European Free Trade Association কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
A
১৯৫২ সালে
B
১৯৬০ সালে
C
১৯৬৬ সালে
D
১৯৪৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
EFTA হলো ইউরোপের একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য সংস্থা, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে।
-
পূর্ণরূপ: European Free Trade Association
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬০ সালে
-
সদর দপ্তর (সেক্রেটারিয়েট): জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
অফিস: ব্রাসেলস ও লুক্সেমবার্গে
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৪টি (সেপ্টেম্বর, ২০২৫ অনুযায়ী)
-
সদস্য দেশ: আইসল্যান্ড, লিচেস্টেন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, EFTA সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে, যা বৈশ্বিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 1 month ago
'World Economic Outlook' প্রতিবেদন-২০২৫ অনুসারে, মাথাপিছু আয়ে শীর্ষ দেশ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
সিঙ্গাপুর
C
অস্ট্রেলিয়া
D
লুক্সেমবার্গ
World Economic Outlook (WEO)
-
প্রকাশক প্রতিষ্ঠান: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)।
-
উদ্দেশ্য:
-
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ।
-
ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবণতার পূর্বাভাস প্রদান।
-
-
বিষয়বস্তু:
-
IMF সদস্য দেশগুলির সামষ্টিক অর্থনীতি (Macroeconomy)।
-
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (GDP Growth)।
-
মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)।
-
কর্মসংস্থান (Employment)।
-
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক।
-
সর্বশেষ প্রতিবেদন
-
World Economic Outlook – এপ্রিল ২০২৫
মাথাপিছু আয়ে শীর্ষ দেশসমূহ:
১. লুক্সেমবার্গ
২. সুইজারল্যান্ড
৩. আয়ারল্যান্ড
৪. সিঙ্গাপুর
৫. নরওয়ে
মাথাপিছু আয়ে সর্বনিম্ন দেশ:
-
বুরুন্ডি
উৎস:
i) IMF ওয়েবসাইট
ii) World Population Review
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের কোন সংস্থার উদ্যোগে CIRDAP গঠিত হয়েছে?
Created: 5 months ago
A
ESCAP
B
FAO
C
UNCHR
D
UNEP
CIRDAP
- পূর্ণরূপ: Centre on Integrated Rural Development for Asia and the Pacific.
- একটি আঞ্চলিক, আন্তঃসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত একটি সংস্থা।
- জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) উদ্যোগে (CIRDAP) প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ৬ জুলাই, ১৯৭৯ সালে CIRDAP গঠিত হয়।
- সদর দপ্তর: ঢাকা, বাংলাদেশ।
- সদস্য সংখ্যা: ১৫টি।[ এপ্রিল, ২০২৫]
- সদস্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
উৎস: CIRDAP ওয়েবসাইট।
0
Updated: 5 months ago
কপ ২৮ সম্মেলনটি কী সম্পর্কিত?
Created: 1 week ago
A
শরণার্থীর অধিকার
B
জ্বালানি নিরাপত্তা
C
সমুদ্র সীমানা
D
জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন (COP) হলো একটি বৈশ্বিক আলোচনা মঞ্চ, যেখানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, ক্ষতি হ্রাস ও অভিযোজন কৌশল নিয়ে আলোচনা করে। এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখা, কার্বন নির্গমন হ্রাস করা এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করা।
-
COP-এর পূর্ণরূপ হলো Conferences of the Parties, অর্থাৎ “পক্ষভুক্ত দেশসমূহের সম্মেলন”। এটি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রূপরেখা কনভেনশন (UNFCCC)-এর আওতায় আয়োজিত হয়।
-
UNFCCC কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালে, আর এর আওতায় প্রথম সম্মেলন কপ-১ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিন শহরে।
-
এ সম্মেলনে UNFCCC-র সদস্য দেশসমূহ প্রতি বছর একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ, নীতিনির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে।
কপ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য:
-
বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর উপায় নির্ধারণ।
-
নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কার্বন নির্গমন কমানোর কৌশল তৈরি।
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু অভিযোজন ও ক্ষতি পূরণে অর্থনৈতিক সহায়তার কাঠামো নির্ধারণ।
-
জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।
সাম্প্রতিক COP সম্মেলনসমূহ:
-
কপ-২৭: অনুষ্ঠিত হয় মিসরের শারম আল শেখ শহরে ৬–২০ নভেম্বর ২০২২ সালে। এ সম্মেলনে জলবায়ুজনিত ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ তহবিল (Loss and Damage Fund) গঠনের বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
কপ-২৮: অনুষ্ঠিত হয় ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হয়। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কার্বন নির্গমন হ্রাস, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং অভিযোজন তহবিল বাস্তবায়ন।
-
কপ-২৯: অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে আজারবাইজানে।
-
কপ-৩০: অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালে ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের বেলেম ডো প্যারা শহরে, যেটিকে জাতিসংঘ পরবর্তী বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছে।
সব মিলিয়ে, COP সম্মেলন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, যেখানে সদস্য দেশগুলো একত্রে কাজ করে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে।
0
Updated: 1 week ago