এক কথায় প্রকাশ
বর্ণনা | এক কথায় প্রকাশ |
---|---|
যা অপনয়ন করা কষ্টকর | দূরপনেয় |
যা অপনয়ন করা যায় না | অনপনেয় |
যা অনুভব করা হচ্ছে | অনুভূয়মান |
যা বহন করা যাচ্ছে | নীয়মান |
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
'উপসর্গ' ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
A
অর্থতত্ত্ব
B
বাক্যতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
রূপতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
রূপতত্ত্ব ভাষার এমন একটি শাখা যেখানে শব্দের ক্ষুদ্রতম অর্থবোধক অংশ ও তার গঠনপ্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়। শব্দ রূপ দ্বারা গঠিত, তাই শব্দতত্ত্বকেও রূপতত্ত্ব বলা হয়ে থাকে।
রূপ হলো এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলন।
রূপের সমন্বয়ে শব্দ তৈরি হয়।
রূপতত্ত্বে মূলত শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হয়: শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, বচন, সমাস, প্রত্যয়, উপসর্গ, অনুসর্গ, পদ-প্রকরণ, অনুজ্ঞা, ক্রিয়ার কাল, পুরুষ, লিঙ্গ, বচন, ধাতু ইত্যাদি।
রূপতত্ত্বে বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া।
0
Updated: 14 hours ago
বাংলা ভাষায় মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 week ago
A
২৫ টি
B
৩০ টি
C
৩২ টি
D
৩৭ টি
• ভাষার ক্ষুদ্রতম একককে ধ্বনি বলে।
- বাংলা ভাষায় ৩৭টি মৌলিক ধ্বনি রয়েছে।
- এই ধ্বনিগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
• মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি: [ই], [এ], [ অ্যা], [আ], [অ], [ও], উ]।
• মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি: [প], [ফ], [ব], [ভ], [থ], [দ], [ধ], [ট], [ঠ], [ড], [ঢ], [চ], [ছ], [জ], [ঝ], [ক], [খ], [গ], [ঘ], [ম], [ন], [ঙ] [স], [শ], [হ], [ল], [র], [ড়], [ঢ়]। এখানে তৃতীয় বন্ধনী দিয়ে ধ্বনি বা উচ্চারণ নির্দেশ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)।
0
Updated: 1 week ago
"যা অপনয়ন করা কষ্টকর" এর এক কথায় প্রকাশ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
অনপনেয়
B
দূরপনেয়
C
অনুভূয়মান
D
নীয়মান
0
Updated: 2 weeks ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 2 weeks ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 weeks ago