কোনটি চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য নয়?
A
সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়
B
চটুল, সরল ও সাবলীল
C
গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর
D
সর্বজনবোধ্য মুখের ও লেখার ভাষা
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষারীতি সাধারণত গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর। এটি লিখিত রূপে প্রচলিত হলেও কথ্য ব্যবহারের জন্য অপ্রাকৃতিক।
চলিত ভাষারীতি হলো সাধারণ মানুষের মুখে ও লেখায় সর্বজনবোধ্য ভাষা, যা সহজে বোঝা যায় এবং জীবন্ত।
-
চলিত ভাষা সবসময় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে না।
-
এতে পদবিন্যাস রীতি অনেক সময় পরিবর্তিত হয়।
-
চলিত ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার কম।
-
এটি বক্তৃতা, ভাষণ ও নাটকের সংলাপের জন্য উপযোগী।
-
চলিত ভাষায় সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার রূপ হলো চটুল, সরল ও সাবলীল।
-
চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল হওয়ায় জীবন্ত।
0
Updated: 1 month ago
'ইত্তেফাক' শব্দের অর্থ -
Created: 1 month ago
A
সংবর্ধনা
B
সংলাপ
C
ইতিহাস
D
সম্প্রীতি
'ইত্তেফাক' শব্দের অর্থ হলো সম্প্রীতি
ইত্তেফাক (বিশেষ্য):
-
উৎপত্তি: আরবি
-
অর্থ: মিল, ঐক্য, সম্প্রীতি
-
এছাড়া এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকার নাম।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
-
চয়ন: সংকলন
-
শশাঙ্ক: চাঁদ
-
পেটোয়া: অনুগত
-
হরিৎ: সবুজ
-
রাতুল: লাল
-
অয়ন: পথ
0
Updated: 1 month ago
‘চর্যাপদ’ হলো-
Created: 1 month ago
A
একগুচ্ছ ধর্মোপদেশ
B
সাধন সংগীত
C
জীবনাচরণ পদ্ধতি
D
নীতিকথা
চর্যাপদ হলো গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
চর্যাপদ সম্পর্কে তথ্য:
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা উল্লেখ রয়েছে।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 1 month ago
'উ+ উ = ঊ' এই নিয়মে কোন শব্দটি গঠিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
মরূদ্যান
B
বহূর্ধ্ব
C
বধূৎসব
D
ভূর্ধ্ব
স্বরসন্ধি সূত্র (উ-কার/ঊ-কার সংযোগ):
-
নিয়ম: উ-কার কিংবা উ-কারের পর উ-কার বা ঊ-কার থাকলে উভয়ই মিলিত হয়ে ঊ-কার হয়।
-
সংযোগের সময় ঊ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
উ + উ = ঊ → মরু + উদ্যান = মরূদ্যান
-
উ + ঊ = ঊ → বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব
-
ঊ + উ = ঊ → বধূ + উৎসব = বধূৎসব
-
ঊ + ঊ = ঊ → ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব
0
Updated: 1 month ago