১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ কে?
A
মতিউর রহমান
B
সার্জেন্ট জহুরুল হক
C
ড. শামসুজ্জোহা
D
আসাদুজ্জামান আসাদ
উত্তরের বিবরণ
১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ পুলিশের গুলিতে শহিদ হলে গণঅভ্যুত্থান নতুন মাত্রা লাভ করে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান:
-
আইয়ুব সরকারের নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান নিহত হন, যা গণঅভ্যুত্থানকে তীব্রতা দেয়।
-
আসাদুজ্জামান বা শহিদ আসাদ ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
-
২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস, এই দিনে সংগ্রামী জনতা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। পুলিশের গুলিতে নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর এবং ছুরিকাঘাতে রুস্তম নিহত হন।
-
১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহা শহিদ হন।
-
এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে আইয়ুব সরকারের পতন ঘটে এবং আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন কোন জাতিসত্তায় রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
বম
D
গারো
গারো একটি আদিবাসী সম্প্রদায়, যারা ভারত ও বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এদের বড় বৈশিষ্ট্য।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গারোরা মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ভাষাগতভাবে তারা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
তাদের সমাজে প্রচলিত পরিবার কাঠামো হলো মাতৃতান্ত্রিক, অর্থাৎ বংশ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নারীর দিক থেকে নির্ধারিত হয়।
-
গারোদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম ওয়ানগালা, যা মূলত ধান কাটার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব।
-
এই উৎসব সাধারণত আশ্বিন মাসে পালিত হয় এবং সামর্থ্যানুযায়ী কোনো গ্রামে তিন দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
-
তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক, যদিও বর্তমানে অনেক গারো খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করে।
0
Updated: 1 month ago
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
B
আরিস্টোফার্মা লিমিটেড
C
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড
D
রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের জন্য এটি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে।
-
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)।
-
১৯৬২ সালে গভর্নমেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরি (GPL) নামে কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৭৯ সালে নাম পরিবর্তন করে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাকশন ইউনিট (PPU) রাখা হয়।
-
১৯৮৩ সালে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এটি আধুনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, ইউনিসেফ, WHO, আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন সংস্থায় মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করে।
-
এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৫৮ অনুচ্ছেদ
B
৫৯ অনুচ্ছেদ
C
৬৯ অনুচ্ছেদ
D
৬৮ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত মৌলিক বিধান প্রদান করা হয়েছে, যা তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সংবিধানে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান:
-
স্থানীয় সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
-
সংবিধানে স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত ৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে: অনুচ্ছেদ ৯, ১১, ৫৯ এবং ৬০।
-
এসব অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
অনুচ্ছেদ ৯: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা এবং কৃষক, শ্রমিক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ১১: প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৫৯: প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসন নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থার উপর ন্যস্ত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৬০: স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ, বাজেট প্রস্তুতকরণ এবং নিজস্ব তহবিল রক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
৫৯ অনুচ্ছেদের মূল বিধান (সংক্ষেপে):
১. আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হবে।
২. সংসদ আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানসমূহ যথোপযুক্ত প্রশাসনিক ইউনিটে নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে:
-
(ক) প্রশাসন ও সরকারি কর্মচারীদের কার্য পরিচালনা
-
(খ) জনশৃঙ্খলা রক্ষা
-
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
0
Updated: 1 month ago