জাতিসংঘ সনদের কত নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিরক্ষী বাহিনী বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে?
A
৩৯ নং
B
৪৪ নং
C
৪৬ নং
D
৪৯ নং
উত্তরের বিবরণ
শান্তিরক্ষী বাহিনী (Peacekeeping Forces) জাতিসংঘের মূল শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের অংশ।
-
জাতিসংঘ সনদের রচয়িতা: আর্চিবাল্ড ম্যাকলিশ (Archibald Macleish)
-
সনদ: অধ্যায়-১৯, মোট ১১১টি অনুচ্ছেদ
প্রধান কার্যক্রম:
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে শান্তিরক্ষী মিশন পরিচালিত হয়
-
সনদের ৪৩ ও ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে:
-
বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন
-
যুদ্ধবিরতি চুক্তি তদারকি
-
কার্যকর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা
-
-
প্রথম শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু: ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে, জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে
সম্পর্কিত ধারাসমূহ:
-
ধারা ৩৯: শান্তির প্রতি হুমকি, শান্তিভঙ্গ বা আক্রমণাত্মক কার্য নির্ধারণ নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব
-
ধারা ৪৬: সামরিক বাহিনী নিয়োগ ও পরিকল্পনা নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বে, সামরিক স্টাফ কমিটির সহায়তায় সম্পন্ন হবে
-
ধারা ৪৯: শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সদস্য রাষ্ট্রদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান বাধ্যতামূলক

0
Updated: 12 hours ago
URL এর পূর্ণরূপ-
Created: 1 week ago
A
Uniform Resource Link
B
Universal Resource Link
C
Uniform Resource Locator
D
Unified Resource Locator
URL (Uniform Resource Locator)
-
পূর্ণরূপ: Uniform Resource Locator
-
সংজ্ঞা: কোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাকে URL বলে।
-
অংশসমূহ: একটি URL সাধারণত তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—
১) প্রটোকল নাম (Protocol name): কোন প্রোটোকল ব্যবহার করে রিসোর্সে প্রবেশ করা হবে (যেমন:http
,https
,ftp
)।
২) হোস্টনেইম (Hostname): যে সার্ভারে ওয়েবসাইট হোস্ট করা আছে তার ডোমেইন নাম বা আইপি ঠিকানা।
৩) ফাইলের নাম/পাথ (File name/Path): সার্ভারের ভেতরে নির্দিষ্ট ফাইল বা রিসোর্সের অবস্থান।
উদাহরণ:http://www.google.com/maps
-
http:
→ প্রটোকল নাম -
www.google.com
→ হোস্টনেইম -
maps
→ ফাইলের নাম/পাথ
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।

0
Updated: 1 week ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনকালকে 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
C
রুকনুদ্দিন বারবক শাহ
D
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকালে বাংলায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শিল্প-সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে, যার কারণে তার শাসনকালকে প্রায়শই বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ:
-
তিনি হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
-
১৪৯৩ সালে ‘আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’ উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তার সময়ে আরাকান ও চট্টগ্রাম দখল করা হয়।
-
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতার ভিত্তি প্রাধান্য পেত।
-
বাংলাকে রাজদরবারের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
-
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
-
তাকে নৃপতি তিলক, জগৎভূষণ, কৃষ্ণাবতার উপাধিতে অভিহিত করা হতো।
-
তার শাসনামলকে বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
উল্লেখযোগ্য কাজসমূহ:
-
জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন লঙ্গরখানা স্থাপন ও পানির কূপ খনন করেন।
-
বহু মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং খানকাহ নির্মাণ করেন।
-
বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেবকে সম্মান এবং ধর্ম প্রচারে সুবিধা প্রদান করেন।
-
তার সময়ে বিজয়গুপ্ত পদ্মপুরাণ, মনসা মঙ্গল, বিপ্রদাস মনসা বিজয়, যশোরাজ খান শ্রীকৃষ্ণ বিজয় কাব্য রচিত হয়।
-
মালাধর বসু শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
তিনি নিজেও শ্রীকৃষ্ণ বিজয় নামে একটি কাব্য রচনা করেন।
-
রাজত্বকালে গৌড়ের ‘ছোট সোনা’ মসজিদ নির্মিত হয়।
-
দীর্ঘ ২৬ বছর শাসন করার পর ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কে ছিলেন?
Created: 12 hours ago
A
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
B
উ থান্ট
C
ড. বুট্রোস বুট্রোস ঘালি
D
ট্রিগভেলী
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
সম্পর্কের সূচনা: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে।
-
মহাসচিব: বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল:
-
ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করে।
-
তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম উদ্যোগী হন।
-
উ থান্ত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
১৯৭২ সালের আগস্ট:
-
৮ আগস্ট: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ আবেদনের জন্য আবেদন জমা দেয়।
-
১১ আগস্ট: নিরাপত্তা পরিষদে বিবেচনার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত।
-
২৩ আগস্ট: সদস্যপদ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হয় (যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোস্লাভিয়ার সমর্থন)।
-
২৫ আগস্ট: চীনের ভেটোর কারণে তখন বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি।
-
-
১৯৭৪ সালের জুন:
-
পুনরায় আবেদন করা হয়।
-
১০ জুন: নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়; চীন ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
-
১৭ সেপ্টেম্বর: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্যপদ অনুমোদন করে।
-
ফলাফল: বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
মহাসচিব সংক্রান্ত তথ্য:
-
উ থান্ত (১৯৬১-১৯৭১): মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দায়িত্বে।
-
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম (১৯৭২-১৯৮১): বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় দায়িত্বে।

0
Updated: 12 hours ago