GATT চুক্তির কোন রাউন্ডের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্ম হয়?
A
উরুগুয়ে রাউন্ড
B
টোকিও রাউন্ড
C
কেনেডি রাউন্ড
D
জেনেভা রাউন্ড
উত্তরের বিবরণ
GATT চুক্তির রাউন্ড ১৯৪৭ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে মোট ৮টি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
GATT রাউন্ডসমূহ:
-
জেনেভা রাউন্ড (Geneva Round)
-
অ্যানেসি রাউন্ড (Annecy Round)
-
টরকুয়ে রাউন্ড (Torquay Round)
-
জেনেভা রাউন্ড II (Geneva II Round)
-
ডিলন রাউন্ড (Dillon Round)
-
কেনেডি রাউন্ড (Kennedy Round)
-
টোকিও রাউন্ড (Tokyo Round)
-
উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round)
উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round):
-
GATT রাউন্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ
-
সংলাপ চলেছিল ৮ বছর ধরে, শুরু: সেপ্টেম্বর ১৯৮৬
-
সমাপ্তি: ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৪, GATT চুক্তি সংশোধনের মাধ্যমে
-
ফলস্বরূপ, নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়
-
১৯৯৫ সালে এর ভিত্তিতে World Trade Organization (WTO) প্রতিষ্ঠিত হয়

0
Updated: 13 hours ago
আইনের প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ধর্ম
B
আইনসভা
C
প্রথা
D
বিচারকের রায়
-
রাষ্ট্র ও আইনসভা প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সমাজে প্রথা বিদ্যমান ছিল। মানুষের আচার-আচরণ ও রীতিনীতি দীর্ঘদিন ধরে পালিত হতে হতে প্রথাভিত্তিক আইনে পরিণত হয়। তাই প্রথাই আইনের প্রাচীনতম উৎস।
আইন:
-
ফার্সি ভাষায় "আইন" শব্দের অর্থ সুনির্দিষ্ট নীতি বা নিয়ম।
-
সমাজ জীবনে প্রচলিত বিধি-বিধানকেই আইন বলা হয়।
-
মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র যে বিধিনিষেধ প্রণয়ন করে, সাধারণভাবে সেগুলোকেই আইন বলা হয়।
-
আইন বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
-
আইনের উৎসসমূহ হলো: প্রথা বা রীতিনীতি, ধর্ম, বিচারকের রায়, ন্যায়বিচার, বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও আইনসভা।
-
আইনের অন্যতম প্রাচীন উৎস হলো প্রথা।
-
প্রাচীনকাল থেকে সমাজে অধিকাংশ মানুষের দ্বারা সমর্থিত, স্বীকৃত ও পালিত আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি ও অভ্যাসকেই প্রথা বলা হয়।
-
প্রাচীনকালে কোনো লিখিত আইনের অস্তিত্ব ছিল না।
-
তখন মানুষের আচরণ প্রথা, অভ্যাস ও রীতি-নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো।
-
কালক্রমে অনেক প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: পৌরনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালন করে -
Created: 1 week ago
A
অগ্রণী ব্যাংক
B
সোনালী ব্যাংক
C
রূপালী ব্যাংক
D
জনতা ব্যাংক
নিকাশ ঘর
-
নিকাশ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে দেনা-পাওনা সহজে নিষ্পত্তি করা যায়।
-
এজন্য বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময়ে একটি স্থানে একত্রিত হয়ে নেতা ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আদিষ্ট চেক, ড্রাফট ইত্যাদি দলিল বিনিময় করেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
ব্যাংক ব্যবস্থার শুরুতে দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালু ছিল না।
-
১৯৩৫ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠার পূর্বে এ অঞ্চলে ইম্পেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে নিকাশ কার্য সম্পন্ন হতো।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে নিকাশ ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমান অবস্থা:
-
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৬টি জেলা শহরে নিকাশ ঘর পরিচালনা করছে।
-
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ৪টি কেন্দ্র পরিচালনা করে।
-
যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই, সেখানে সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের হয়ে নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালন করে (১২টি কেন্দ্র)।
📌 উৎস:
i) বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইট
ii) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে কবে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৩ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৫ সালে
জাতীয় ঔষধনীতি
-
প্রাথমিক প্রণয়ন:
-
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয় ১৯৮২ সালে।
-
নীতি গ্রহণের ফলে ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত হয়, দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, আমদানি নির্ভরতা কমে এবং দেশীয় ঔষধ শিল্পে স্বনির্ভরতা আসে।
-
নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ ঔষধ সেক্টরের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।
-
-
সর্বশেষ সংস্কার:
-
২০১৬ সালে জাতীয় ঔষধনীতি সংস্কার করা হয়।
-
সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার জনগণকে নিশ্চয়তা দেয়।
-
এক সময় যেখানে প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত, বর্তমানে ৯৭% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
-
দেশীয় মানসম্মত ঔষধ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন।
-
-
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১. জনগণকে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে নিশ্চিত করা।
২. ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ (Dispensing) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. দেশীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪. দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫. ঔষধের কার্যকর নজরদারি (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬

0
Updated: 1 week ago