চীন থেকে ক্রয়কৃত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবােজাহাজ দুটি নিম্নোক্ত কোন শ্রেণির?
A
কিলাে-ক্লাস
B
মিং-ক্লাস
C
ডলফিন-ক্লাস
D
শ্যাং-ক্লাস
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ২০১৬ সালে চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন ক্রয় করে, যা নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই সাবমেরিনগুলি চীনের মিং-ক্লাস (টাইপ ০৩৫) ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন, যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন আক্রমণে সক্ষম।
-
২০১২ সালে চীনের সঙ্গে দুটি মিং-ক্লাস সাবমেরিন ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
-
১৪ নভেম্বর ২০১৬ চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওয়ান শিপইয়ার্ড থেকে সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
-
সাবমেরিন দুটির নামকরণ করা হয় 'নবযাত্রা' এবং 'জয়যাত্রা'।
-
আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রতিটি সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭.৬ মিটার।
-
সাবমেরিনগুলি টর্পেডো এবং মাইন দ্বারা সুসজ্জিত, যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন আক্রমণে সক্ষম।
-
২০১৭ সালে এই দুটি চীনা সাবমেরিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়।

0
Updated: 1 day ago
১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জাতিসংঘের মোট কতটি সদস্য রাষ্ট্র ছিল?
Created: 1 week ago
A
৫০
B
৫১
C
৪৮
D
৪৯
জাতিসংঘ (United Nations Organization)
জাতিসংঘ হলো বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা জাতিপুঞ্জের (League of Nations) উত্তরসূরী।
-
সনদ স্বাক্ষর: ২৬ জুন, ১৯৪৫
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫
-
স্বাক্ষরের স্থান: সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য: ৫১টি দেশ (পোল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে)
-
বিশেষ তথ্য: পোল্যান্ড সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে ১৫ অক্টোবর সনদে স্বাক্ষর করায় প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে গণ্য।
-
-
বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি দেশ
-
সর্বশেষ সদস্য: দক্ষিণ সুদান
-
মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, আরবি)
-
কার্যকরী ভাষা: ২টি (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ)
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্তিন)
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেন। সনদ কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ গঠিত হয়। পোল্যান্ডসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ছিল ৫১টি।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
World Development Report কোন সংস্থার বার্ষিক প্রকাশনা?
Created: 1 day ago
A
UNDP
B
World Bank
C
IMF
D
BRICS
বিশ্বব্যাংক একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা প্রধানত মধ্য আয়ের দেশগুলোকে ঋণ প্রদান ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে। এটি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহায়তা করে।
-
বিশ্বব্যাংকের গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৪৪ সালের ৪ জুলাই।
-
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার শহরে ২৯টি দেশ ব্রেটন উডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫ সালে।
-
কার্যক্রম শুরু করে জুন, ১৯৪৬ সালে।
-
বর্তমানে সদস্য দেশ সংখ্যা ১৮৯টি।
-
সর্বশেষ সদস্য দেশ নাউরু, যোগদান তারিখ ১২ এপ্রিল, ২০১৬।
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডি. সি, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: অজয় বঙ্গ।
-
বিশ্বব্যাংক বলতে মূলত IBRD (International Bank for Reconstruction and Development) বোঝানো হয়।
উদ্দেশ্য ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য:
-
উদ্দেশ্য: মধ্য আয়ের দেশগুলোকে ঋণ প্রদান এবং উপদেষ্টা হিসেবে সহায়তা করা।
-
সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহীতা দেশ ভারত।
-
প্রথম ঋণ গ্রহীতা দেশ ফ্রান্স।
প্রকাশনা ও প্রতিবেদন:
-
বিশ্বব্যাংক World Development Report (বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন) প্রকাশ করে।
-
প্রতিবেদনটি প্রতি বছর মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের তুলনামূলক তথ্যসহ প্রকাশিত হয়।
-
এটি ১৯৭৮ সাল থেকে বার্ষিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।

0
Updated: 1 day ago
বিখ্যাত 'ওয়াশিংটন কনসেনসাস' (Washington Consensus) কোন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত?
Created: 1 week ago
A
আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি
B
নয়া উদারতাবাদী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন
C
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ
D
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন
ওয়াশিংটন কনসেনসাস
ওয়াশিংটন কনসেনসাস হলো একটি অর্থনৈতিক নীতির সেট যা নয়া উদারতাবাদী (Neo-liberal) নীতিমালা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি মূলত মুক্ত-বাজার অর্থনীতি প্রবর্তনের ওপর জোর দেয়।
মূল তথ্য:
-
এই নীতিগুলোকে সমর্থন করেছে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন IMF, বিশ্বব্যাংক এবং মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।
-
ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন উইলিয়ামসন (John Williamson) ১৯৮৯ সালে ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সংকটে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করা।
মূল নীতিমালা:
-
বাণিজ্যকে উদার করা
-
বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা
-
অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা
-
দক্ষ সরকারি ব্যয়ের অগ্রাধিকার দেওয়া
-
কর সংস্কার করা
-
আর্থিক খাতে উদারীকরণ (Financial liberalization)
-
প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার নির্ধারণ
-
বেসরকারি খাতে হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা
-
সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago