জিওথার্মাল শক্তির প্রধান উৎস কী?
A
সূর্যের তাপশক্তি
B
বায়ুর গতি
C
ভূগর্ভস্থ তাপ
D
সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা
উত্তরের বিবরণ
জিওথার্মাল এনার্জি (Geothermal Energy) হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত তাপশক্তি, যা মূলত গলিত শিলা (Magma), গরম পানি ও বাষ্প থেকে আহরণ করা যায়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
জিওথার্মাল এনার্জি সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপশক্তি, যা রান্না, স্নান, ঘর গরম রাখা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ এবং বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় উপাদানের ক্ষয়ের কারণে এই তাপ উৎপন্ন হয়।
-
এটি নবায়নযোগ্য শক্তি, কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপ দীর্ঘমেয়াদে শেষ হয়ে যায় না।
-
পৃথিবীতে বিদ্যমান মোট জিওথার্মাল শক্তির পরিমাণ বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই শক্তি ব্যবহার করা প্রযুক্তিগতভাবে জটিল।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস) পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বিপরীতে এটি একটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প।
-
বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হিসেবে এর ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

0
Updated: 22 hours ago
নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়-
Created: 1 week ago
A
বায়ু টারবাইনে
B
সৌর প্যানেলে
C
সৌর ক্যালকুলেটরে
D
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া:
নিউক্লিয় ফিউশন (Nuclear Fusion):
-
ফিউশন হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে দুটি হালকা নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে একটি ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি করে।
-
এটিকে সংযোজন বিক্রিয়াও বলা হয়।
-
ফিউশন বিক্রিয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, যা সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের শক্তির মূল উৎস।
-
হাইড্রোজেন বোমার কার্যপ্রক্রিয়া নিউক্লিয় ফিউশনের উপর ভিত্তি করে।
নিউক্লিয়ার ফিশন (Nuclear Fission):
-
ফিশন হল এমন একটি পারমাণবিক প্রক্রিয়া যেখানে একটি ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে দুটি বা ততোধিক হালকা নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়।
-
এটিকে বিয়োজন বিক্রিয়াও বলা হয়।
-
ফিশন বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষত পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
দুর্বল নিউক্লীয় বল
B
মহাকর্ষ বল
C
সবল নিউক্লীয় বল
D
তড়িৎ চৌম্বক বল
বল (Force)
-
সংজ্ঞা: যে বস্তু স্থির অবস্থায় থাকা অন্য কোনো বস্তুকে গতি দিতে চায় বা করতে সক্ষম, অথবা যে বস্তু গতিশীল তার গতিতে পরিবর্তন আনে, তাকে বল বলে।
-
বল সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে মোট চার ধরনের মৌলিক বল আছে:
১) মহাকর্ষ বল
২) তড়িৎ-চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল
৩) দুর্বল নিউক্লীয় বল
৪) সবল নিউক্লীয় বল
1️⃣ মহাকর্ষ বল (Gravitational Force)
-
সংজ্ঞা: সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ করে, সেটি মহাকর্ষ বল।
-
উদাহরণ:
-
গ্যালাক্সির মধ্যে নক্ষত্র ঘোরে।
-
সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।
-
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি মানুষকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানে, যার ফলে আমরা ওজন অনুভব করি।
-
যেকোনো ভরযুক্ত বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
2️⃣ তড়িৎ-চৌম্বক বল (Electromagnetic Force)
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে, সেটি তড়িৎ-চৌম্বক বল।
3️⃣ দুর্বল নিউক্লীয় বল (Weak Nuclear Force)
-
এটি তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ দুর্বল, কিন্তু মহাকর্ষ বলের তুলনায় দুর্বল নয়।
-
মহাকর্ষ ও তড়িৎ-চৌম্বক বল দূরত্বের বড় পরিসরে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বল খুবই অল্প দূরত্বে (~10⁻¹⁸ মিটার) কার্যকর।
4️⃣ সবল নিউক্লীয় বল (Strong Nuclear Force)
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের মতো খুব অল্প (~10⁻¹⁵ মিটার) দূরত্বে কাজ করে।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago