গ্রীন হাউজ ইফেক্টের পরিণতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতি কী হবে? 

Edit edit

A

উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে 

B

বৃষ্টিপাত কমে যাবে 

C

নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে 

D

সাইক্লোনের প্রবণতা বাড়বে

উত্তরের বিবরণ

img

গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যেখানে কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জমে গিয়ে সৌরতাপকে আটকে রাখে, ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন সৃষ্টি হয়।

বিশেষ করে ওজোন স্তরে ক্ষতির ফলে সূর্যের অতিরিক্ত তাপ পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং তা ফিরে যেতে না পারায় বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে গ্রিন হাউস প্রভাব বলা হয়।

গ্রিন হাউস ইফেক্টের প্রধান কারণ ও প্রভাব:

  • বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ছে।

  • মেরু অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে।

  • এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে।

  • ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় ও নিম্নভূমি এলাকা ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য বিপর্যয়:

বাংলাদেশ একটি নিম্নভূমি ও নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় গ্রিন হাউস ইফেক্টের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

  • আইপিসিসি (IPCC)-এর ২০০৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়, তাহলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভূমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।

  • এতে প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

  • ফসলি জমি হারানোর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতিতেও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ:

এই প্রভাব সৃষ্টিতে যেসব গ্যাস ভূমিকা রাখে, তাদেরকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়। প্রধান গ্যাসগুলো হলো:

  • জলীয় বাষ্প (Water Vapor)

  • কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)

  • মিথেন (CH₄)

  • নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)

  • ওজোন (O₃)

  • ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)

এছাড়াও, কার্বন ডাই সালফাইড এবং কার্বনিল সালফাইড গ্যাসগুলো পরোক্ষভাবে গ্রিন হাউস প্রভাব সৃষ্টিতে অবদান রাখে।


উৎস: বাংলাপিডিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

Unfavorite

0

Updated: 4 weeks ago

Related MCQ

Get Our App

Download our app for a better experience.

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD