কত সালে বঙ্গভঙ্গ হয়?
A
১৯০৩ সালে
B
১৯০৫ সালে
C
১৯০৯ সালে
D
১৯১১ সালে
উত্তরের বিবরণ
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বাংলাকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করেন, যা ইতিহাসে বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।
বঙ্গভঙ্গ:
-
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ভারতের গভর্নর লর্ড কার্জন বাংলাকে ভাগ করেন। এই বিভাজনকে ইতিহাসে বঙ্গভঙ্গ বলা হয়।
-
বাংলার মুসলমানরা নবাব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে বঙ্গভঙ্গকে স্বাগত জানায়।
-
অন্যদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
-
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে।
-
রাজা পঞ্চম জর্জ ভারত সফরে এসে দিল্লির দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদ করার ঘোষণা দেন।
-
বঙ্গভঙ্গ রদের পর হিন্দু সম্প্রদায় খুশি, কিন্তু মুসলমান সম্প্রদায় মর্মাহত ও হতাশ হয়।
-
অবশেষে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।
সূত্র:

0
Updated: 11 hours ago
প্রকল্প হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক যাত্রা শুরু করে কবে?
Created: 6 days ago
A
১৯৭৬ সালে
B
১৯৭৮ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৪ সালে
গ্রামীণ ব্যাংক
-
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:
-
১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক একটি প্রকল্প হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
-
১৯৮৩ সালের ২ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে চালু হয়।
-
প্রতিষ্ঠাতা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
-
ক্ষুদ্রঋণের ধারণা বাংলাদেশের বাইরে প্রথম মালয়েশিয়ায় চালু হয়।
-
-
মূল উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
-
মূলত ভূমিহীন এবং দরিদ্র নারীদের ৫ জনের ক্ষুদ্র দল গঠনের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান।
-
ঋণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সমাজের নীচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন।
-
৯৮% ঋণগ্রহীতা নারী।
-
নারী ঋণগ্রহীতাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নত জীবনে অগ্রগতি।
-
সেগমেন্ট: ভিক্ষুকদের জন্য সুদ-মুক্ত ঋণ প্রদান।
-
-
সাফল্য ও স্বীকৃতি:
-
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রান্তিক দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম জেলার জোবরা গ্রামে।
-
ব্যাংকের নীতিমালা ও কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে ইউনূসের গবেষণা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
উৎস: গ্রামীণ ব্যাংক ওয়েবসাইট

0
Updated: 6 days ago
কোন নৃগোষ্ঠীর সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক?
Created: 2 weeks ago
A
চাকমা
B
ত্রিপুরা
C
লুসাই
D
গারো
গারো জনগোষ্ঠী
-
গারো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী।
-
এরা দেশের টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর জেলায় বসবাস করে।
-
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
নৃ-বিজ্ঞানীদের মতে, গারোরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর তিব্বতীবর্মণ শাখার বোড়ো উপশাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
আদি বাসভূমি বর্তমান চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিন-কিয়াং প্রদেশ, যেখান থেকে তারা দেশত্যাগ করে পরবর্তীকালে তিব্বতে দীর্ঘদিন বসবাস করেছিল।
-
পরে ভারতের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য এলাকা এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলে এরা বসতি গড়ে।
-
গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
-
পরিবারে মা কর্তা ও সম্পত্তির অধিকারী, পিতা পরিবারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
-
সন্তানরা মায়ের পদবি অনুযায়ী পরিচিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ কে?
Created: 11 hours ago
A
মতিউর রহমান
B
সার্জেন্ট জহুরুল হক
C
ড. শামসুজ্জোহা
D
আসাদুজ্জামান আসাদ
১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ পুলিশের গুলিতে শহিদ হলে গণঅভ্যুত্থান নতুন মাত্রা লাভ করে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান:
-
আইয়ুব সরকারের নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান নিহত হন, যা গণঅভ্যুত্থানকে তীব্রতা দেয়।
-
আসাদুজ্জামান বা শহিদ আসাদ ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
-
২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস, এই দিনে সংগ্রামী জনতা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। পুলিশের গুলিতে নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর এবং ছুরিকাঘাতে রুস্তম নিহত হন।
-
১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহা শহিদ হন।
-
এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে আইয়ুব সরকারের পতন ঘটে এবং আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
সূত্র:

0
Updated: 11 hours ago