নিম্নের কোনটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ?
A
যক্ষ্মা
B
পোলিও
C
ম্যালেরিয়া
D
কলেরা
উত্তরের বিবরণ
পোলিও বা Poliomyelitis একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা ছড়ায়। এ রোগ মূলত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করে দিতে পারে।
ভাইরাসজনিত রোগসমূহ হলো:
-
এইডস
-
পোলিও
-
ডেঙ্গু
-
ইনফ্লুয়েঞ্জা
-
পীতজ্বর
-
হাম
-
রুবেলা
-
মাম্পস
-
জন্ডিস
-
হার্পিস ইত্যাদি
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগসমূহ হলো:
-
আমাশয়
-
কলেরা
-
কুষ্ঠ
-
যক্ষ্মা
-
ধনুষ্টংকার
-
ডিপথেরিয়া
-
হুপিং কাশি ইত্যাদি
অন্যদিকে ম্যালেরিয়া হলো Plasmodium প্রজাতির প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ, যা প্রধানত মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
হেপাটাইটিস (জন্ডিস) রোগের প্রধান কারণ-
Created: 6 days ago
A
ভাইরাস
B
ছত্রাক
C
ব্যাকটেরিয়া
D
কোনটিই নয়
হেপাটাইটিস, সাধারণভাবে যাকে আমরা জন্ডিস বলে জানি, এটি মূলত এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষের লিভার বা যকৃতকে আক্রান্ত করে। এই রোগের ফলে লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয় এবং রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায়।
-
হেপাটাইটিসের মূল কারণ হলো ভাইরাস, এবং এর সবচেয়ে পরিচিত রূপগুলো হলো হেপাটাইটিস A, B, C, D ও E ভাইরাস। এগুলোর মধ্যে হেপাটাইটিস A ও E সাধারণত দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়, আর হেপাটাইটিস B, C ও D সংক্রমিত রক্ত বা শরীরের তরল পদার্থের মাধ্যমে ছড়ায়।
-
হেপাটাইটিস A ভাইরাস সাধারণত তীব্র কিন্তু স্বল্পমেয়াদি সংক্রমণ ঘটায়, যা সঠিক চিকিৎসা ও বিশ্রামে নিরাময়যোগ্য।
-
হেপাটাইটিস B ও C ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
-
ভাইরাস সংক্রমণের পর লিভার ফুলে যায় ও প্রদাহ সৃষ্টি হয়, ফলে বিলিরুবিন রক্তে জমে যায় এবং চোখ, ত্বক ও মূত্রের রঙ হলুদ হয়ে পড়ে।
-
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত অবসন্নতা, জ্বর, ক্ষুধামন্দা, বমি ভাব, পেটব্যথা, ও ত্বক চুলকানি অনুভব করেন।
-
হেপাটাইটিস রক্তদানের সময় নিরাপত্তাহীনতা, ইনজেকশন বা ব্লেডের পুনঃব্যবহার, অপরিষ্কার সিরিঞ্জ এবং অরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থেকেও ছড়াতে পারে।
-
প্রতিরোধের জন্য হেপাটাইটিস A ও B–এর কার্যকর টিকা রয়েছে, যা শিশুকাল থেকেই নেওয়া উচিত।
-
নিরাপদ পানি পান, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, ব্যবহৃত ব্লেড বা সিরিঞ্জ এড়িয়ে চলা, এবং রক্ত পরীক্ষা ছাড়া রক্ত না নেওয়া এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
-
লিভারের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে তেলযুক্ত, ভাজাপোড়া ও অ্যালকোহলজাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হয়।
-
চিকিৎসা না নিলে ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিস দীর্ঘমেয়াদে লিভারের কোষ ধ্বংস করে দিতে পারে, যা মারাত্মক অবস্থায় মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, হেপাটাইটিস (জন্ডিস) রোগের মূল কারণ হলো ভাইরাস, যা প্রধানত দূষিত খাদ্য, পানি ও রক্তের সংস্পর্শে এসে শরীরে প্রবেশ করে এবং লিভারের গুরুতর ক্ষতি করে। সুতরাং, সঠিক উত্তর — ক) ভাইরাস।
0
Updated: 6 days ago
এইচআইভি ভাইরাস প্রধানত কোন কোষকে আক্রমণ করে?
