মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য কোন ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়?
A
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ
B
অতিবেগুনি রশ্মি
C
মাইক্রোওয়েভ
D
গামা রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
মোবাইল ফোন যোগাযোগ সাধারণত মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে পরিচালিত হয়, যার সীমা প্রায় 800 MHz থেকে 2.6 GHz পর্যন্ত। এই তরঙ্গগুলো দীর্ঘ দূরত্বে তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং অ্যান্টেনার মাধ্যমে সহজেই প্রেরণযোগ্য।
মাইক্রোওয়েভ সম্পর্কিত তথ্য:
-
মাইক্রোওয়েভ এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ, যা সেকেন্ডে প্রায় 1 গিগা বা তার চেয়ে বেশি বার কম্পিত হয়।
-
এর মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর করা যায়, অর্থাৎ কম্পিউটার থেকে প্রেরিত তথ্য, কথা ও ছবি ইত্যাদি দ্রুত পাঠানো সম্ভব।
-
একটি মাইক্রোওয়েভ সিস্টেমে দু’টি ট্রান্সসিভার (Transceiver) থাকে।
-
একটি ট্রান্সসিভার সিগন্যাল Transmit করে এবং অন্যটি Receive করে।
-
মাইক্রোওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ 300 MHz থেকে 30 GHz পর্যন্ত।
0
Updated: 1 month ago
তড়িৎ চুম্বক তৈরিতে নিচের কোন পদার্থ সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
Created: 1 month ago
A
ইস্পাত
B
অ্যালুমিনিয়াম
C
নিকেল
D
কাঁচা লোহা
চুম্বক (Magnet)
স্থায়ী চুম্বক:
-
যে চুম্বকের চুম্বকত্ব সহজে নষ্ট হয় না তাকে স্থায়ী চুম্বক বলা হয়।
-
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত চুম্বক স্থায়ী হলেও তা খুব দুর্বল। তাই চৌম্বক পদার্থের সাথে অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ বা বিশেষ প্রক্রিয়া (স্পর্শ-ঘর্ষণ পদ্ধতি) ব্যবহার করে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক তৈরি করা হয়।
অস্থায়ী চুম্বক:
-
যদি কোনো চৌম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে চুম্বক ধর্ম প্রদর্শন করে এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের অনুপস্থিতিতে চুম্বকত্ব হারায়, তবে তাকে অস্থায়ী চুম্বক বলা হয়।
তড়িৎ চুম্বক:
-
একটি বৃত্তাকার কুন্ডলী বা সলিনয়েডে তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর মধ্যে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় এবং এটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তড়িৎ প্রবাহের কারণে এটি তৈরি হওয়ায় একে তড়িৎ চুম্বক বলা হয়।
চুম্বক তৈরিতে ধাতুর ভূমিকা:
-
স্থায়ী চুম্বক: ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। কারণ ইস্পাতের ধারণশীলতা (Remanence) এবং নিগ্রাহিতা (Coercivity) উভয়ই উচ্চ, তাই চুম্বক স্থায়ী হয়।
-
বৈদ্যুতিক চুম্বক: কাঁচা লোহা ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঁচা লোহার ধারণশীলতা বেশি কিন্তু নিগ্রাহিতা কম, তাই চুম্বক শক্তিশালী কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে?
Created: 1 month ago
A
পিতল
B
নিকেল
C
তামা
D
অ্যালুমিনিয়াম
চৌম্বক ও অচৌম্বক পদার্থ
-
চৌম্বক পদার্থ:
-
যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে; তাই এগুলোকে ফেরোচৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic substances) বলা হয়।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
-
নিকেল একটি চৌম্বক পদার্থ, তাই এটি চুম্বকের দ্বারা আকর্ষিত হয়।
-
-
অচৌম্বক পদার্থ:
-
যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না, তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
চৌম্বক অক্ষ বরাবর চুম্বকের দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
চৌম্বক মধ্যতল
B
চৌম্বক মেরু
C
ভৌগোলিক মধ্যতল
D
চৌম্বক দৈর্ঘ্য
চুম্বক:
- চুম্বক হচ্ছে সেই সকল পদার্থ যাদের আকর্ষণ ও দিকদর্শী ধর্ম আছে।
- এ সকল পদার্থ দিয়ে উপযুক্ত পদার্থকে চুম্বক ধর্ম প্রদান করা যায়।
চৌম্বক মেরু (Magnetic pole):
- যেকোনো চুম্বকের যে দুই প্রান্তের আকর্ষণ বল সবচেয়ে বেশি সে প্রান্তকে চৌম্বক মেরু বলে।
- চিত্রে একটি দন্ডচুম্বকের দুটি মেরু N ও S দেখানো হয়েছে।
N = North Pole (উত্তরমেরু),
S = South Pole (দক্ষিণমেরু)।
চৌম্বক অক্ষ (Magnetic axis):
- যেকোনো চুম্বকের মেরু দুটিকে সংযোগ করে যে সরলরেখা পাওয়া যায়, তাকে চৌম্বক অক্ষ বলে।
চিত্রে, AB দন্ড চুম্বকের অক্ষ।
চৌম্বক দৈর্ঘ্য (Magnetic length):
- চৌম্বক অক্ষ বরাবর চুম্বকের দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বের দৈর্ঘ্যকে চৌম্বক দৈর্ঘ্য বলে।
চিত্রে, NS = চৌম্বক দৈর্ঘ্য।
চৌম্বক মধ্যতল (Magnetic meridian):
- চুম্বকের ভারকেন্দ্র দিয়ে মুক্তভাবে ঝুলড্ কোনো একটি স্থির চুম্বকের চৌম্বক অক্ষের মধ্য দিয়ে কল্পিত তলকে চৌম্বক মধ্যতল বলে।
ভৌগোলিক মধ্যতল (Geographical meridian):
- পৃথিবীর কোনো স্থানে ভৌগোলিক উত্তর ও দক্ষিণমের বরাবর কল্পিত উলম্ব তলকে ঐ স্থানের ভৌগোলিক বা জ্যামিতিক মধ্যতল বলে।
- চৌম্বক মধ্যতল ও ভৌগোলিক মধ্যতলের মধ্যকার কিছুটা কৌণিক ব্যবধান থাকে, যাকে বিচ্যুতি বলে।
0
Updated: 3 weeks ago