কোনটি ভাষা পরিবারের নাম নয়?
A
ইন্দো-ইউরোপীয়
B
অস্ট্রো-এশীয়
C
আফ্রিকীয়
D
ইন্দো-সেমীয়
উত্তরের বিবরণ
ইন্দো-সেমীয় কোনো ভাষা-পরিবারের নাম নয়। বাংলা ভাষা পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভাষা এবং এটি নির্দিষ্ট ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
-
বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হলো বাংলা ভাষা।
-
পৃথিবীর ভাষাগুলোকে সাধারণত ইন্দো-ইউরোপীয়, চীনা-তিব্বতীয়, আফ্রিকীয়, সেমীয়-হেমীয়, দ্রাবিড়ীয়, অস্ট্রো-এশীয় প্রভৃতি ভাষা-পরিবারে ভাগ করা হয়ে থাকে।
-
বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের সদস্য।
-
বাংলার নিকটতম আত্মীয় ভাষা হলো অহমিয়া (অসমিয়া) এবং ওড়িয়া।
-
ধ্রুপদি ভাষা সংস্কৃত ও পালির সঙ্গে বাংলা ভাষার রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

0
Updated: 14 hours ago
কোন শব্দে স্বভাবতই 'ষ' ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 14 hours ago
A
পরিষ্কার
B
স্পষ্ট
C
ভূষণ
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ভাষায় ‘ষ’ ধ্বনির ব্যবহার বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
কিছু শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ থাকে, যেমন: ষড়ঋতু, ভাষণ, ঊষা, ভূষণ, ঔষধ।
-
ট–বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়, যেমন: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
-
র-ধ্বনির পরে যদি অ, আ বা অন্য স্বরধ্বনি থাকে, তবে তার পরে ‘ষ’ বসে। উদাহরণ: পরিষ্কার।

0
Updated: 14 hours ago
১৭) 'রপ্তানি' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 4 weeks ago
A
তুর্কি
B
ফরাসি
C
পর্তুগিজ
D
ফারসি
রপ্তানি [বিশেষ্য পদ]
-
এটি একটি ফারসি ভাষার শব্দ।
-
অর্থ: বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য বিদেশে প্রেরণ।
‘ফারসি’ ভাষার আরও কিছু শব্দ
খোদা, গুনাহ, দোজখ, ফেরেশতা, আমদানি, জিন্দা, রপ্তানি, বেহেশত, নমুনা, রোজা, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 4 weeks ago
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
Created: 3 months ago
A
দুই ভাগে
B
তিন ভাগে
C
চার ভাগে
D
পাঁচ ভাগে
বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে অর্থভিত্তিক তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: যৌগিক শব্দ, রূঢ় শব্দ, এবং যোগরূঢ় শব্দ। এই শ্রেণিবিন্যাস ভাষার গভীরতা ও বৈচিত্র্য বোঝার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. যৌগিক শব্দ
যেসব শব্দে উপসর্গ, মূল শব্দ এবং প্রত্যয়ের অর্থ একত্রে মিলিয়ে পরিণত শব্দের অর্থ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
-
মূল শব্দ ও প্রত্যয়ের অর্থ মিলেই পূর্ণ শব্দের অর্থ গঠিত হয়।
উদাহরণ:
-
কর্তব্য = কৃ (করা) + তব্য (যোগ্য) → অর্থ: যা করা উচিত
-
বাবুয়ানা = বাবু + আনা → অর্থ: যিনি বাবুর মতো আচরণ করেন
২. রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ
যেসব শব্দ তাদের গঠন অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ না করে ভাষাচর্চায় সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো রূঢ় শব্দ নামে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
গঠন অনুযায়ী প্রত্যাশিত অর্থ নয়, বরং ব্যবহারিক বা প্রথাগত অর্থ বহন করে।
উদাহরণ:
-
সন্দেশ: প্রকৃত অর্থ ‘সংবাদ’, অথচ এখন ব্যবহৃত হয় ‘মিষ্টান্ন’ হিসেবে।
-
চিকন: মূল অর্থ ‘চকচকে’, বর্তমান ব্যবহারে বোঝায় ‘সরু’।
৩. যোগরূঢ় শব্দ
যেসব শব্দ সমাসবদ্ধ হলেও তারা মূল শব্দ বা ব্যাসবাক্যের অর্থ প্রকাশ না করে একেবারে নতুন অর্থে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বলা হয় যোগরূঢ় শব্দ।
বৈশিষ্ট্য:
-
মূল শব্দ দুটি পৃথক অর্থ প্রকাশ করলেও একত্রে নতুন ও আলাদা একটি ধারণা প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
-
জলদ = জল + দ (দাতা) → প্রকৃত অর্থ: যে জল দেয়, ব্যবহারিক অর্থ: মেঘ
-
পঙ্কজ = পঙ্ক (কাদা) + জ (জন্ম) → প্রকৃত অর্থ: যা কাদায় জন্মে, ব্যবহারিক অর্থ: পদ্মফুল
বাংলা ভাষার শব্দার্থভিত্তিক এই শ্রেণিবিন্যাস ভাষার গঠন ও ব্যবহারিক দিক অনুধাবনে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে। শব্দের উৎস, গঠন ও প্রয়োগ একত্রে বিবেচনা করলেই আমরা এর গভীরতা ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারি।
উৎস:
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago