বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কে ছিলেন?
A
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
B
উ থান্ট
C
ড. বুট্রোস বুট্রোস ঘালি
D
ট্রিগভেলী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
সম্পর্কের সূচনা: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে।
-
মহাসচিব: বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল:
-
ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করে।
-
তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম উদ্যোগী হন।
-
উ থান্ত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
১৯৭২ সালের আগস্ট:
-
৮ আগস্ট: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ আবেদনের জন্য আবেদন জমা দেয়।
-
১১ আগস্ট: নিরাপত্তা পরিষদে বিবেচনার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত।
-
২৩ আগস্ট: সদস্যপদ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হয় (যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোস্লাভিয়ার সমর্থন)।
-
২৫ আগস্ট: চীনের ভেটোর কারণে তখন বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি।
-
-
১৯৭৪ সালের জুন:
-
পুনরায় আবেদন করা হয়।
-
১০ জুন: নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়; চীন ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
-
১৭ সেপ্টেম্বর: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্যপদ অনুমোদন করে।
-
ফলাফল: বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
মহাসচিব সংক্রান্ত তথ্য:
-
উ থান্ত (১৯৬১-১৯৭১): মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দায়িত্বে।
-
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম (১৯৭২-১৯৮১): বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় দায়িত্বে।

0
Updated: 13 hours ago
বর্তমানে দেশে সরকারিভাবে মোট কয়টি স্থলবন্দর রয়েছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 week ago
A
১৬টি
B
২০টি
C
২২টি
D
২৪টি
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বিএসবিক)
-
লক্ষ্য:
স্থলপথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সহজতর ও উন্নত করা। -
স্থলবন্দর সংখ্যা:
-
দেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর সরকারিভাবে বিদ্যমান।
-
চলমান স্থলবন্দর সংখ্যা: ১৬টি।
-
চলমান স্থলবন্দরসমূহ
-
বাস্থবক পরিচালিত (১১টি):
বেনাপোল, ভোমরা, আখাউড়া, বুড়িমারী, নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, বিলোনিয়া, শেওলা, ধানুয়াকামালপুর। -
BOT ভিত্তিতে পরিচালিত (৫টি):
সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার। -
চালুর অপেক্ষায় (২টি):
রামগড়, বাল্লা।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রতিষ্ঠা সাল: ২০০১
-
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান: হ্যাঁ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো কোন রোগ প্রতিরোধে টিকা দেবে সরকার? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 week ago
A
ডেঙ্গু
B
হেপাটাইটিস
C
টাইফয়েড
D
চিকুনগুনিয়া
টাইফয়েড টিকা
-
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড প্রতিরোধে সরকারী টিকা প্রদান করা হবে।
-
ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।
-
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)–এর আওতায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে।
-
এক ডোজের ইনজেকটেবল টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করবে।
উল্লেখযোগ্য:
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুযায়ী, টাইফয়েড হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়।
-
উপসর্গসমূহ: দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়া।
-
গুরুতর ক্ষেত্রে জটিলতা বা মৃত্যু হতে পারে।
-
বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ মারা যায়।
তথ্যসূত্র: নিউজ প্রতিবেদন [Link]

0
Updated: 1 week ago
২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কত?
Created: 1 week ago
A
৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার
B
৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার
C
৫২.৫ বিলিয়ন ডলার
D
৭৫.৫ বিলিয়ন ডলার
রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা (২০২৫-২৬ অর্থবছর)
-
মোট লক্ষ্যমাত্রা: ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার
-
২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় ১৬.৫% বৃদ্ধি।
-
লক্ষ্য অর্জিত হবে বিশ্ববাজারে পণ্য ও সেবা রপ্তানির মাধ্যমে।
-
-
আয় ভাগ:
-
পণ্য রপ্তানি: ৫৫ বিলিয়ন ডলার
-
সেবা রপ্তানি: ৮.৫ বিলিয়ন ডলার
-
-
প্রধান পণ্যভিত্তিক আয়ের আশা:
-
তৈরি পোশাক (ওভেন খাত): ২০.৭৯ বিলিয়ন ডলার
-
তৈরি পোশাক (নিট খাত): ২৩.৭০ বিলিয়ন ডলার
-
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য: ১.২৫ বিলিয়ন ডলার
-
পাট ও পাটপণ্য: ৯০০ মিলিয়ন ডলার
-
কৃষিপণ্য: ১.২১ বিলিয়ন ডলার
-
-
সূত্র:
-
তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবর রহমান, ১২ আগস্ট ২০২৫।
-
উৎস: The Business Standard

0
Updated: 1 week ago