Created: 1 month ago
A
বি-লসিকা কোষ
B
অণুচক্রিকা
C
বেসোফিল
D
T4 লসিকা কোষ
এইচআইভি (HIV) এবং AIDS সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus):
-
মূলত CD4+ T lymphocytes (T4 লসিকা কোষ)-কে আক্রমণ করে।
-
এই কোষগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অন্যান্য প্রতিরক্ষা কোষকে সক্রিয় করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
ভাইরাসের আক্রমণে T4 লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
-
-
AIDS (Acquired Immune Deficiency Syndrome):
-
HIV ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে AIDS বলা হয়।
-
এতে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হতে পারে।
-
বিশ্বব্যাপী এটি একটি মারাত্মক যৌন রোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
-
HIV আক্রমণের ধাপ:
-
ভাইরাসের gp120 প্রোটিন CD4 রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
কোষে প্রবেশের পর ভাইরাস নিজের প্রতিলিপন করে।
-
ধীরে ধীরে T4 লিম্ফোসাইট ধ্বংস হয়।
-
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে সাধারণ রোগেও মৃত্যু হতে পারে।
-
-
প্রতিরোধ ও সতর্কতা:
-
নিরাপদ যৌনমিলন এবং ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি অনুসরণ করা।
-
যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার।
-
অস্বাভাবিক যৌনমিলন, বহুগামিতা, সহকামিতা ও পতিতাগামিতা পরিহার।
-
যৌনসঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক থাকা।
-
HIV আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকা।
-
AIDS আক্রান্ত মায়ের সন্তান ধারণ বা বুকের দুধ পান করানো এড়িয়ে চলা।
-
রক্ত গ্রহণের আগে HIV পরীক্ষা করা।
-
ইনজেকশন নেওয়ার সময় নতুন বা পরিশোধিত সিরিঞ্জ ও সুঁই ব্যবহার করা।
-
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন রােগটি DNA ভাইরাসঘটিত?
Created: 1 month ago
A
ডেঙ্গুজ্বর
B
স্মলপক্স
C
কোভিড-১৯
D
পােলিও
স্মলপক্স একটি DNA ভাইরাসঘটিত রোগ যা ভেরিওলা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণত ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে হয় DNA অথবা RNA থাকে, কিন্তু উভয়টি একসাথে কখনো থাকে না। অন্যান্য জীবদেহে DNA ও RNA একসাথে পাওয়া গেলেও ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।
তথ্যগুলো নিচে সাজানো হলো:
-
স্মলপক্স রোগটি DNA ভাইরাসঘটিত।
-
ভেরিওলা ভাইরাস মানবদেহে স্মলপক্স বা গুটি বসন্ত সৃষ্টি করে।
-
ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে DNA ও RNA থাকে, তবে একই সাথে দুইটি কখনো থাকে না।
DNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA থাকে তাদেরকে DNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: হার্পিস সিমপ্লেক্স (মানব), Tipula irridescent, Rabbitpox, Vaccinia (bovine), ভেরিওলা (মানব), Pustular dermatitis (Sheep), এডেনা গ্রুপ, প্যাপিলোমা (মানব), পলিওমা, ΦX174 কলিফাজ, Cauliflower mosaic, Adenoassociated প্রভৃতি।
RNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে RNA থাকে তাদেরকে RNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (মানব), পোলিও (মানব), রুবেলা (মানব), পীতজ্বর (মানব), ডেঙ্গু (মানব), Encephalitis (মানব), Leukemia (cat), মাম্পস (মানব), Measles (মানব), Cold (মানব), Newcastle disease (fowl), Rous sarcoma (bird), Rabies (dog), Potato yellow dwarf, Vesicular stomatitis (cattle), Tobacco mosaic, Sugarcane mosaic, fd (Pseudomonas), Cucumber mosaic, f2, fr1, R17 কলিফাজ প্রভৃতি।
0
Updated: 1 month ago