মোস্ট-ফেভারড-নেশন (MFN) নীতি কোন সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট?
A
জাতিসংঘ
B
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্ব ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
মোস্ট-ফেভারড-নেশন (Most-Favored-Nation, MFN) নীতি মূলত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-র সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
নীতির মূল বক্তব্য: কোনো দেশ তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈষম্যহীন আচরণ করবে। অর্থাৎ, একটি দেশকে যে সুবিধা দেওয়া হবে, অন্য সব দেশকেও সেই একই সুবিধা দিতে হবে।
-
WTO-এর অধীনে, MFN নীতি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্য নিশ্চিত করে।
বিস্তারিত দিক:
-
নীতি বিভিন্ন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমতা স্থাপন করে।
-
চুক্তিভূক্ত কোনো দেশকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয় না।
-
চুক্তিভূক্ত দেশের সামগ্রীকে একই পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।
-
এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক বৈষম্য কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রাথমিকভাবে, MFN নীতি GATT (General Agreement on Tariffs and Trade) চুক্তির অধীনে কার্যকর ছিল, পরে এটি WTO-এর আওতায় চলে আসে।

0
Updated: 12 hours ago
মধ্যপ্রাচ্যের কোন আরব দেশ সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?
Created: 1 day ago
A
ইরাক
B
ইরান
C
জর্ডান
D
লেবানন
বাংলাদেশকে আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ইরাক।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী আরব দেশসমূহ:
-
ইরাক: প্রথম আরব দেশ হিসেবে ৮ জুলাই ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি প্রদান।
-
লেবানন: ২৮ মার্চ ১৯৭৩ সালে স্বীকৃতি প্রদান।
-
ইরান: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে স্বীকৃতি প্রদান।
-
সৌদি আরব: ১৬ আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্র:
-
সেনেগাল: প্রথম মুসলিম আফ্রিকান দেশ।
-
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া: প্রথম এশিয়ার মুসলিম দেশসমূহ।
-
গ্রেট ব্রিটেন: প্রথম পশ্চিমা দেশ, ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৪ এপ্রিল ১৯৭২।
-
ভেনিজুয়েলা: দক্ষিণ আমেরিকায় প্রথম, ২ মে ১৯৭২।
-
ফ্রান্স: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
-
ব্রাজিল: ১৫ মে ১৯৭২।
-
আর্জেন্টিনা: ২৫ মে ১৯৭২।
সূত্র:

0
Updated: 1 day ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ‘ANNIHILATE THESE DEMONS’ শিরোনামের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন?
Created: 1 week ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান
-
পরিচিতি:
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
-
জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯২১, কলকাতায় (পিতার কর্মস্থল)।
-
অবদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করেন।
-
তাঁর ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ ও বিখ্যাত পোস্টার
-
প্রসিদ্ধ পোস্টার: ১৯৭১ সালে তিনি আঁকেন "ANNIHILATE THESE DEMONS (এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে)" শিরোনামের ঐতিহাসিক পোস্টার।
-
প্রেক্ষাপট:
-
২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায়।
-
এর মূল নির্দেশদাতা ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
-
-
প্রতীকী প্রকাশ:
-
কামরুল হাসান ব্যঙ্গচিত্রে ইয়াহিয়ার মুখাবয়বকে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এই শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ সংগ্রামে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।
-
-
প্রকাশ ও প্রচার:
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭১ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত জয় বাংলা পত্রিকায়।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিতরণ করে।
-
বিদেশি প্রচারের জন্য ইংরেজি ভাষ্যে এর শিরোনাম ছিল: Annihilate the Demons।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম Genetically Modified (GM) খাদ্য ফসল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
গোল্ডেন রাইস
B
বিটি তুলা
C
গোল্ডেন জুট
D
বিটি বেগুন
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল
-
সংজ্ঞা:
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল হলো এমন ফসল যার জিন পরিবর্তন (modification) করে ফলন বৃদ্ধি, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধসহ কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অর্জন করা হয়। -
হাইব্রিড ফসল:
সব ধরনের হাইব্রিড ফসলই একধরনের জি.এম. ফসল। তবে এগুলো প্রাকৃতিক প্রতিরূপ ফসলের তুলনায় কখনো বিষাক্ত বা কম পুষ্টিগুণসম্পন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রথম GM খাদ্য ফসল
-
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম GM খাদ্য ফসল হলো বিটি বেগুন (Bt Brinjal)।
-
২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি কৃষকদের মাঝে বিতরণের অনুমোদন দেয়।
Bt-বেগুন কী?
-
Bt শব্দটি এসেছে Bacillus thuringiensis নামক একটি মাটিবাহিত (soil-borne) ব্যাকটেরিয়া থেকে।
-
এই ব্যাকটেরিয়ার ক্রিস্টাল প্রোটিন জিন বেগুনের জিনোমে সংযোজন করে উৎপাদিত বেগুনকে Bt-বেগুন বলা হয়।
সাধারণ বেগুন বনাম Bt-বেগুন:
-
সাধারণ বেগুনে একটি বিশেষ পোকা ডগা ও ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে ফেলে, ফলে ফলন কমে যায়।
-
কৃষককে এ আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতি মৌসুমে ৬০–১৮০ বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
-
Bt-বেগুনে এই পোকার আক্রমণ হয় না, তাই কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
Bt-বেগুন চাষের গুরুত্ব
-
কীটনাশক ক্রয় ও স্প্রে করার খরচ বাঁচবে → উৎপাদন ব্যয় লক্ষ লক্ষ টাকা কমবে।
-
ভোক্তারা বিষমুক্ত বেগুন খেতে পারবেন → ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমবে।
-
মাটি ও পরিবেশ বিষমুক্ত থাকবে।
-
আশপাশের জলাশয় দূষণমুক্ত থাকবে এবং জলজ প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
-
বেগুনের ফলন বৃদ্ধি পাবে।
উৎস:
i) উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ii) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

0
Updated: 1 week ago