'যতিচিহ্ন' ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
A
রূপতত্ত্ব
B
বাক্যতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
বাক্যতত্ত্ব হলো ভাষার এমন একটি শাখা, যেখানে বাক্য এবং তার গঠন, নির্মাণ ও ব্যবহার নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যতত্ত্বে বাক্যের নির্মাণ ও গঠন প্রধান আলোচ্য বিষয়।
-
এটি ব্যাখ্যা করে বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে।
-
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বিষয়ও এখানে অন্তর্ভুক্ত।
-
এছাড়া কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি বিষয়ও বাক্যতত্ত্বে আলোচনা করা হয়।

0
Updated: 14 hours ago
'গৃহকর্তা' কোন সমাস?
Created: 1 week ago
A
অব্যয়ীভাব
B
উপনাম কর্মধারয়
C
ষষ্ঠী তৎপুরুষ
D
সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
✦ ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
Definition / সংজ্ঞা:
-
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস হলো সেই সমাস যেখানে পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি ‘র’ বা ‘এর’ লোপ হয়ে যায়।
Examples / উদাহরণ:
-
ছাগীর দুগ্ধ → ছাগদুগ্ধ
-
গৃহের কর্তা → গৃহকর্তা
-
অশ্বের পদ → অশ্বপদ
-
চায়ের বাগান → চাবাগান
-
রাজার পুত্র → রাজপুত্র
-
খেয়ার ঘাট → খেয়াঘাট
Additional Examples:
-
জনগণ
-
ছাত্রসমাজ
-
দেশসেবা
-
বিড়ালছানা

0
Updated: 1 week ago
'এখন যেতে পার।' এখানে 'যেতে পার' কোন ক্রিয়ার উদাহরণ?
Created: 6 days ago
A
মিশ্র ক্রিয়া
B
প্রযোজক ক্রিয়া
C
দ্বিকর্মক ক্রিয়া
D
যৌগিক ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verbs) – সংজ্ঞা ও উদাহরণ
সংজ্ঞা:
যদি একটি সমাপিকা ক্রিয়া (finite verb) এবং একটি অসমাপিকা ক্রিয়া (non-finite verb) একত্রে মিলিত হয়ে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ঘটনাটা শুনে রাখ।
-
তিনি বলতে লাগলেন।
-
সাইরেন বেজে উঠল।
যৌগিক ক্রিয়ার অন্যান্য উদাহরণ ও অর্থানুসারে শ্রেণীবিন্যাস:
-
নিরন্তরতা প্রকাশে: তিনি বলতে লাগলেন।
-
কার্যসমাপ্তি প্রকাশে: ছেলেমেয়েরা শুয়ে পড়ল।
-
অভ্যস্ততা প্রকাশে: শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
-
অনুমোদন প্রকাশে: এখন যেতে পার।
উল্লেখ্য: সব উদাহরণই যৌগিক ক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 6 days ago
'ঋ' এর উচ্চারণস্থান কোনটি?
Created: 6 days ago
A
ওষ্ঠ্য
B
দন্ত্য
C
মূর্ধা
D
কণ্ঠ্য
বাংলা স্বরবর্ণ ঋ [রি]
-
অবস্থান: বাংলা ভাষার সপ্তম স্বরবর্ণ।
-
উচ্চারণস্থান: মূর্ধা।
উচ্চারণের নিয়ম:
-
স্বাধীন ব্যবহারে: শব্দের শুরুতে কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে ব্যবহৃত হলে উচ্চারণ হয় 'রি'।
-
উদাহরণ: ঋণ, ঋষি
-
-
যদি অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়: তখন ঋ-এর উচ্চারণ হয় র-ফলা।
-
উদাহরণ:
-
হৃদয় → হ্রিদয়
-
আদৃত → আদ্রিত
-
-
উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে ব্যঞ্জনবর্ণের বিভাজন:
বাকপ্রত্যঙ্গের সেই অংশ যেখানে বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, সেটিই উচ্চারণস্থান। এর উপর ভিত্তি করে ব্যঞ্জনধ্বনিকে ভাগ করা হয়:
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
তালব্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
উৎস:
-
অভিগম্য অভিধান
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 6 days ago