কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
A
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
B
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
C
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
D
কনট্রোলার ও অডিটর জেনারেল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে সাংবিধানিক পদ হিসেবে গণ্য করা হয় না। কারণ এটি সংবিধান দ্বারা গঠিত নয়, বরং আলাদা আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত।
অন্যদিকে সাংবিধানিক পদগুলো সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং এসব পদের গঠন, দায়িত্ব, মেয়াদ, পদত্যাগ ও অপসারণ প্রক্রিয়া সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
সাংবিধানিক পদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
যে সকল প্রতিষ্ঠান সংবিধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, মেয়াদ, পদমর্যাদা, দায়িত্ব এবং অপসারণ প্রক্রিয়া সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকে।
সাংবিধানিক পদগুলো হলো:
-
রাষ্ট্রপতি
-
স্পিকার
-
প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীগণ
-
ডিপুটি স্পিকার
-
প্রধান বিচারপতি
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার
-
মহা-হিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য

0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
২৫ মার্চ ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
মুক্তিযুদ্ধকালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনা হলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড মূলত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। হত্যার লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরকেও হত্যার শিকার হতে হয়।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সার্বিক নির্দেশনা: জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (পাক সেনা, ইস্টার্ন কমান্ড)
-
সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন: মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
-
বাস্তবায়নে: ব্রিগেডিয়ার বশির, লেঃ কর্নেল হেজাজী, মেজর আসলাম, মেজর জহুর, ক্যাপ্টেন নাসের, ক্যাপ্টেন কাইউম
-
স্থানীয় সহযোগী: আলবদর ও আলশামস বাহিনী
-
আলবদর: জামাত ইসলামের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা
-
আলশামস: মুসলিম লীগ, জামায়েত ইসলামি ও উর্দুভাষী বিহারীদের সমন্বয়ে গঠিত
-
-
হত্যা সংঘটিত স্থান: ঢাকার মিরপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা
১৯৭১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়, যেখানে দেশ এই মহান বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
উৎস: উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
আনিসুল হক
B
সাঈদ খােকন
C
সাদেক হােসেন খােকা
D
মােহাম্মদ হানিফ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের সঙ্গে ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে। শুরুতে এটি একটি সাধারণ পৌরসভা হিসেবে গঠিত হয়েছিল, পরে ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ সিটি করপোরেশনে রূপান্তরিত হয়,
যা নগরবাসীর সেবা আরও কার্যকরভাবে পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ইতিহাসের মূল দিকগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট ঢাকা পৌরসভা স্থাপিত হয়।
-
১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা নগরীকে ৫০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে ঢাকা পৌরসভা গঠন করা হয়।
-
১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
-
১৯৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-এ উন্নীত করা হয় এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে অভিহিত করা হয়।
-
১৯৯০ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম পরিবর্তন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন রাখা হয়।
-
প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে, যেখানে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ।
-
নগরবাসীর সেবা সহজলভ্য করার জন্য ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার সংশোধনী বিল ২০১১ অনুযায়ী সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
-
এই আইন অনুযায়ী ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
-
ফলস্বরূপ, ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নামে পৃথক দুটি সিটি কর্পোরেশন কার্যক্রম শুরু করে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় -
Created: 2 weeks ago
A
আউশ ধান
B
আমন ধান
C
বোরো ধান
D
ইরি ধান
বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন পরিসংখ্যান (২০২৩)
বাংলাদেশে ধান প্রধান খাদ্যশস্য, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বোরো ধান। কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৩ অনুযায়ী ধানের আবাদ ও উৎপাদনের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
মোট ধান
-
উৎপাদন: ৩৯০.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ২৮৭.৫৪ লক্ষ একর
-
-
বোরো ধান (স্থানীয় + অন্যান্য)
-
উৎপাদন: ২০৭.৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ১১৯.৮৯ লক্ষ একর
-
-
আউশ ধান (স্থানীয় + অন্যান্য)
-
উৎপাদন: ২৯.০১ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ২৬.২২ লক্ষ একর
-
-
আমন ধান (স্থানীয় + অন্যান্য)
-
উৎপাদন: ১৫৪.২৬ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ১৪১.৪৩ লক্ষ একর
-
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ – ২০২৩

0
Updated: 2 weeks ago