বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে পৃথক করেছে কোন নদী?
A
করতোয়া নদী
B
কর্ণফুলী নদী
C
হালদা নদী
D
নাফ নদী
উত্তরের বিবরণ
নাফ নদী:
-
নাফ নদী বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে পৃথক করেছে।
-
এটি কক্সবাজার জেলার সর্বদক্ষিণ-পূর্ব কোণ দিয়ে প্রবাহিত একটি প্রলম্বিত খাঁড়ি সদৃশ নদী, যা মিয়ানমারের আরাকান থেকে কক্সবাজার জেলাকে বিভক্ত করেছে।
-
কক্সবাজার জেলার দক্ষিণে এটি একটি বড় নদী।
-
আরাকান ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের অন্যান্য পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে নাফ নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।
-
এর প্রস্থ ১.৬১ কিমি থেকে ৩.২২ কিমি পর্যন্ত এবং এটি জোয়ারভাটা প্রবণ।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণতম উপজেলা টেকনাফ নাফ নদীর ডান তীরে অবস্থিত।
-
মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর নাফ নদীর বাম তীরে অবস্থিত।
0
Updated: 1 month ago
কুশিয়ারা ও সুরমা নদী মিলিত হয়েছে-
Created: 1 month ago
A
চিলমারি
B
গোয়ালন্দ
C
আজমিরীগঞ্জ
D
চাঁদপুর
গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহের মিলিত স্থান:
-
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা: ভৈরব বাজার।
-
হালদা ও কর্ণফুলী: কালুরঘাট, চট্টগ্রাম।
-
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র: চিলমারি, কুড়িগ্রাম।
-
পদ্মা ও যমুনা: গোয়ালন্দ, রাজবাড়ি।
-
পদ্মা ও মেঘনা: চাঁদপুর।
-
কুশিয়ারা ও সুরমা: আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
0
Updated: 1 month ago
কালনা সেতু কোন নদীর উপর অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
যমুনা নদী
B
আত্রাই নদী
C
করতোয়া নদী
D
মধুমতী নদী
কালনা সেতু (মধুমতী সেতু)
-
প্রথম ৬ লেনবিশিষ্ট সেতু হিসেবে পরিচিত।
-
দৈর্ঘ্য: ৬৯০ মিটার, প্রস্থ: ২৭.১০ মিটার।
-
উভয় পাশে সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ৪.২৭৩ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০.৫০ মিটার।
-
সেতুর মধ্যখানে ১৫০ মিটার স্টিলের দীর্ঘ স্প্যান বসানো হয়েছে।
-
নির্মাণ ব্যয় ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা, সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকার অর্থায়নে সম্পন্ন।
-
ভৌগোলিক গুরুত্ব: নড়াইল, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাকে সরাসরি সংযুক্ত করছে।
-
নকশা: নিয়েলসন-লোহসে আর্চ ডিজাইন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যার বৈশিষ্ট্য হলো ইস্পাতনির্মিত খিলান সুপারস্ট্রাকচার, যা সেতুকে দৃঢ় ও দৃষ্টিনন্দন রূপ দেয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে নদের সংখ্যা কয়টি ?
Created: 2 days ago
A
১ টি
B
২টি
C
৩ টি
D
৪ টি
বাংলাদেশে নদ-নদীর বৈচিত্র্য অনেক, তবে প্রধান নদ ব্যবস্থার দিক থেকে দেশে চারটি নদ ব্যবস্থা বা নদ বলা হয়। এ চারটি নদ বাংলাদেশের ভৌগোলিক গঠন, কৃষি, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
• বাংলাদেশে প্রধান নদ সংখ্যা চারটি। এগুলো হলো— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র। এই চারটি নদ বাংলাদেশের প্রধান জলধারা, যেগুলো দেশজুড়ে বিস্তৃত জলপ্রবাহ সৃষ্টি করেছে।
• ব্রহ্মপুত্র নদ মূলত তিব্বতের হিমালয় অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতে প্রবেশ করে, পরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করার পর এটি যমুনা নামে পরিচিত।
• যমুনা নদ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদ। এটি উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে দেশের মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়। যমুনা নদ বাংলাদেশের বন্যা ও পলি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
• পদ্মা নদ ভারতের হিমালয় থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর একটি শাখা, যা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনা ও মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়। এটি দেশের অন্যতম প্রশস্ত ও প্রবল স্রোতের নদ।
• মেঘনা নদ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলনে গঠিত। মেঘনা নদ বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মূল জলধারা হিসেবে কাজ করে।
• এই চারটি নদ মিলে বাংলাদেশের নদ-ব্যবস্থা গঠন করেছে। ছোট-বড় শাখা নদী, খাল, বিল ও উপনদী মিলিয়ে নদীর সংখ্যা হাজারেরও বেশি হলেও মূল নদ সংখ্যা চারটি হিসেবেই গণ্য করা হয়, কারণ এরা বাংলাদেশের জলপ্রবাহের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
• বাংলাদেশের মোট নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ বলে ধরা হয়, তবে ভৌগোলিকভাবে এরা চারটি প্রধান নদ ব্যবস্থার অধীন— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র।
• এই চার নদ বাংলাদেশের অর্থনীতি, কৃষি, পরিবহন ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব রেখেছে। তাদের অববাহিকা অঞ্চলে কৃষিকাজের জন্য উর্বর মাটি তৈরি হয় এবং জলসম্পদ দেশের জীবনরেখা হিসেবে কাজ করে।
• নদীগুলোর মিলনস্থলে বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি সমতল ও পলি সমৃদ্ধ, যা নদীমাতৃক বাংলাদেশের পরিচয়কে তুলে ধরে।
অতএব, বাংলাদেশের প্রধান নদ সংখ্যা ৪টি, এবং এরা হলো— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র।
0
Updated: 2 days ago