'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' কে প্রবর্তন করেন?
A
ওয়ারেন হেস্টিংস
B
রবার্ট ক্লাইভ
C
লর্ড কর্নওয়ালিস
D
লর্ড কার্জন
উত্তরের বিবরণ
১৭৯৩ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস রাজস্ব আদায় সহজতর করার জন্য এবং একটি অনুগত শ্রেণি গঠনের উদ্দেশ্যে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
-
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
-
নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করা হয়। এই ব্যবস্থাকেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলা হয়।
-
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে কৃষকরা জমির উপর তাদের অধিকার হারায়।
-
অন্যদিকে, জমিদারদের স্থায়ী মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারি প্রথা এবং চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার উচ্ছেদ ঘটে।
সূত্র:

0
Updated: 11 hours ago
২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশ সরকার কোনটিকে ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে?
Created: 4 weeks ago
A
হস্তশিল্প
B
ফার্নিচার পণ্য
C
চামড়াজাত পণ্য
D
ইলেকট্রনিক্স
বর্ষপণ্য-২০২৫:
-
ঘোষণা: সরকার ফার্নিচার বা আসবাবপত্রকে ২০২৫ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছে।
-
প্রকাশক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
-
উদ্দেশ্য: দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিপণনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ।
-
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা:
-
১৯৯৫ সাল থেকে আয়োজন করা হচ্ছে।
-
যৌথ আয়োজক: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
-
১ জানুয়ারি, ২০২৫, পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিসিএফসি)-তে ২৯তম মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়।
-
-
রপ্তানি: ভারত, নেপাল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ফার্নিচার রফতানি হয়।
-
প্রস্তাবনা: পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতে বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সূত্র: প্রথম আলো এবং BANGLADESH GOVERNMENT PRESS

0
Updated: 4 weeks ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যম কোন প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়?
Created: 2 days ago
A
চারুকলা ইন্সটিটিউট
B
বাংলা একাডেমী
C
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট
D
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা সংক্রান্ত দেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।
-
বাংলা একাডেমীর জন্ম হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং দেশের মুসলিম মধ্যবিত্তের জাগরণ ও আত্মপরিচয় বিকাশের প্রেরণায়।
-
১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে শহীদুল্লাহ্ মূল সভাপতির অভিভাষণে একটি একাডেমি গড়ার কথা উল্লেখ করেন।
-
১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
-
দ্বিতীয়বার যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে বাংলা একাডেমীর উদ্বোধন করেন।
-
এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাস্তব রূপ পায়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
Created: 12 hours ago
A
বিজয়সেন
B
বল্লালসেন
C
লক্ষ্মণসেন
D
জয়দেব সেন
সেন রাজা বল্লালসেন একজন সুপণ্ডিত রাজা ছিলেন এবং তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামক দুটি বিখ্যাত স্মৃতিশাস্ত্র গ্রন্থ রচনা করেন।
বল্লাল সেন:
-
বিজয় সেনের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১১৬০ সালে তার পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তিনি রাজ্য জয়ের চেয়ে দেশের ভেতরে উন্নয়ন, নতুন প্রথা চালু এবং সংস্কারের কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন।
-
গোবিন্দপালকে পরাজিত করে মগধের পূর্বাঞ্চল অধিকার করেন।
-
কথিত আছে যে, তিনি তাঁর পিতার রাজত্বকালে মিথিলা জয় করেন।
-
বল্লাল সেন ছিলেন বিদ্যান ও বিদ্যোৎসাহী রাজা।
-
তিনি ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসাগর, দানসাগর, অদ্ভুতসাগর নামে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন।
-
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত।
-
পিতার ন্যায় তিনি শৈব ধর্মের অনুগামী ছিলেন।
-
ধর্মপ্রচারে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল।
-
তিনি তার পিতার অন্যান্য উপাধির সঙ্গে ‘অরিরাজ নিঃশঙ্কর’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
আনুমানিক ১৮ বছর রাজত্ব করার পর বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার হস্তান্তর করেন এবং সস্ত্রীক ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গাতীরে বাণপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 12 hours ago