কোনটি অর্থতত্ত্বে আলোচনা কর হয়?
A
বাক্যের ব্যঞ্জনা
B
বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া
C
বিশেষণ
D
শব্দ গঠন
উত্তরের বিবরণ
অর্থতত্ত্ব হলো ব্যাকরণের সেই শাখা, যেখানে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখানে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা নিয়েও আলোচনার সুযোগ থাকে।
ধ্বনিতত্ত্ব হলো ভাষার সেই শাখা, যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে বর্ণের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অংশ। মূল আলোচ্য বিষয়গুলো হলো: বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল প্রভৃতি।
রূপতত্ত্ব হলো ভাষার সেই শাখা, যেখানে শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় শব্দগঠন প্রক্রিয়াকে।
0
Updated: 1 month ago
'আঠারো আনা' বাগ্ধারাটি কী অর্থ প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
প্রায় সম্পূর্ণ
B
সকল তথ্য
C
অর্থের কু-প্রভাব
D
বাড়াবাড়ি
“আঠার আনা” – বাড়াবাড়ি
-
অর্থ: বাড়াবাড়ি করা, অতিরিক্ত বা অতিরঞ্জিত আচরণ।
-
বাক্য উদাহরণ: তোমার সবসময় আঠারো আনা স্বভাব, যা আমার একদম ভালো লাগে না।
-
অন্য বাগ্ধারার অর্থ:
-
ঊনকোটি চৌষট্টি – প্রায় সম্পূর্ণ
-
তামার বিষ – অর্থের কু-প্রভাব
-
নাড়ির খবর – সকল তথ্য
-
0
Updated: 1 month ago
‘চর্যাপদ’ হলো-
Created: 1 month ago
A
একগুচ্ছ ধর্মোপদেশ
B
সাধন সংগীত
C
জীবনাচরণ পদ্ধতি
D
নীতিকথা
চর্যাপদ হলো গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
চর্যাপদ সম্পর্কে তথ্য:
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা উল্লেখ রয়েছে।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 1 month ago
পুরুষ বা স্ত্রী নির্দেশক সূত্রকে ব্যাকরণে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
বচন
B
লিঙ্গ
C
বাক্য
D
বাগর্থ
যে সকল শব্দ দ্বারা পুরুষ, স্ত্রী ও অচেতন বস্তুকে চিহ্নিত করা যায়, তাকে লিঙ্গ বলে। লিঙ্গ চার প্রকার যথা- 1. পুংলিঙ্গ 2. স্ত্রীলিঙ্গ 3. ক্লীবলিঙ্গ 4. উভয় লিঙ্গ লিঙ্গ প্রসঙ্গে আর একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে—কেবলমাত্র প্রাণীবাচক শব্দগুলি পুংলিঙ্গ অথবা স্ত্রীলিঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।
অপ্রাণীবাচক শব্দ ক্লীবলিগের অন্তর্গত। সংস্কৃত ব্যাকরণে উভয় লিঙ্গ বলে কোন কিছু নেই; কিন্তু ইংরেজি ব্যাকরণে Common Gender অর্থাৎ উভয় লিঙ্গ আছে।
0
Updated: 1 month ago