মোস্ট-ফেভারড-নেশন (MFN) নীতি কোন সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট?
A
জাতিসংঘ
B
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্ব ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
মোস্ট-ফেভারড-নেশন (Most-Favored-Nation, MFN) নীতি মূলত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-র সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
নীতির মূল বক্তব্য: কোনো দেশ তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈষম্যহীন আচরণ করবে। অর্থাৎ, একটি দেশকে যে সুবিধা দেওয়া হবে, অন্য সব দেশকেও সেই একই সুবিধা দিতে হবে।
-
WTO-এর অধীনে, MFN নীতি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্য নিশ্চিত করে।
বিস্তারিত দিক:
-
নীতি বিভিন্ন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমতা স্থাপন করে।
-
চুক্তিভূক্ত কোনো দেশকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয় না।
-
চুক্তিভূক্ত দেশের সামগ্রীকে একই পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।
-
এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক বৈষম্য কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রাথমিকভাবে, MFN নীতি GATT (General Agreement on Tariffs and Trade) চুক্তির অধীনে কার্যকর ছিল, পরে এটি WTO-এর আওতায় চলে আসে।
0
Updated: 1 month ago
রাজনৈতিক দল কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
মত, পথ ও আদর্শের ভিত্তিতে
B
স্বজাতিবোধের ভিত্তিতে
C
সম্পর্কের ভিত্তিতে
D
ন্যায়নীতির ভিত্তিতে
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সমস্যাবলী:
- বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
- গণতন্ত্রের আদর্শকে সফলভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে বহুদলীয় ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
- যেকোনো ধরনের মত, পথ ও আদর্শের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গড়ে উঠতে পারে।
- যেকোনো গোষ্ঠী বা দল প্রচলিত বিধির আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যেকোনো রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে।
- বর্তমানে বিরাজমান এত অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দল কোন দেশের জন্য সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ হতে পারে না।
- বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এ দলগুলো বিভিন্ন রকম।
- রক্ষণশীল, উদারনৈতিক, প্রগতিশীল, প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল আছে যারা কোন পরিবর্তন চায় না।
- ধনিক শ্রেণি নিয়ে তাদের দল গঠিত। তারা পুরোমাত্রায় রক্ষণশীল। এই দল গুলোর সমর্থকগণ রক্ষণশীল।
- আবার কতগুলো দল আছে যারা বর্তমান সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়তে চায়।
- এই দলের সমর্থকগণ প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র - পৌরনীতি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
"অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন" – এই বিখ্যাত উক্তিটি কার?
Created: 1 month ago
A
হ্যারল্ড লাস্কি
B
জি. ডি. এইচ. কোল
C
টি. এইচ. গ্রীন
D
কার্ল মার্ক্স
-
সমাজতন্ত্রী চিন্তাবিদ জি. ডি. এইচ. কোল বলেছেন, "অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন"। তার মতে, চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য বিদ্যমান থাকলে ভোটাধিকারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক অধিকার অর্থহীন হয়ে পড়ে, কারণ দরিদ্র মানুষ তাদের অধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে না।
অর্থনৈতিক সাম্য:
-
অর্থনৈতিক সাম্যের অর্থ হলো না যে সব সম্পদ সবার মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
-
এর অর্থ হলো—জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে যোগ্যতা অনুযায়ী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমান অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
-
যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার সুযোগই অর্থনৈতিক সাম্য।
-
বেকারত্ব থেকে মুক্তি এবং বৈধ পেশা গ্রহণের সুযোগও অর্থনৈতিক সাম্যের অন্তর্ভুক্ত।
-
এ কারণেই কোল বলেছেন, "অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন"।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সরকাররের রাজস্বের প্রধান উৎস-
Created: 1 month ago
A
রেমিটেন্স
B
কর রাজস্ব
C
বৈদেশিক বানিজ্য
D
চামড়া শিল্প
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস হলো সেই সমস্ত উৎস যেখান থেকে সরকার তার বার্ষিক রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সংগ্রহ করে। এই আয়ের উৎস প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত: কর রাজস্ব এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব, যার মধ্যে কর রাজস্ব সরকারের প্রধান রাজস্ব উৎস।
-
কর রাজস্বের প্রধান উৎস:
-
আয় ও মুনাফা কর
-
আমদানি শুল্ক
-
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
-
আবগারি শুল্ক
-
সম্পূরক শুল্ক
-
যানবাহন কর
-
ভূমি রাজস্ব
-
0
Updated: 1 month ago