জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সভাপতিত্ব করবেন -
A
ফিলেমন ইয়াং
B
আনালেনা বায়েরবক
C
ভোলকান বোজকার
D
মেরি রবিনসন
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ হলো জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থা।
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯৩টি
-
বাৎসরিক অধিবেশন: সাধারণ অধিবেশন
-
সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়
-
প্রতিটি রাষ্ট্র সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি পাঠাতে পারে, যার মধ্যে সাধারণত প্রধান প্রতিনিধি (রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা রাষ্ট্রদূত) এবং সহকারী প্রতিনিধি থাকে
-
প্রয়োজন অনুযায়ী আরও প্রতিনিধির অনুমতি পাওয়া যেতে পারে, তবে ৫ জনের বেশি নয়
-
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি:
-
৮০তম অধিবেশন (২০২৫): আনালেনা বায়েরবোক (Annalena Baerbock), জার্মানির প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
-
-
৭৯তম অধিবেশন: ক্যামেরুনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফিলেমন ইয়াং

0
Updated: 13 hours ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান?
Created: 3 days ago
A
জেলা পরিষদ
B
উপজেলা প্রশাসন
C
জাতীয় সংসদ
D
জেলা পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ
প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হলো ক) জেলা পরিষদ এবং ঘ) পার্বত্য জেলা পরিষদ। তবে অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় এটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বশাসনের ভিত্তিতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি এমন এক ধরণের শাসনব্যবস্থা যেখানে নির্দিষ্ট এলাকার জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের বিষয়াদি পরিচালনা করে।
-
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসন।
-
এ ব্যবস্থায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়।
-
প্রতিনিধিরা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন এবং তাঁদের কার্যক্রমের জবাবদিহি করতে হয়।
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—
-
আইনগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া,
-
নির্বাচিত সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা,
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ,
-
করারোপ করে তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা,
-
নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুযোগ,
-
কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কার্য পরিচালনা।
এ ব্যবস্থা আসলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি পরিশীলিত রূপ, যেখানে স্থানীয় জনগণ সরাসরি ক্ষমতায়নের সুযোগ পান।
বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ।
উৎস:

0
Updated: 3 days ago
কত সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে পরিণত হয়?
Created: 5 days ago
A
১৯৭১ সালে
B
১৯৭১ সালে
C
১৯৭৩ সালে
D
১৯৭৪ সালে
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)
-
বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাভাষায় বিশ্বের প্রথম টেলিভিশন।
-
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে যাত্রা শুরু।
-
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ (পি.ও নং-১১৫) অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল হিসেবে নামকরণ করা হয়।
-
১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিটিভি স্থানান্তরিত হয় রামপুরার নিজস্ব টিভি ভবনে।
-
১৯৮০ সালে শুরু হয় রঙিন সম্প্রচার।
-
সম্প্রচার সুবিধার জন্য বর্তমানে রয়েছে ১৪টি উপকেন্দ্র/রিলে কেন্দ্র।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বিদেশে সম্প্রচার শুরু করার লক্ষ্যে ১১ এপ্রিল ২০০৪ সালে চালু হয় বিটিভি ওয়ার্ল্ড।
-
২০১২ সালের ৫ নভেম্বর থেকে বিটিভির অনুষ্ঠান টেরিস্ট্রিয়াল এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার করা হচ্ছে।
-
২০১৩ সাল থেকে আইপিটিভি, মোবাইল টিভি ও ওয়েবটিভি এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

0
Updated: 5 days ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল কোন দেশ?
Created: 2 weeks ago
A
জার্মানি
B
বেলজিয়াম
C
ভারত
D
পোল্যান্ড
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা
পাকিস্তান
বাংলাদেশ বিষয়াবলী
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল
যুক্তফ্রন্ট
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব (ডিসেম্বর ১৯৭১)
-
৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সক্রিয় হয়ে ওঠে।
-
যুদ্ধ থামাতে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রগতি রোধ করতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
-
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পোল্যান্ড জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে, যাতে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়।
-
প্রস্তাবের খসড়া উপস্থাপন করেন পোলিশ কূটনীতিক আইভান কুলাগা।
-
প্রস্তাবে উভয় পক্ষকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে বলা হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পোল্যান্ডের প্রস্তাবের মূল পয়েন্টসমূহ
-
ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে ১৯৭০ সালের নির্বাচিত জনগণপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
-
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে সব এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধ হবে এবং ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
-
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব সংঘাতের স্থান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।
-
পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী এবং অন্য যে কেউ দেশে ফিরে যেতে চায়, তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদভাবে যাত্রা করতে পারবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে যে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।
-
৭২ ঘন্টার মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে; ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করবে।
-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভূখণ্ড কোনো পক্ষ ধরে রাখতে পারবে না; ভারত ও পাকিস্তান উভয় সরকার অবিলম্বে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আলোচনার সূচনা করবে।
তথ্যসূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রের রিপোর্ট।

0
Updated: 2 weeks ago