ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু আবর্তনের কেন্দ্রকে কী বলা হয়?
A
ডানা
B
চোখ
C
মোখা
D
মূলবিন্দু
উত্তরের বিবরণ
ঘূর্ণিঝড়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
ঘূর্ণিঝড়ের সময় পশ্চিমা বায়ু প্রবাহ দ্বারা মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চলের নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
-
এ সময় বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিমি বা তারও বেশি হয়।
-
ঘূর্ণিঝড়ে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু আবর্তনের কেন্দ্রকে "চোখ" বলা হয়।
-
ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাস ২০০-৭০০ কিমি এবং গভীরতা ১২-১৬ কিমি পর্যন্ত হয়।
-
ঘূর্ণিঝড়ের সময় কেন্দ্রের ভেতরের দিকে বায়ুচাপ দ্রুত হ্রাস পায়।
-
ঘূর্ণিঝড় প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগ সৃষ্টি করে।
-
এটি উষ্ণ জলরাশি থেকে সৃষ্টি হয়, যার গড় উষ্ণতা প্রায় ২৭° সেলসিয়াস।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের বৈশিষ্ট্য?
Created: 3 weeks ago
A
মানুষের উপর নিয়ন্ত্রন থাকে
B
আকস্মিকভাবে ঘটে
C
শুধুমাত্র শহরে ঘটে
D
মানুষের কল্পনায় সৃষ্টি হয়
দুর্যোগ হলো এমন একটি পরিস্থিতি যা অস্বাভাবিক ও অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে, এবং যার ফলে সম্পদ ক্ষয়, পরিবেশের ক্ষতি এবং প্রাণহানি ঘটে। দুর্যোগের প্রভাবে বাহ্যিকভাবে ক্ষতি, জীবনহানি বা পরিবেশগত ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
দুর্যোগ প্রধানত দুই ধরনের: প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।
• প্রাকৃতিক দুর্যোগ:
-
প্রাকৃতিক কারণেই সৃষ্ট দুর্যোগকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা হয়।
-
এগুলো সাধারণত আকস্মিকভাবে ঘটে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।
-
প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, খরা, নদীভাঙন, সুনামি, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদি।
• মানবসৃষ্ট দুর্যোগ:
-
মানুষের অসচেতনতা বা দূরদৃষ্টির অভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ বলা হয়।
-
এগুলো সাধারণত মানব জীবন ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।
-
উদাহরণ: যুদ্ধ-বিগ্রহ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, বনাঞ্চল ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ, মরুকরণ, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী সাইক্লোন কোন বছর ঘটে ছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৬১ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
২০০৭ সালে
সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় হলো একটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ যেখানে বাতাস নিম্নচাপের কারণে প্রচণ্ড গতিবেগে ঘুরতে থাকে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও মূলত একই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনা। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে দেশটি সাইক্লোনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
-
সাইক্লোন শব্দের উৎস: গ্রিক শব্দ "Kyklos" থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো Coil of Snakes বা সাপের কুণ্ডলী।
-
নাম ভিন্নতা: দক্ষিণ এশিয়ায় এটি সাইক্লোন, আমেরিকাতে হ্যারিকেন (Hurricane), এবং দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতে টাইফুন (Typhoon) নামে পরিচিত।
-
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের উত্তরে হিমালয় পর্বত, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং মাঝখানে ফানেল আকৃতির উপকূলীয় এলাকা রয়েছে।
-
ঝুঁকিপূর্ণতা: ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাইক্লোনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
-
ঐতিহাসিক সাইক্লোন: ১৯৬০ সাল থেকে অসংখ্য সাইক্লোন আঘাত এনেছে, বিশেষ করে ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৮৫, ১৯৯১, ২০০৭ ও ২০০৯ সালের সাইক্লোনগুলো প্রলয়ংকরী ছিল।
-
সর্বকালের প্রলয়ংকরী সাইক্লোন: ১৯৭০ সালের সাইক্লোনকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
-
সর্বাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন: বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন হয়েছিল ১৯৯১ সালে, যখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার ছিল।
0
Updated: 1 month ago
চীন ও জাপানের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় কী নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
সাইক্লোন
B
টাইফুন
C
বাগুই
D
হারিকেন
ঘূর্ণিঝড়:
-
ঘূর্ণিঝড় হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষ ও প্রাণিজগতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
-
সারা বিশ্বে ঘূর্ণিঝড় বিভিন্ন নামে পরিচিত।
-
চীন ও জাপানের উপকূলে: টাইফুন
-
ভারত মহাসাগরে: সাইক্লোন
-
ফিলিপাইনের উপকূলে: বাগুই
-
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে: উইলি উইলিছ
-
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকো উপসাগর অঞ্চলে: হারিকেন
-
0
Updated: 1 month ago