ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করছে কোন দেশ? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
জাপান
B
চীন
C
ভারত
D
দক্ষিণ কোরিয়া
উত্তরের বিবরণ
ভোলা জেলার দক্ষিণাঞ্চলে একটি নতুন বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যা চীনা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
-
অর্থনৈতিক এলাকার নাম: ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোন
-
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান: চীনা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ
-
অনুমোদন: প্রাথমিক অনুমোদন বা প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে
-
প্রকল্পের ব্যয়: প্রায় ১০০ কোটি ডলার
-
শিল্পপ্রতিষ্ঠান সংখ্যা: পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ৪০টি
-
কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা: পরিপূর্ণভাবে চালু হলে প্রায় এক লাখ লোকের জন্য কাজের সুযোগ
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থানীয় শিল্প ও অর্থনীতিকে উত্সাহিত করা এবং দক্ষিণাঞ্চলের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
0
Updated: 1 month ago
চা-এর আদি নিবাস কোথায়?
Created: 1 month ago
A
চীন
B
রাশিয়া
C
ব্রিটেন
D
ভারত
চায়ের ইতিহাস শুরু হয় চীন এবং দূরপ্রাচ্যে। সপ্তদশ শতাব্দীতে রানী ইংল্যান্ডের মাধ্যমে চা পরিচিত হয় এবং দেখা যায় যে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চা ব্যবসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আঠারো শতকে চায়ের অসাধারণ জনপ্রিয়তা বিস্তৃত চোরাচালান ও ভেজালের দিকে পরিচালিত করেছিল। এছাড়া, ১৭৭৩ সালের বোস্টন টি পার্টি আমেরিকান বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায়।
-
চায়ের অদ্ভুত সূচনা: চীন ও দূরপ্রাচ্যে
-
সপ্তদশ শতাব্দীতে চা ইংল্যান্ডে পরিচিত
-
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চা ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
-
আঠারো শতকে চায়ের জনপ্রিয়তার ফলে চোরাচালান ও ভেজাল বৃদ্ধি
-
১৭৭৩ সালের বোস্টন টি পার্টি আমেরিকান বিপ্লবের সূত্রপাত
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশ- [সেপ্টেম্বর,২০২৫]
Created: 1 month ago
A
চীন
B
ভারত
C
দক্ষিণ কোরিয়া
D
তাইওয়ান
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রকাশিত এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশসমূহ (GDP অনুযায়ী)
-
তালিকায় জাপান রাখা হয়নি, যদিও এটি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
-
বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি।
শীর্ষ ৫ দেশের তালিকা:
-
চীন: ১৮,৯৬,৫০০ কোটি ডলার (১৮.৯৬ ট্রিলিয়ন)
-
ভারত: ৩,৯১,১৪০ কোটি ডলার (৩.৯১ ট্রিলিয়ন)
-
দক্ষিণ কোরিয়া: ১,৮৬,৯৫০ কোটি ডলার (১.৮৭ ট্রিলিয়ন)
-
ইন্দোনেশিয়া: ১,৩৯,৬৩০ কোটি ডলার (১.৪০ ট্রিলিয়ন)
-
তাইপে: ৭৯,৫৯০ কোটি ডলার (০.৮০ ট্রিলিয়ন)
0
Updated: 1 month ago
১৯৯৭ সালে এশিয়ার কোন রাষ্ট্রে 'একদেশ, দুই নীতি' চালু হবে?
Created: 5 months ago
A
লাওস
B
ভিয়েতনাম
C
মঙ্গোলিয়া
D
গণচীন
‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি
চীনে বর্তমানে চালু রয়েছে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি। এই নীতির আওতায় রয়েছে চীনের দুটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল—হংকং ও ম্যাকাও। এর মধ্যে হংকং চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ দ্বীপ, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। হংকংকে অনেক সময় ‘চীনের প্রবেশদ্বার’ বলা হয়।
হংকংয়ের ইতিহাস ও রাজনৈতিক পটভূমি
-
খ্রিষ্টপূর্ব ২৪৩ সালে চীনের কিং সাম্রাজ্যের শাসনামলে প্রথমবারের মতো হংকং চীনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
পরবর্তীকালে রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে হংকং ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়।
-
ব্রিটিশ শাসনের সূচনায় ছিল আফিম যুদ্ধের ভূমিকা। প্রথম আফিম যুদ্ধে পরাজয়ের পর, ১৮৪১ সালে ব্রিটেন হংকং দখল করে নেয় এবং সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।
-
১৮৪২ সালে স্বাক্ষরিত নানকিং চুক্তির মাধ্যমে হংকং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ‘ক্রাউন কলোনি’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
পরে, ৯৯ বছরের ইজারার চুক্তি অনুযায়ী হংকং ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে পরিচালিত হতে থাকে।
হস্তান্তর ও ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি
-
১৯৮৪ সালে বেইজিংয়ের ‘হল অব দ্য পিপল’-এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ও চীনা প্রধানমন্ত্রী ঝাও জিয়াং একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যাতে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংকে চীনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করা হয়। এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স চার্লস, চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইটসহ অনেক আন্তর্জাতিক নেতা।
-
চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল—হস্তান্তরের পরবর্তী ৫০ বছর অর্থাৎ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত হংকংকে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির আওতায় শাসন করা হবে। এর আওতায় পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে হংকং পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
২০৪৭ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হবে এবং হংকংকে চীনের একটি সাধারণ প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
উৎস: Britannica
0
Updated: 5 months ago