'জয়ধ্বনি' - শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ কোনটি?
A
জয়দ্ধ্বোনি
B
জয়োদ্ধোনি
C
যয়োদ্ধোনি
D
যয়োদ্ধ্বনি
উত্তরের বিবরণ
‘জয়ধ্বনি’ শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ হলো জয়োদ্ধোনি। এটি একটি বিশেষ্য পদ এবং সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত।
-
শব্দের অর্থ হলো জয়োল্লাসের ধ্বনি।
0
Updated: 1 month ago
"এসো যুগ-সারথি নিঃশঙ্ক নির্ভয়।
এসো চির-সুন্দর অভেদ অসংশয়।" - কবিতাংশটুকুর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
• স্বরসন্ধির নিয়ম (ও-কারের রূপান্তর):
বাংলা ভাষায় দুটি স্বরের সংযোগে বিশেষ ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সাধারণভাবে, প্রথম পদের শেষ অ/আ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ/ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-কার (ও-ধ্বনি) তৈরি হয়।
নিয়ম ও উদাহরণ:
-
অ + উ = ও
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে: প্রথম পদের অ/আ + দ্বিতীয় পদের উ/ঊ = ও-কার।
এটি বাংলা শব্দসংযোগে স্বরসন্ধির অন্যতম নিয়ম।
0
Updated: 1 month ago
”বিদ্বানকে সকলেই আদর করে।” বাক্যটির কর্মবাচ্য রূপ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হয়।
B
বিদ্বানকে সকলে আদৃত করে।
C
বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন।
D
বিদ্বানকে সকলে সমাদৃত করে।
কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য রূপান্তর করতে হলে কর্তাকে তৃতীয় পুরুষে, কর্মকে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তিতে এবং ক্রিয়াকে কর্মের অনুসারী করতে হয়। এটি বাংলা বাক্যরচনার একটি নিয়ম যা বাক্যের কর্তা ও কর্মের সম্পর্ক পরিবর্তন করে।
-
উদাহরণ:
-
কর্তৃবাচ্য: বিদ্বানকে সকলেই আদর করে।
কর্মবাচ্য: বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন। -
কর্তৃবাচ্য: খোদাতায়ালা বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন।
কর্মবাচ্য: বিশ্বজগৎ খোদাতায়ালা কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে। -
কর্তৃবাচ্য: মুবারক পুস্তক পাঠ করছে।
কর্মবাচ্য: মুবারক কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে।
-
0
Updated: 1 month ago
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
Created: 4 months ago
A
দুই ভাগে
B
তিন ভাগে
C
চার ভাগে
D
পাঁচ ভাগে
বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে অর্থভিত্তিক তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: যৌগিক শব্দ, রূঢ় শব্দ, এবং যোগরূঢ় শব্দ। এই শ্রেণিবিন্যাস ভাষার গভীরতা ও বৈচিত্র্য বোঝার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. যৌগিক শব্দ
যেসব শব্দে উপসর্গ, মূল শব্দ এবং প্রত্যয়ের অর্থ একত্রে মিলিয়ে পরিণত শব্দের অর্থ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
-
মূল শব্দ ও প্রত্যয়ের অর্থ মিলেই পূর্ণ শব্দের অর্থ গঠিত হয়।
উদাহরণ:
-
কর্তব্য = কৃ (করা) + তব্য (যোগ্য) → অর্থ: যা করা উচিত
-
বাবুয়ানা = বাবু + আনা → অর্থ: যিনি বাবুর মতো আচরণ করেন
২. রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ
যেসব শব্দ তাদের গঠন অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ না করে ভাষাচর্চায় সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো রূঢ় শব্দ নামে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
গঠন অনুযায়ী প্রত্যাশিত অর্থ নয়, বরং ব্যবহারিক বা প্রথাগত অর্থ বহন করে।
উদাহরণ:
-
সন্দেশ: প্রকৃত অর্থ ‘সংবাদ’, অথচ এখন ব্যবহৃত হয় ‘মিষ্টান্ন’ হিসেবে।
-
চিকন: মূল অর্থ ‘চকচকে’, বর্তমান ব্যবহারে বোঝায় ‘সরু’।
৩. যোগরূঢ় শব্দ
যেসব শব্দ সমাসবদ্ধ হলেও তারা মূল শব্দ বা ব্যাসবাক্যের অর্থ প্রকাশ না করে একেবারে নতুন অর্থে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বলা হয় যোগরূঢ় শব্দ।
বৈশিষ্ট্য:
-
মূল শব্দ দুটি পৃথক অর্থ প্রকাশ করলেও একত্রে নতুন ও আলাদা একটি ধারণা প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
-
জলদ = জল + দ (দাতা) → প্রকৃত অর্থ: যে জল দেয়, ব্যবহারিক অর্থ: মেঘ
-
পঙ্কজ = পঙ্ক (কাদা) + জ (জন্ম) → প্রকৃত অর্থ: যা কাদায় জন্মে, ব্যবহারিক অর্থ: পদ্মফুল
বাংলা ভাষার শব্দার্থভিত্তিক এই শ্রেণিবিন্যাস ভাষার গঠন ও ব্যবহারিক দিক অনুধাবনে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে। শব্দের উৎস, গঠন ও প্রয়োগ একত্রে বিবেচনা করলেই আমরা এর গভীরতা ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারি।
উৎস:
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 4 months ago