বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্য দেশের সংখ্যা কত? (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
A
১৮৫টি
B
১৮৬টি
C
১৮৭টি
D
১৮৮টি
উত্তরের বিবরণ
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে আবহাওয়া, জলবায়ু, জলসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানসমূহের গবেষণা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
-
পূর্ণরূপ: World Meteorological Organization
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৫০ সালে
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯৩টি (সেপ্টেম্বর, ২০২৫ অনুযায়ী) – এর মধ্যে ১৮৭টি দেশ ও ৬টি অঞ্চল
-
বর্তমান মহাসচিব: সেলেস্তে সাওলো (সেপ্টেম্বর, ২০২৫ অনুযায়ী)
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, WMO বৈশ্বিক আবহাওয়া পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সতর্কীকরণ এবং টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
'Loss and Damage Fund'- কোন COP সভার প্রধান ফলাফল ছিল?
Created: 1 month ago
A
COP27, শর্ম আল-শেখ
B
COP21, প্যারিস
C
COP26, গ্লাসগো
D
COP15, কোপেনহেগেন
Loss and Damage Fund মূলত একটি আন্তর্জাতিক তহবিল, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। এ তহবিলটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠিত ২৭তম জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (COP-27)।
-
প্রস্তাব গৃহীত হয়: ২৭তম জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (COP-27)।
-
মূল উদ্দেশ্য: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উন্নয়নশীল ও দুর্বল দেশগুলোতে সৃষ্ট ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান।
-
দায়ী পক্ষ: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বিশ্বের উন্নত দেশগুলো।
-
প্রতিশ্রুতি: ২০০৯ সালে উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
-
তহবিল প্রতিষ্ঠা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২২ সালে শার্ম এল-শেখে চুক্তির মাধ্যমে Loss and Damage Fund প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
লক্ষ্য: জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৫১ সালে
B
১৯৫৭ সালে
C
১৯৬০ সালে
D
১৯৬৩ সালে
IOM হলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, যা প্রবাসী ও অভিবাসীদের নিরাপদ, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
-
পূর্ণরূপ: INTERNATIONAL ORGANIZATION FOR MIGRATION
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৫১
-
সদস্য দেশ: ১৭৫টি
-
পর্যবেক্ষক দেশ: ৮টি (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
-
প্রথম মহিলা মহাসচিব: অ্যামি ই. পোপ (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
0
Updated: 1 month ago
কপ ২৮ সম্মেলনটি কী সম্পর্কিত?
Created: 1 week ago
A
শরণার্থীর অধিকার
B
জ্বালানি নিরাপত্তা
C
সমুদ্র সীমানা
D
জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন (COP) হলো একটি বৈশ্বিক আলোচনা মঞ্চ, যেখানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, ক্ষতি হ্রাস ও অভিযোজন কৌশল নিয়ে আলোচনা করে। এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখা, কার্বন নির্গমন হ্রাস করা এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করা।
-
COP-এর পূর্ণরূপ হলো Conferences of the Parties, অর্থাৎ “পক্ষভুক্ত দেশসমূহের সম্মেলন”। এটি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রূপরেখা কনভেনশন (UNFCCC)-এর আওতায় আয়োজিত হয়।
-
UNFCCC কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালে, আর এর আওতায় প্রথম সম্মেলন কপ-১ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিন শহরে।
-
এ সম্মেলনে UNFCCC-র সদস্য দেশসমূহ প্রতি বছর একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ, নীতিনির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে।
কপ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য:
-
বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর উপায় নির্ধারণ।
-
নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কার্বন নির্গমন কমানোর কৌশল তৈরি।
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু অভিযোজন ও ক্ষতি পূরণে অর্থনৈতিক সহায়তার কাঠামো নির্ধারণ।
-
জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।
সাম্প্রতিক COP সম্মেলনসমূহ:
-
কপ-২৭: অনুষ্ঠিত হয় মিসরের শারম আল শেখ শহরে ৬–২০ নভেম্বর ২০২২ সালে। এ সম্মেলনে জলবায়ুজনিত ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ তহবিল (Loss and Damage Fund) গঠনের বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
কপ-২৮: অনুষ্ঠিত হয় ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হয়। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কার্বন নির্গমন হ্রাস, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং অভিযোজন তহবিল বাস্তবায়ন।
-
কপ-২৯: অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে আজারবাইজানে।
-
কপ-৩০: অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালে ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের বেলেম ডো প্যারা শহরে, যেটিকে জাতিসংঘ পরবর্তী বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছে।
সব মিলিয়ে, COP সম্মেলন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, যেখানে সদস্য দেশগুলো একত্রে কাজ করে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে।
0
Updated: 1 week ago