ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ কাকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধি প্রদান করেছিলেন?
A
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
B
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
C
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
D
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ
উত্তরের বিবরণ
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ 'সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ' উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তাঁর শাসনকালে পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গ তখন তার রাজ্যের বাইরে ছিল।
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ:
-
১৩৫২ সালে ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁও দখল করে দুই বাংলাকে একত্রিত করেন।
-
সোনারগাঁও অধিকার করার মাধ্যমে তিনি সারা বাংলার সুলতান হন।
-
তাঁর পূর্বে কোনো মুসলমান সুলতান এই গৌরব অর্জন করতে পারেননি।
-
ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ', 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' এবং 'সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
উল্লেখযোগ্য:
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র এবং সোনারগাঁও-এর শাসক ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গে রাজ্য সম্প্রসারণ করেন।
-
লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও অধিকার করার মাধ্যমে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হন।
-
এই বিরল গৌরব পূর্বে কোনো মুসলমান শাসক অর্জন করতে পারেননি।
-
এ কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' এবং 'সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে কতটি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল?
Created: 1 month ago
A
৪৮টি
B
৫০টি
C
৫১টি
D
৫৪টি
সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন (১৯৪৫)
-
সময় ও স্থান: ২৫ এপ্রিল – ২৬ জুন, ১৯৪৫; সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
-
উদ্দেশ্য: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা
-
অংশগ্রহণকারী দেশ: ৫০টি দেশ, প্রধান দেশসমূহ – যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স
-
ফলাফল:
-
জাতিসংঘের সংবিধান (Charter) অনুমোদন
-
২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ – সংবিধান কার্যকর হওয়া এবং জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা
-
২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালন করা হয়
-
0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা বা কার্যাবলির মধ্যে পড়ে না?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রের পক্ষে আদালতে বক্তব্য পেশ করা
B
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা
C
সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা
D
সংসদে সরাসরি আইন প্রণয়ন করা
অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা, যিনি রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে আইনগত বিষয় নিয়ে আদালতে বক্তব্য প্রদান করেন। তবে তিনি সরাসরি সংসদে আইন প্রণয়ন করতে পারেন না।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগ, ৫ম পরিচ্ছেদ, ৬৪ নং অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল পদের কথা উল্লেখ আছে।
-
রাষ্ট্রপতি সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
-
রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত পদে বহাল থাকবেন এবং পারিশ্রমিক পাবেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন।
-
তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের সমান মর্যাদা ভোগ করবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি:
-
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করা।
-
বাংলাদেশের সকল আদালতে বক্তব্য পেশ করার অধিকার থাকা।
-
বাংলাদেশ সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. আসাদুজ্জামান।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নূন্যতম সদস্য উপস্থিত না থাকলে স্পিকার সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখেন?
Created: 3 weeks ago
A
৫০ জন
B
৬০ জন
C
৭০ জন
D
৮০ জন
জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, যার ওপর দেশের সংবিধানের বিধানাবলি অনুযায়ী আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ন্যস্ত।
-
সদস্য সংখ্যা ও গঠন:
-
সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নির্বাচনী এলাকা থেকে
-
মহিলা আসন সংখ্যা ৫০, যা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী (২০১১) অনুযায়ী নির্ধারিত
-
মোট আসন সংখ্যা: ৩৫০
-
-
মেয়াদ: ৫ বছর
-
কোরাম ও অধিবেশন:
-
সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদের কার্য পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন
-
অধিবেশন কোরামের জন্য কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কার্যক্রম চলবে
-
৬০ জনের কম সদস্য উপস্থিত থাকলে স্পিকার অধিবেশন স্থগিত করতে পারেন
-
-
সাধারণ নির্বাচন ও অধিবেশন আহ্বান: সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহ্বান করা হয়
0
Updated: 3 weeks ago