'যতিচিহ্ন' ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
A
রূপতত্ত্ব
B
বাক্যতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
বাক্যতত্ত্ব হলো ভাষার এমন একটি শাখা, যেখানে বাক্য এবং তার গঠন, নির্মাণ ও ব্যবহার নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যতত্ত্বে বাক্যের নির্মাণ ও গঠন প্রধান আলোচ্য বিষয়।
-
এটি ব্যাখ্যা করে বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে।
-
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বিষয়ও এখানে অন্তর্ভুক্ত।
-
এছাড়া কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি বিষয়ও বাক্যতত্ত্বে আলোচনা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দুটি তালব্য বর্ণ?
Created: 1 month ago
A
ত, দ
B
ন, র
C
ঝ, শ
D
ভ, ম
তালব্য ব্যঞ্জন হলো সেই ব্যঞ্জনধ্বনি, যা উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ, শ – যেমন চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা।
অন্য ধরণের ব্যঞ্জনধ্বনি:
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন: ভ, ম
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন: ন, র
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন: ত, দ
0
Updated: 1 month ago
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জ্বলজ্বল
B
এলোমেলো
C
জ্বর জ্বর
D
কথায় কথায়
বাংলা ভাষায় দ্বিত্বের প্রকারভেদ
১. ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলি তৈরি হয়, সেগুলিকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়। এর পোনপটিয়ভাবে পুনরাবৃত্তি বা পনেরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: ঝমঝম, কুটুস-কুটুস, কুট কুট, জ্বলজ্বল, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, টসটস
২. অনুকার দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: পরপর ব্যবহৃত এবং কাছাকাছি চেহারার শব্দ, যেখানে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় শব্দটি সাধারণত অর্থহীন এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি, তাকে অনুকার দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: গুটিশুটি, ঝিকিমিকি, মোটাসোটা, আমটাম, এলোমেলো
৩. পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ যদি পুনরায় পুনরায় আবৃত্তি হয়, তখন তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: গরম গরম, জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, কথায় কথায়, ঘুম ঘুম
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
’বাচ্য ও উক্তি’ ব্যাকরণ এর কোন অংশে আলোচনা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
বাক্যতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, অর্থতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্ব বাংলা ব্যাকরণের মূল শাখা। প্রতিটি শাখা ভাষার বিভিন্ন দিককে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করে।
-
বাক্যতত্ত্ব:
-
বাক্যতত্ত্বে মূলত বাক্য, তার নির্মাণ ও গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
-
বাক্যকে এক ধরনের থেকে অন্য ধরনের রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।
-
কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি বিষয়ও এখানে অন্তর্ভুক্ত।
-
-
রূপতত্ত্ব:
-
রূপতত্ত্বে শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা হয়।
-
এতে বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
-
শব্দগঠন প্রক্রিয়া এই শাখার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
-
অর্থতত্ত্ব (বা বাগার্থতত্ত্ব):
-
এখানে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ বিশ্লেষণ করা হয়।
-
বিষয়সমূহ: বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা।
-
এছাড়া শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা সম্পর্কেও আলোচনা থাকে।
-
-
ধ্বনিতত্ত্ব:
-
এতে বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস বিশ্লেষণ করা হয়।
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য এবং ধ্বনিদল বিষয়গুলোও এখানে অন্তর্ভুক্ত।
-
-
এই চারটি শাখা একত্রে বাংলা ভাষার গঠন, অর্থ ও উচ্চারণ সংক্রান্ত জ্ঞান প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago