বাংলাদেশ কোনটির সদস্য নয়?
A
BCIM-EC
B
OAS
C
OIC
D
BIMSTEC
উত্তরের বিবরণ
BIMSTEC, OIC, BCIM-EC এবং OAS সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিম্নরূপ সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রতিটি সংস্থার লক্ষ্য, গঠন এবং সদস্যপদ সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখযোগ্য।
-
BIMSTEC: এর পূর্ণরূপ হলো Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation। এটি একটি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট। এর পূর্বনাম ছিল BISTEC (Bangladesh, India, Sri Lanka, Thailand Economic Cooperation)। পরে মায়ানমার যোগদানের পর “M” যুক্ত হয়ে BIMSTEC হয় এবং নেপাল ও ভুটান যোগদানের মাধ্যমে বর্তমান নাম পায়। বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
-
OIC: এর পূর্ণরূপ হলো The Organisation of Islamic Cooperation। এটি একটি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা এবং মুসলিম দেশগুলোর একটি রাজনৈতিক জোট। গঠিত হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে, মরক্কোতে অনুষ্ঠিত রাবাত সম্মেলনের মাধ্যমে। এটি গঠনের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ইসরাইল কর্তৃক আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে এর সদস্যপদ লাভ করে।
-
BCIM-EC: পূর্ণরূপ Bangladesh, China, India and Myanmar Economic Corridor। এটি চীনের Belt and Road Initiative এর অংশ এবং একটি অর্থনৈতিক করিডর। প্রস্তাবিত করিডরটি ভারতের, চীনের, বাংলাদেশের ও মায়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি।
-
OAS: এর পূর্ণরূপ হলো The Organization of American States, যা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর দ্বারা গঠিত সংস্থা। ১৯৪৮ সালে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটাতে এর চার্টার স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ OAS-এর সদস্য নয়।

0
Updated: 22 hours ago
জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কত সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
১৯৭৯ সালে
B
১৯৮২ সালে
C
১৯৮৩ সালে
D
১৯৯৮ সালে
UNCLOS (United Nations Convention on the Law of the Sea)
-
পূর্ণরূপ: United Nations Convention on the Law of the Sea
-
ধরন: জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন
-
স্বাক্ষরিত: ১৯৮২
-
কার্যকর: ১৯৯৪
-
প্রধান বিষয়: মৎস্য শিকার, নৌচলাচল, মহীসোপান (Continental shelf), গভীর সমুদ্র তল, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সমুদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি
আঞ্চলিক সমুদ্র অঞ্চল (Territorial Sea)
-
উপকূলীয় দেশের সার্বভৌমত্ব তার তটরেখা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত সমুদ্রের ওপর বজায় থাকে।
-
এই সমুদ্র অঞ্চলকেই আঞ্চলিক সমুদ্র অঞ্চল বলা হয়।
-
UNCLOS ১৯৮২ অনুযায়ী, এই দূরত্ব ১২ নটিক্যাল মাইল।
সংরক্ষিত অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone – EEZ)
-
UNCLOS ১৯৮২ অনুযায়ী, উপকূলীয় দেশের অধিকার থাকে সংরক্ষিত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের।
-
এই অঞ্চলে উপকূলীয় দেশ একচেটিয়া অর্থনৈতিক অধিকার (যেমন: মাছ ধরার, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ইত্যাদি) ব্যবহার করতে পারে।
-
EEZ তটরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
মহীসোপান (Continental Shelf)
-
মহীসোপান হলো মহাদেশের সেই অংশ যা সমুদ্রের পানির মধ্যে বিস্তৃত থাকে এবং গভীরতা তুলনামূলকভাবে কম।
-
UNCLOS ১৯৮২ অনুযায়ী, উপকূলীয় দেশ সাধারণভাবে তার মহীসোপান তটরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ২৫০০ মিটার গভীর সমুদ্র তল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত করতে পারে।
উৎস: UNCLOS ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
United Nations Framework Convention on Climate Change-এর মূল আলােচ্য বিষয়-
Created: 1 day ago
A
জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ
B
গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ও প্রশমন
C
সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি
D
বৈশ্বিক মরুকরণ প্রক্রিয়া এবং বনায়ন
UNFCCC বা United Nations Framework Convention on Climate Change হলো জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা মূলত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ ও গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই চুক্তি প্রথম সাক্ষরিত হয় ১৯৯২ সালে এবং ১৯৯৪ সালে কার্যকর হয়,
যার সদর দপ্তর বর্তমানে জার্মানির বন শহরে অবস্থিত। UNFCCC-এর অধীনে বিভিন্ন দেশ জলবায়ু সম্পর্কিত নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে।
-
সাক্ষরের স্থান: রিও ডি জেনেরিও, ব্রাজিল
-
সদর দপ্তর: বন, জার্মানি
-
সাক্ষরিত দেশ: ১৯৮টি
-
প্রাথমিক সম্মেলন: ১৯৯২ সালের ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন (UNCED) শীর্ষ সম্মেলনে
-
মূল লক্ষ্য: বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে জলবায়ু ও মানবিক পরিবেশের ক্ষতি না হয়
-
Conference of the Parties (COP): UNFCCC-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ, যা প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও নতুন জলবায়ু পরিকল্পনা গ্রহণ করে
-
সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকা: UNFCCC-এর দপ্তরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৯৭ সালে কিয়োটো প্রটোকল এবং ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
-
দপ্তর প্রতিষ্ঠা: ১৯৯২ সালে, প্রাথমিকভাবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় (১৯৯২-১৯৯৫) এবং পরবর্তীতে জার্মানির বন শহরে স্থানান্তরিত।

0
Updated: 1 day ago
মাদার তেরেসা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 3 weeks ago
A
ভারত
B
আলজেরিয়া
C
আলবেনিয়া
D
ফ্রান্স
মাদার তেরেসা
-
মাদার তেরেসার আসল নাম অ্যাগনেস গন্কজা বোজাহিউ (Agnes Gonxha Bojaxhiu)।
-
তিনি একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক।
-
জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৯১০, আলবেনিয়ার স্কপিয়ে শহরে (বর্তমানে উত্তর মেসিডোনিয়ার অংশ)।
-
১৯২৮ সালে তিনি কলকাতায় আসেন।
-
কলকাতায় তিনি অর্ডার স্কুলে ১৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
-
মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
১৯৬২: পদ্মশ্রী
-
১৯৭১: পোপ জন শান্তি পুরস্কার
-
১৯৭২: জওহরলাল নেহরু পুরস্কার
-
১৯৭৯: নোবেল শান্তি পুরস্কার (দুঃস্থ মানুষের সেবায় অবদান)
-
১৯৮০: ভাররত্ন
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 weeks ago