জিবুতি দেশটি কোথায় অবস্থিত?
A
এডেন উপসাগরের পাশে
B
প্রশান্ত মহাসাগরে
C
দক্ষিণ আমেরিকায়
D
দক্ষিণ চীন সাগরে
উত্তরের বিবরণ
জিবুতি হলো উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত একটি প্রজাতান্ত্রিক দেশ, যা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
এটি হর্ন অব আফ্রিকা বা আফ্রিকার শিং অঞ্চলে ছোট্ট একটি দেশ হলেও সাগরপথ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর কারণে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।
-
জিবুতি লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
-
এর সীমান্তে দক্ষিণে সোমালিয়া, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ইথিওপিয়া, উত্তরে ইরিত্রিয়া এবং পূর্বে লোহিত সাগর ও ইয়েমেন উপসাগর রয়েছে।
-
দেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হলো জিবুতি।
-
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।
-
মুদ্রা হলো জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক।
-
জিবুতি পূর্বে ফ্রান্সের উপনিবেশ হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
১৮৯৬ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত দেশটি ফরাসি সোমালিল্যান্ড নামে পরিচিত ছিল।
-
১৯৭৭ সালে জিবুতি ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
-
দেশের গুরুত্বপূর্ণ জলাশয় হলো লেক আবি এবং লেক আসাল।
0
Updated: 1 month ago
মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী নিচের কোন দেশটি?
Created: 2 months ago
A
রাশিয়া
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
জার্মানি
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)
গ্রিনহাউস গ্যাস হলো সেই গ্যাসগুলো যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং পুনরায় মহাশূন্যে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে। প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
জলীয় বাষ্প (Water vapor)
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু (per capita) গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কাতার। অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছে: বাহরাইন, ব্রুনাই, কুয়েত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, মঙ্গোলিয়া, সৌদি আরব, এবং অস্ট্রেলিয়া।
উৎস: Our World in Data
0
Updated: 2 months ago
জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য:
Created: 2 months ago
A
জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন
C
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন, ব্রাজিল, চীন, নাইজেরিয়া
D
উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইসলায়েল, চীন
জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘ (United Nations, UN)
-
বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
এটি পূর্বের জাতিপুঞ্জ (League of Nations) এর উত্তরসূরী।
-
সনদ স্বাক্ষর: ২৬ জুন ১৯৪৫, স্থান: সানফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র।
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫।
-
প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা: ৫১টি, বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি।
-
সর্বশেষ যোগ হওয়া দেশ: দক্ষিণ সুদান।
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস।
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, আরবি)।
-
কার্যকরী ভাষা: ২টি (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ)।
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান সিটি, ফিলিস্তিন)।
জাতিসংঘের প্রধান ৬টি অঙ্গসংস্থা:
-
সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (International Court of Justice)
-
তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ (Trusteeship Council)
-
সচিবালয় (Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
মোট ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত।
-
স্থায়ী সদস্য: ৫টি দেশ, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পরাশক্তি:
-
চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র।
-
এ পাঁচ দেশকে একত্রে P-৫ বলা হয়।
-
-
নিরাপত্তা পরিষদ নতুন সদস্যের জন্য সাধারণ পরিষদকে সুপারিশ করে।
-
মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নিয়োগেও নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন।
-
মহাসচিব নির্বাচিত হন নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সম্পর্কিত নিয়ম জাতিসংঘ সনদ, ২৩ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে।
অস্থায়ী সদস্য:
-
নির্বাচিত হয় ২ বছরের জন্য।
-
বর্তমান দশটি অস্থায়ী সদস্য:
-
২০২৪: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড
-
২০২৫: আলজেরিয়া, গায়ানা, কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া
-
উৎস: UN Security Council ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
মাদার তেরেসা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 2 months ago
A
ভারত
B
আলজেরিয়া
C
আলবেনিয়া
D
ফ্রান্স
মাদার তেরেসা
-
মাদার তেরেসার আসল নাম অ্যাগনেস গন্কজা বোজাহিউ (Agnes Gonxha Bojaxhiu)।
-
তিনি একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক।
-
জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৯১০, আলবেনিয়ার স্কপিয়ে শহরে (বর্তমানে উত্তর মেসিডোনিয়ার অংশ)।
-
১৯২৮ সালে তিনি কলকাতায় আসেন।
-
কলকাতায় তিনি অর্ডার স্কুলে ১৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
-
মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
১৯৬২: পদ্মশ্রী
-
১৯৭১: পোপ জন শান্তি পুরস্কার
-
১৯৭২: জওহরলাল নেহরু পুরস্কার
-
১৯৭৯: নোবেল শান্তি পুরস্কার (দুঃস্থ মানুষের সেবায় অবদান)
-
১৯৮০: ভাররত্ন
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago