কোন ভাষা অপরিবর্তনীয় এবং কৃত্রিম?
A
চলিত ভাষা
B
উপভাষা
C
সাধু ভাষা
D
আঞ্চলিক ভাষা
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষারীতি বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন ও কৃত্রিম ভাষারীতি, যা মূলত লিখিত রূপে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এটি ব্যাকরণনিষ্ঠ হলেও কথ্য ভাষার জন্য স্বাভাবিক নয়।
-
সাধু ভাষারীতি সর্বজনগ্রাহ্য লেখার ভাষা হিসেবে পরিচিত।
-
এটি সব সময় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে।
-
সাধু ভাষায় পদবিন্যাসের রীতি সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
এতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
-
এই ভাষারীতি বক্তৃতা, ভাষণ ও নাটকের সংলাপের জন্য উপযোগী নয়।
-
সাধু ভাষায় সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয় পদের পূর্ণরূপ ব্যবহার করা হয়।
-
এটি স্বভাবে গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর।
-
সাধু ভাষারীতি অপরিবর্তনীয় হওয়ায় কৃত্রিম মনে হয়।
0
Updated: 1 month ago
'আ' প্রত্যয়যোগে গঠিত তদ্ধিতান্ত শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বিবিয়ানা
B
পড়া
C
শোনা
D
চোরা
‘আ’ প্রত্যয়যোগে গঠিত কিছু শব্দ
| মূল শব্দ | প্রত্যয় | গঠিত শব্দ | শব্দের শ্রেণি |
|---|---|---|---|
| চোর | আ | চোরা | তদ্ধিতান্ত |
| পড়্ | আ | পড়া | কৃদন্ত |
| শুন্ | আ | শোনা | কৃদন্ত |
| বিবি | আনা | বিবিয়ানা | তদ্ধিতান্ত |
উৎস: মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'ময়ূর' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কেকী
B
শিখণ্ডী
C
উরগ
D
বর্হী
সমার্থক শব্দের উদাহরণ
১. ময়ূর
-
অর্থ: উজ্জ্বল ও সুন্দর পালকযুক্ত পাখি
-
সমার্থক শব্দ: কলাপী, কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, বর্হী, বর্হিণ
২. সাপ
-
অর্থ: বিষধর বা অ-বিষধর সরীসৃপ
-
সমার্থক শব্দ: আশীবিষ, উরগ
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 4 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 4 months ago