পলাশীর যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
A
১৭৫৬ সালে
B
১৭৫৭ সালে
C
১৭৬৪ সালে
D
১৭৬৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত।
পলাশীর যুদ্ধ:
-
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানে স্বাধীন বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হন।
-
এই পরাজয়ের ফলে প্রায় ২০০ বছরের জন্য বাংলা স্বাধীনতা হারায়।
-
প্রতি বছর ২৩ জুন পলাশী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
-
ব্রিটিশদের পক্ষে রবার্ট ক্লাইভ সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে কলকাতা দখল করেন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের সূচনা করেন।
-
নবাবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন জগৎশেঠ, মীরজাফর, রায়দুর্লভ ও উমিচাদ।
-
নবাবের পক্ষে যুদ্ধ করেন মীরমদন, মোহন লাল এবং ফরাসি সেনাপতি সিন ফ্রে।
সূত্র:

0
Updated: 11 hours ago
তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাকালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন —
Created: 14 hours ago
A
অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া
B
অধ্যাপক আবুল কাশেম
C
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
D
হাসান ইকবাল
তমদ্দুন মজলিশ হলো একটি ইসলামী আদর্শাশ্রয়ী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা দেশে ইসলামী আদর্শ ও ভাবধারা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।
-
সংগঠনটি ভারত বিভাগের অব্যবহিত পরেই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম-এর উদ্যোগে
-
প্রারম্ভিক নাম: পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ
-
প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক আবুল কাশেমের অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন: দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর, হাসান ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় সিনিয়র ছাত্র।
-
প্রফেসর আবুল কাশেম ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
-
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৯ সালে মজলিশের সভাপতি নির্বাচিত হন।
সূত্র:

0
Updated: 14 hours ago
কোন দার্শনিকের মতে, "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন"?
Created: 1 week ago
A
প্লেটো
B
জন লক
C
অ্যারিস্টটল
D
টমাস হবস
-
অ্যারিস্টটল আইনকে যুক্তিনির্ভর একটি ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, আইন কোনো শাসকের খেয়াল-খুশির ফল নয়; বরং এটি সমাজকল্যাণমূলক যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার প্রকাশ।
-
মানুষ একটি সামাজিক জীব এবং আইন মানবসমাজের প্রতিফলন।
-
সমাজে মিলেমিশে বসবাসের জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা অপরিহার্য।
-
মানবকল্যাণের স্বার্থেই নিয়ম-কানুন প্রয়োজন, আর স্বীকৃত এই নিয়ম-কানুনই হলো আইন।
-
এরিস্টটল বলেছেন, "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন" (Law is the passionless reason)।
-
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে, আইন হলো সেই সাধারণ নিয়ম যা মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সার্বভৌম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা হয়।
সূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণ দলিলে কে স্বাক্ষর করে?
Created: 11 hours ago
A
জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
B
মেজর জেনারেল রাও ফরমান
C
কর্নেল ওসমানী
D
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজী
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ:
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের জয়ী ও পরাজিত পক্ষের মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
-
যৌথবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, যিনি জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
সূত্র:

0
Updated: 11 hours ago