United Nations Framework Convention on Climate Change-এর মূল আলােচ্য বিষয়-
A
জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ
B
গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ও প্রশমন
C
সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি
D
বৈশ্বিক মরুকরণ প্রক্রিয়া এবং বনায়ন
উত্তরের বিবরণ
UNFCCC বা United Nations Framework Convention on Climate Change হলো জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা মূলত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ ও গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই চুক্তি প্রথম সাক্ষরিত হয় ১৯৯২ সালে এবং ১৯৯৪ সালে কার্যকর হয়,
যার সদর দপ্তর বর্তমানে জার্মানির বন শহরে অবস্থিত। UNFCCC-এর অধীনে বিভিন্ন দেশ জলবায়ু সম্পর্কিত নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে।
-
সাক্ষরের স্থান: রিও ডি জেনেরিও, ব্রাজিল
-
সদর দপ্তর: বন, জার্মানি
-
সাক্ষরিত দেশ: ১৯৮টি
-
প্রাথমিক সম্মেলন: ১৯৯২ সালের ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন (UNCED) শীর্ষ সম্মেলনে
-
মূল লক্ষ্য: বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে জলবায়ু ও মানবিক পরিবেশের ক্ষতি না হয়
-
Conference of the Parties (COP): UNFCCC-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ, যা প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও নতুন জলবায়ু পরিকল্পনা গ্রহণ করে
-
সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকা: UNFCCC-এর দপ্তরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৯৭ সালে কিয়োটো প্রটোকল এবং ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
-
দপ্তর প্রতিষ্ঠা: ১৯৯২ সালে, প্রাথমিকভাবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় (১৯৯২-১৯৯৫) এবং পরবর্তীতে জার্মানির বন শহরে স্থানান্তরিত।
0
Updated: 1 month ago
প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসনের 14 points এ কত নম্বর point এ জাতিপুঞ্জের সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
৯
B
১২
C
১৩
D
১৪
উড্রো উইলসনের ১৪ দফা ও জাতিসংঘের ভিত্তি
উড্রো উইলসন
-
উড্রো উইলসন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট।
-
১৯১৮ সালের ৮ জানুয়ারি, তিনি মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইউরোপে স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য একটি বক্তৃতা দেন।
-
এই বক্তৃতায় তিনি ১৪ দফার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
-
এর ১৪ নং দফায় তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, অর্থাৎ জাতিসংঘ বা লীগ অব নেশনস (League of Nations) গঠনের আহ্বান জানান, যা বিশ্বে শান্তি ও সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
লীগ অব নেশনস (League of Nations):
-
এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে গঠন করা হয়।
-
প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের পর বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
-
উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
মূল লক্ষ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা।
-
একে অপরকে আক্রমণ থেকে বিরত রাখা।
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করা হলে সম্মিলিতভাবে সহায়তা করা।
-
সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান ও ম্যান্ডেট বিষয়ক আলোচনা।
-
সংগঠন ও কার্যক্রম:
-
দুটি মূল অঙ্গ: কাউন্সিল এবং সাধারণ পরিষদ।
-
শক্তিশালী ৫ রাষ্ট্রের সদস্য: ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান।
-
পাশাপাশি ৪টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র রাখা হয়।
-
১৯৩০-এর দশকে বিভিন্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এটি ২০ এপ্রিল ১৯৪৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।
উৎস: UN ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
২০১৮ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জলবায়ু উষ্ণতা প্রতিরোধ তহবিল গড়ি
B
প্লাস্টিক (plastic) দূষণকে পরাজিত করি
C
সবুজ বিশ্ব গড়ে তুলি
D
জলবায়ু উষ্ণতাকে রুখে দেই
২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিশ্বের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি বিভিন্ন বছর অনুযায়ী আলাদা ছিল। সেগুলো হলো:
-
২০১৮: “প্লাস্টিক দূষণকে পরাস্ত করুন” – প্লাস্টিকের অপচয় ও দূষণ কমানো।
-
২০১৯: “Beat Air Pollution” – বায়ু দূষণ রোধের ওপর গুরুত্বারোপ।
-
২০২০: “Time for Nature” – প্রকৃতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান।
-
২০২১: “Ecosystem Restoration” – ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার।
-
২০২২: “Only One Earth” – একমাত্র পৃথিবী রক্ষার বার্তা।
-
২০২৩: “Solving Plastic Pollution” – পুনরায় প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা।
-
২০২৪: “Restore Land, Stop Desertification; Achieve Drought Resilience” – ভূমি পুনরুদ্ধার ও খরা প্রতিরোধে সচেতনতা।
এই তথ্য UNEP (United Nations Environment Programme) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago