পণ্য বর্জন, পরে বিলেতি শিক্ষা বর্জনও আন্দোলনের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
স্বদেশী আন্দোলন ক্রমশ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। কংগ্রেস নেতারা গ্রামে, গঞ্জে এবং শহরে বিলেতি পণ্য পুড়িয়ে ফেলে এবং দেশী পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করেন।
-
আন্দোলনের ফলে বাংলার নিজস্ব তাঁতবস্ত্র, সাবান, লবণ, চিনি ও চামড়ার দ্রব্য তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে।
-
বিলেতি শিক্ষা বর্জনের কারণে আন্দোলনের সাথে যুক্তদের বিভিন্ন সরকারি স্কুল-কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়, এবং প্রয়োজনে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
-
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজণীকান্ত সেন প্রমুখ জাতীয়তাবোধক গান রচনা করেন। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’।
-
মুসলমান সমাজ আন্দোলন থেকে দূরে থাকায় এটি জাতীয় রূপলাভে ব্যর্থ হয়।
-
সাধারণ মানুষ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্নবর্ণের লোকজন দারিদ্র্যের কারণে আন্দোলনের মর্ম বুঝতে ব্যর্থ হয়।
-
বিলেতি দ্রব্য বর্জন সম্পূর্ণভাবে সফল হয়নি, কারণ কোলকাতার অবাঙালি ব্যবসায়ী ও বাংলার গ্রাম্য ব্যবসায়ীরা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হননি।
-
আন্দোলন যদি গোপন সশস্ত্র সংগ্রামের পথে অগ্রসর হতো, জনগণ তখনও দূরে সরে যেত।
-
আন্দোলনের ফলে হিন্দু ও মুসলমানের সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি পায়, যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হিসেবে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের বিভাজন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago