ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা?
A
মালয়েশিয়া
B
ইন্দোনেশিয়া
C
চীন
D
ইংল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
ব্যাডমিন্টন একটি বহিরাঙ্গন ক্রীড়া যা একক বা যুগ্মভাবে খেলা হয়। খেলাটি নেট দ্বারা বিভক্ত একটি আয়তাকার কোর্টে র্যাকেট ব্যবহার করে শাটলকর্ক প্রতিদ্বন্দীর কোর্টে পাঠানোর মাধ্যমে স্কোর সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে।
-
ব্যাডমিন্টন খেলার উদ্ভব উনিশ শতকের মধ্যভাগে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ সেনা অফিসারদের দ্বারা হয়।
-
তারা ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খেলা ব্যাটলডোর ও শাটলকর্কে নেট যুক্ত করে খেলাটি চালু করেছিলেন।
-
১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে ‘ব্যাডমিন্টন এসোশিয়েশন’ গঠন করা হয়।
-
খেলার জনপ্রিয়তা বাড়ায় ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডে পুরুষদের All England Championship অনুষ্ঠিত হয়।
-
ধারাবাহিকতায় ১৯৩৪ সালে International Badminton Federation (I.B.F) গঠিত হয়।
-
মেয়েদের জন্য প্রথম টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় ১৯৫৭ সালে।
-
১৯৫৯ সালে এশিয়ার কয়েকটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বৈঠক করে I.B.F গঠনকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে।
-
১৯৩৮ সালে IBF প্রণীত প্রথম নিয়ম ও নিয়মাবলী প্রকাশিত হয়।
-
নিয়মাবলী পরবর্তীতে পরিবর্তিত, সংশোধিত ও সংযোজিত হয়ে ১৯৮৩ সালের মে মাসে পূর্ণতা লাভ করে, যা এখনও কার্যকর রয়েছে।
-
ব্যাডমিন্টন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় খেলা।
অন্য দেশের জাতীয় খেলা:
-
মালয়েশিয়া: সেপাক টার্কো
-
চীন: টেবিল টেনিস
-
ইংল্যান্ড: ক্রিকেট

0
Updated: 1 day ago
'মংডু' কোন দুটি দেশের সীমান্ত এলাকা?
Created: 3 weeks ago
A
বাংলাদেশ-মায়ানমার
B
মিয়ানমার-চীন
C
বাংলাদেশ-ভারত
D
ভারত-মায়ানমার
মংডু ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
মংডু:
মংডু হলো মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একটি জেলা শহর, যা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার সীমান্তে অবস্থিত। মংডু ও বাংলাদেশের টেকনাফ শহরকে আলাদা করেছে নাফ নদী। এছাড়া, টেকনাফ-মংডু সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্যও চলে। -
বাংলাদেশের সীমান্তজেলা:
বাংলাদেশের মোট ৩২টি জেলা সীমান্ত সংলগ্ন। এর মধ্যে:-
৩০টি জেলা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
৩টি জেলা (কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান) মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
রাঙ্গামাটি জেলা বিশেষ, কারণ এটি একমাত্র জেলা যা ভারত ও মায়ানমার—দুই দেশের সাথেই সীমান্তযুক্ত।
-
তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, পত্রিকা রিপোর্ট।

0
Updated: 3 weeks ago
১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জাতিসংঘের মোট কতটি সদস্য রাষ্ট্র ছিল?
Created: 1 week ago
A
৫০
B
৫১
C
৪৮
D
৪৯
জাতিসংঘ (United Nations Organization)
জাতিসংঘ হলো বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা জাতিপুঞ্জের (League of Nations) উত্তরসূরী।
-
সনদ স্বাক্ষর: ২৬ জুন, ১৯৪৫
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫
-
স্বাক্ষরের স্থান: সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য: ৫১টি দেশ (পোল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে)
-
বিশেষ তথ্য: পোল্যান্ড সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে ১৫ অক্টোবর সনদে স্বাক্ষর করায় প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে গণ্য।
-
-
বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি দেশ
-
সর্বশেষ সদস্য: দক্ষিণ সুদান
-
মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, আরবি)
-
কার্যকরী ভাষা: ২টি (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ)
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্তিন)
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেন। সনদ কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ গঠিত হয়। পোল্যান্ডসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ছিল ৫১টি।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
জিরোসাম গেম (Zero-Sum Game) আন্তর্জাতিক সম্পর্কে কোন তত্ত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 week ago
A
বাস্তববাদ
B
মার্ক্সবাদ
C
গঠনবাদ
D
উদারতাবাদ
জিরো-সাম গেম (Zero-Sum Game) এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব
জিরো-সাম গেম কী?
জিরো-সাম গেম হলো গেম থিওরির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এতে বলা হয় যে, কোনো দুটি বা ততোধিক পক্ষ যখন একটি নির্দিষ্ট সম্পদ পেতে চেষ্টা করে, তখন এক পক্ষ যা জিতবে, ঠিক সেই পরিমাণ অন্য পক্ষ হারাবে। অর্থাৎ, সব পক্ষের নিট (net) লাভ-ক্ষতি মিলিয়ে ফলাফল শূন্য হবে।
জিরো-সাম গেমের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চাহিদার তুলনায় সম্পদের যোগান সর্বদা সীমিত থাকে।
-
সম্পদের মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে; নতুন কিছু তৈরি হয় না বা নষ্ট হয় না।
-
সব পক্ষের নেট পরিবর্তন মিলিয়ে শূন্য হয়।
বাস্তববাদ (Realism) ও জিরো-সাম গেম
বাস্তববাদের মূল ধারণা
-
মানুষ স্বভাবতই স্বার্থপর এবং বিশৃঙ্খল।
-
যেহেতু মানুষ বিশৃঙ্খল, তাই রাষ্ট্রও প্রায়শই দ্বন্দ্বে জড়িত থাকে।
-
রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা।
-
বাস্তববাদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হলো এক ধরনের জিরো-সাম গেম, যেখানে এক পক্ষ জিতবে এবং অন্য পক্ষ হারবে।
উদাহরণ:
-
বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার আগ্রাসী নীতি বাস্তববাদের উদাহরণ।
উদারতাবাদ (Liberalism)
উদারতাবাদের মূল ধারণা:
-
মানুষের প্রগতি ও মুক্তি নিশ্চিত করা।
-
ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য ও সম্ভাবনাকে বিকাশের সুযোগ দেওয়া।
-
শুধুমাত্র রাজনৈতিক জীবন নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ এবং স্বাধীনতার জন্য কাজ করা।
উৎস: Investopedia, Zero-Sum Game Definition & Examples,

0
Updated: 1 week ago