পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
ধর্মপাল
B
দেবপাল
C
গোপাল
D
মহীপাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।
পাল বংশ:
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।
-
বাংলার ইতিহাসে এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে খ্যাত।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ অরাজক পরিস্থিতি।
-
অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
৫ নং সেক্টর
B
৬ নং সেক্টর
C
৭ নং সেক্টর
D
২ নং সেক্টর
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
-
সেক্টর: ৭নং সেক্টর
-
মুক্তিযুদ্ধে অবদান: ৭নং সেক্টরের অধীনে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
অন্যান্য বীরশ্রেষ্ঠদের সেক্টরসমূহ:
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ – ১নং সেক্টর
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল – ২নং সেক্টর
-
সিপাহী হামিদুর রহমান – ৪নং সেক্টর
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ – ৮নং সেক্টর
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন – ১০নং সেক্টর
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান – পশ্চিম পাকিস্তান
সংক্ষেপে, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ৭নং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন।
0
Updated: 1 month ago
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান কে?
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক আলী রিয়াজ
B
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী
C
সফর রাজ হোসেন
D
ড. ইফতেখারুজ্জামান
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থার দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও জনমুখী কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার জন্য গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।
-
২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর আট সদস্য নিয়ে কমিশনটি গঠন করা হয়। পরে সদস্যসংখ্যা তিনজন বৃদ্ধি করা হয়।
-
কমিশনের প্রধান হলেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, যিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
-
এ কমিশনের উদ্দেশ্য হলো দক্ষ, নিরপেক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন ও প্রধান কমিশনাররা:
-
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন – ড. বদিউল আলম মজুমদার
-
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন – সফর রাজ হোসেন
-
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন – বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান
-
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন – ড. ইফতেখারুজ্জামান
-
সংবিধান সংস্কার কমিশন – অধ্যাপক আলী রিয়াজ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৫৮ অনুচ্ছেদ
B
৫৯ অনুচ্ছেদ
C
৬৯ অনুচ্ছেদ
D
৬৮ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত মৌলিক বিধান প্রদান করা হয়েছে, যা তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সংবিধানে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিধান:
-
স্থানীয় সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
-
সংবিধানে স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত ৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে: অনুচ্ছেদ ৯, ১১, ৫৯ এবং ৬০।
-
এসব অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
অনুচ্ছেদ ৯: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা এবং কৃষক, শ্রমিক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ১১: প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৫৯: প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসন নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থার উপর ন্যস্ত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৬০: স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ, বাজেট প্রস্তুতকরণ এবং নিজস্ব তহবিল রক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
৫৯ অনুচ্ছেদের মূল বিধান (সংক্ষেপে):
১. আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হবে।
২. সংসদ আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানসমূহ যথোপযুক্ত প্রশাসনিক ইউনিটে নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে:
-
(ক) প্রশাসন ও সরকারি কর্মচারীদের কার্য পরিচালনা
-
(খ) জনশৃঙ্খলা রক্ষা
-
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
0
Updated: 1 month ago